ঢাকা শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইসরায়েলি বর্বরতা থামাতে বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান

ইসরায়েলি বর্বরতা থামাতে বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতা চলছেই। থামার কোনো নামগন্ধ নেই। প্রতিদিনই ঝরছে শত শত প্রাণ। বাদ যাচ্ছে না নারী-শিশুরাও। ওই দিকে বিশ্বমোড়লরা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে। তাদের ‘ঘুম ভাঙাতে’ গতকাল সোমবার বাংলাদেশের জেলায় জেলায় ফুঁসে উঠেছে জনতা। দিচ্ছেন ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

ময়মনসিংহ : পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের জনগণ নগরীর টাউন হল মোড়ে মিছিলে মিছিলে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় মাথায় কালো কাপড় ও হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়। চারদিক থেকে হত্যার প্রতিবাদে স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠে টাউন হল প্রাঙ্গণ। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়ে চলে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। পরে সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় টাউন হলে এসে শেষ হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ময়মনসিংহ জেলা শাখার সদস্য সচিব আলী হোসেন বলেন, গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলের গণহত্যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। মানুষ হিসেবে এ সব দেখে আমাদের মন আর ঘরে টিকছে না। আমরা চাই বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলক।

শিক্ষার্থী সাদিয়া বলেন, বিশ্ব বিবেকহীনে পরিণত হয়েছে। গাজায় হাজার হাজার নারী শিশু হত্যা করা হলেও তাদের কোন ভূমিকা নেই। আমরা গাজার প্রতি সহমর্মিতা থেকে আন্দোলন করছি করে যাব। এতে কিছু হোক আর না হোক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চালু করলেই গাজার দৃশ্য দেখে গা শিউরে ওঠে। তাই মানুষ হিসেবে আমার আমাদের প্রতিবাদ। হযরত আলী নামে একজন বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে গাজায় হামলার মাত্রা বেড়েই চলেছে। তাই মানুষ হিসেবে পরিবার পরিজন নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছি। শক্তি সামর্থ্য থাকলে গাজায় গিয়ে ইসরাঈলীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতাম। তবে ইসরায়েলের সব পণ্য আমার বয়কট করেছে, আমাদের মতো সবাই তাদের পণ্য বয়কট করে প্রতিবাদ জানাবে এটাই প্রত্যাশা করছি। ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ কর্মসূচি সকাল থেকে চলমান রয়েছে। সেসব কর্মসূচি যেন শান্তিপূর্ন ভাবে শেষ হয় সে লক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

রংপুর : ফিলিস্থিনের মানুষের উপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটের অংশ হিসেবে রংপুরে মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সকালে ক্লাস, পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, নানা শ্রেণি পেশার মানুষ মিছিল নিয়ে এসে টাউন হলের সামনে সড়কে অবস্থান করে। সেখানে সমাবেশে বক্তৃতা করেন, মহানগর সুজনের সভাপতি খন্দকার ফখরুল আনাম বেঞ্জু, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহির আলম নয়ন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন মহানগরের আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতিসহ অন্যরা। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে গাজায় বর্বরোচিত ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, ইসরায়েলের আগ্রাসন রুখে দিতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অসহায়, নিরীহ, নিপীড়িত ও মজলুম ফিলিস্তিনবাসীর পাশে দাঁড়াতে হবে। এ সময় ইসরায়েলের পণ্য বয়কট করাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন ও যুদ্ধাপরাধের দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জাতিসংঘ এবং ওআইসি নেতাদের প্রতি দাবি জানানো হয়। এদিকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে রংপুর নগরীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত অফিস এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সংহতি জানান। বিক্ষোভকারীরা গাজায় গণহত্যা বন্ধে বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, পোস্টার এবং ব্যানার প্রদর্শন করেন। ‘দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিভিন্ন ইসলামী রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি পাড়া-মহল্লার মসজিদ ও মাদরাসা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সমাবেশে ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদ এবং ফিলিস্থিনের জনগনের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা। এ সময় ইসরায়েলের পণ্য বয়কটসহ জাতিসংঘকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়।

