পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে গতকালও ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। কর্মব্যস্ত শহরটি যেন এখনও ছুটির আমেজে মগ্ন। প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ নেই, গণপরিবহনে যাত্রী সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। দোকানপাট অধিকাংশই বন্ধ। দু’একটা খোলা থাকলেও ক্রেতাদের আনাগোনা কম, কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খুললেও অফিসপাড়া এখনও আগের চেহারা ফিরে পায়নি। ঈদের আগে রাজধানী ছাড়ার যে হিড়িক দেখা গিয়েছিল, তার প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। ঢাকার বাইরে থেকে কিছু মানুষ ফিরতে শুরু করলেও শহরের চিরচেনা কোলাহল এখনও ফেরেনি। বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাটে যাত্রীদের আনাগোনা থাকলেও স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় তা অনেকটাই কম। অনেকে এখনও ছুটি বাড়িয়ে পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। ফলে রাজধানীর রাস্তাঘাট অপেক্ষাকৃত ফাঁকা, যানজটের তীব্রতা নেই, স্বাভাবিকের তুলনায় পরিবেশ অনেকটাই শান্ত। গণমাধ্যমসহ কিছু বেসরকারি অফিস খুললেও কর্মীদের উপস্থিতি খুব বেশি নয়। শহরের এমন ফাঁকা চিত্র সাধারণ নাগরিকদের জন্য এক ধরনের স্বস্তি বয়ে এনেছে। যারা ঢাকায় অবস্থান করছেন, তারা যানজটমুক্ত সড়কে চলাচল উপভোগ করছেন। তবে কর্মব্যস্ত ঢাকা ফিরে পেতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির মধ্যে বন্ধ রয়েছে, সেগুলো খুললেই শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আনাগোনায় নগরীর চিত্র বদলে যাবে।
এরআগে গত ২৭ মার্চ ঈদের আগের শেষ অফিস করেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ২৮ মার্চ থেকে শুরু হয় টানা নয়দিনের সরকারি ছুটি। ২৮ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ছুটি কাটাচ্ছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তবে ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর ধরে ঈদের ছুটি নির্ধারণ করে সরকার। ঈদ উপলক্ষে এবারই প্রথম পাঁচ দিনের ছুটি দেয়া হয়। ২৮ মার্চ (শুক্রবার) শবে কদরের ছুটি। ২৯ মার্চ (শনিবার) থেকে শুরু হয় ঈদুল ফিতরের ছুটি, টানা পাঁচ দিনের ছুটি (২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল) থাকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত। এর মাঝে ৩ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) অফিস খোলা ছিল। কিন্তু সরকার ৩ এপ্রিলও নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা করলে টানা নয় দিন ছুটি পড়ে।