চট্টগ্রামে ঈদের ছুটিতে উপচে পড়া ভিড় বেড়েছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পতেঙ্গা সৈকত, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়েস লেক, সাগরপাড়, নদীর পাড়, ঝরনাসহ প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রে ছিল উপচে পড়া ভিড়। এ তালিকায় যুক্ত হয়েছে বাঁশবাড়িয়া-সন্দ্বীপ ফেরি ঘাটও। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ মানুষ একটু নির্মল হাওয়ার পরশ পেতে, শিশু-কিশোরদের আনন্দ দিতে ছুটে আসেন এ সব বিনোদন কেন্দ্রে। চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, ১২ হাজার ৮০০ টিকিটি বিক্রি হয়েছে। ঈদের দিন ১৪ হাজার, দ্বিতীয় দিন ২১ হাজার, তৃতীয় দিন ২০ হাজার, চতুর্থ দিন ১৫ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছিল।
এ নিয়ে ঈদের পাঁচ দিনে প্রায় ৮৩ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে ঈদের পাঁচ দিন বিকালেই প্রচুর দেশি-বিদেশি পর্যটকের সমাগম হয়েছে। এর মধ্যে অনেকে আছেন যারা জীবনে প্রথমবার সমুদ্র দেখতে এসেছেন। এ দলেরই একজন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী শুভ।
তিনি বলেন, সমুদ্র আমার পছন্দের স্থান। সমুদ্রের কথা অনেক শুনেছি। খবরের কাগজ টেলিভিশন, সামাজিক মাধ্যমে অনেক দেখেছি। কিন্তু বাস্তবে সমুদ্র এত বড় হয়, এর গর্জন এত বেশি হয় তা প্রথমবার উপলব্ধি করেছি। এখানকার পরিবেশ সুন্দর। ভালো লেগেছে।
তবে যারা নিয়মিত পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন তাদের একজন হাটহাজারীর শোয়েব হোসাইন। তিনি বলেন, উৎসবের মৌসুমে পতেঙ্গা সৈকতে মানুষ বেশি আসে। সেই তুলনায় গাড়ি পার্কিং ও ওয়াশরুমের সংকট আছে। সরকারের উচিত এ পর্যটন কেন্দ্রের উন্নয়নে হাত দেয়া। এতে করে পর্যটন কেন্দ্রে আসা দর্শনার্থীদের বিনোদনে নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।