হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিয়ন সবার সহযোগিতায় সুন্দরভাবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ঢাকা থেকে রংপুর বিভাগের বিভিন্ন জেলায় আগত যাত্রীদের যানজটমুক্ত নিরাপদ পরিবেশে আসার ব্যবস্থা করেছিল। একই ভাবে পুনরায় যাত্রীদেরকে যানজট মুক্ত এবং নিরাপদ পরিবেশে ঢাকা গমনের জন্য গত চৌঠা এপ্রিল থেকে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যে সমস্ত জংশন পয়েন্ট থেকে অধিক যাত্রীরা উঠে থাকে সে সমস্ত এলাকায় অপরাধ দমন করার জন্য অতিরিক্ত পেট্রোল এবং পিকেট ডিউটি মোতায়েন করা হয়েছে। দশ মাইল, সৈয়দপুর, তারাগঞ্জ, পাগলা পীরের মাজার, বড়দরগা শঠিবাড়ী, মিঠাপুকুর, পলাশবাড়ী এবং গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অফিসার এবং ফোর্স দিবারাত্রি কাজ করছে। এ সমস্ত বড় বড় স্টেশনে খুব অল্প সময়ের মধ্যে যাতে যাত্রীরা বাসে উঠতে পারে সে জন্য কাউন্টারগুলো রিএরেঞ্জ করা হয়েছে। বিশেষ করে গোবিন্দগঞ্জ বাজারে এবং পলাশবাড়ীতে স্থানীয় বাসের কাউন্টার গুলো রাস্তার মাঝখানে নির্মাণাধীন স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। যার ফলে ঢাকা মুখে বাসগুলো সরাসরি চলে যেতে পারছে। হাইওয়ে পুলিশ রংপুর রিজিওন থেকে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম প্রতিটা স্পটে ঘুরে ঘুরে পুলিশের ডিউটি তদারকি করছেন। এবারের ঈদ যাত্রায় যানজট মুক্ত করতে হাইওয়ে পুলিশের নেতৃত্বে মহাসড়কে সশস্ত্র বাহিনী যথেষ্ট তৎপর ছিল, এছাড়া জেলা পুলিশ সহযোগিতা করেছে। হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতার কারণে ঈদের পরবর্তী তিন দিনে মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের দুর্ঘটনা অনেক কম ছিল।
গুরুত্বপূর্ণ থানায় এলাকায় মহাসড়ক সমূহ মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে সেই সঙ্গে ডিজে পার্টিদেরকেও নিয়মিত চলাচল করতে হয়েছে। এরই মধ্যে মহাসড়কে ঢাকা মুখে যানবাহনের চাপ যথেষ্ট পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ সেই চাপ প্রশমনে কাজ করে যাচ্ছে। রিজিওন অফিসে একটি কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক যাত্রীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছে এবং যানজটের সংবাদ পাওয়া মাত্র নিরসনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। কাউন্টার সমূহে যাতে বেশি ভাড়া আদায় না করে সে জন্য কাউন্টার মাস্টারদের সতর্ক করা হচ্ছে। পুলিশ সুপার রংপুর রিজিওন গোবিন্দগঞ্জ বাজারে এলাকায় যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাদের সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করা হয় এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়েও তাদের সঙ্গে কথা বলেন। সব মিলিয়ে ঢাকা মুখে যাত্রীরা হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতায় এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।