সিলেট : দ্য ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশহিসাবে সারা দেশের ন্যায় সিলেটে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরতম গণহত্যার প্রতিবাদে ডাকা বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাস পরীক্ষাও বন্ধ ছিল। দুপুরে সিলেট মহানগরের মিরবক্সটুলা অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্ট ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় রেস্টুরেন্টের ভিতরে থাকা ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় নষ্ট করা হয়। এঘটনার পর রেস্টুরেন্টেটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিক্ষোভকারীরা জানান, নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী ইসরায়েলি কোন প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এ দেশে। এই কেএফসি রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় বিক্রি করা হচ্ছে। এটি মেনে নেয়া যায় না। ফিলিস্তিনি ভাইদের রক্ষা করতে বাংলাদেশের কোটি কোটি জনতা প্রস্তুত রয়েছে। চলমান হামলা শুধু একটি অঞ্চলের নয়, সমগ্র মুসলিম বিশ্বের প্রতি আঘাত। এই অমানবিকতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এদিকে সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। একই মানববন্ধন করে বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় বিলাশ বিক্ষোভ মিছিল করে বাংলাদেশ আনজুমানে তালামীযে ইসলামীয়া সিলেট জেলা ও মহানগর শাখা। এছাড়াও ছাত্র-জনতা ও তৌহিদী জনতা, বিভিন্ন ইসলামিক দল, সামাজিক সংগঠন বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। এ সময় বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, ফিলিস্তিনে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ইসরায়েল যে ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘন। এই পরিস্থিতিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং আরব লীগের নীরব ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় : ফিলিস্তিনে ইসরাইলের নির্মম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গাকৃবি) কর্মবিরতি, প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গাকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. জিকেএম মোস্তাফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিল সভাকক্ষে প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, সব ডিন, গ্রেড-১ অধ্যাপক ও পরিচালকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন এবং দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কৃষি অনুষদ ভবনের নিচে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়, হাইস্কুল ও প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকরা। মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিবাদ র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিতে অংশগ্রহণকারীগণ নানান প্ল্যাকার্ডে ফিলিস্তিনের পক্ষে ও ইসরাইলের বিপক্ষে স্লোগান দেন। র‌্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনার শুরুতে ভাইস-চ্যান্সেলর সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনে শহিদ হওয়া সব মুসলিম শিশু ও নর-নারীর বিদেহ আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সমাপনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ইসরাইল যে বর্বরোচিত হামলার মাধ্যমে আমাদের নারী, শিশু এবং মুসলিম ভাই-বোনদের হত্যা করছে তার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই। ইসরাইল কোনো রাষ্ট্র নয় বরং তারা একটি পথভ্রষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন বলেও উপাচার্য গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বক্তৃতায় উপাচার্য মুসলিম বিশ্ব তথা সারাবিশ্বকে এক হয়ে মানবিক কারণে এ গণহত্যার বিচার নিশ্চিতপূর্বক ইসরাইলের সকল পণ্য বয়কট ও তাদের দোসরদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আহ্বান জানান। এ সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে তাদের আর্থিক সাহায্য করতে উপস্থিত সবার প্রতি বিশেষ আহ্বান জানান। সংগৃহীত অর্থ বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশে অবস্থিত ফিলিস্তিনি দূতাবাসের মাধ্যমে পাঠানো হবে বলেও উপাচার্য আলোচনায় উল্লেখ করেন। মানববন্ধনে গাকৃবির প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, অনুষদীয় ডিন, পরিচালক, শিক্ষক সমিতির সভাপতি, রেজিস্ট্রার ও শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে বক্তব্য প্রদান করেন। এ দিকে ফিলিস্তিনিদের জন্য বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বিশেষ দোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

খুলনা : ফিলিস্তিনে নিরস্ত্র মানুষের ওপর ইতিহাসের নির্মম গণহত্যার প্রতিবাদ, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতিরোধ গড়ে তোলার দাবি নিয়ে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানার নিয়ে দুপুর থেকে শিববাড়ি মোড়ে জড়ো হয়ে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় অনেকের হাতে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পতাকা এবং ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের স্লোগান লেখা প্লাকার্ড দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করে তাদের অর্থনীতি পঙ্গু করে দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় ‘নো ওয়ার্ক, নো স্কুল’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক সংগঠন এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এর আগে নগরীর বিভিন্ন এলাকা, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাড়া-মহল্লা থেকে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে নগরীর শিববাড়ি মোড়ে এসে জমায়েত হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ করে তৌহিদি জনতা। এতে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ নারী, পুরুষ ও শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, গাজায় নিরীহ শিশু, নারী এবং সাধারণ মানুষের ওপর নৃশংসতা চালানো হচ্ছে। বর্বর এই হামলায় পাথরের মতো মরছে মানুষ। কিন্তু জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লরা এ নিয়ে কোনো প্রতিবাদ করছে না। আমরা এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইসরায়েলের বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে এখনই সময় বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়কে এক হয়ে ফিলিস্তিন স্বাধীন করার। অন্যথায় বিশ্ব মানবতা ভূলুন্ঠিত হবে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা, ‘নারা-এ-তাকবির, আল্লাহু আকবার, ফিলিস্তিনে হামলা কেন, জাতিসংঘ বিচার চাই, জিহাদ জিহাদ চাই, জিহাদ করে বাঁচতে চাই, ইউ হু আই হু, প্যালেস্টাইন প্যালেস্টাইন, ইসরায়েলি পণ্য বয়কট চাই, বয়কট চাই, জেগেছে জেগেছে, মুসলিম বিশ্ব জেগেছে, ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন। বক্তারা আরও বলেন, নিরীহ ফিলিস্তিনের জনগণের ওপর বর্বরোচিত হামলায় নারী, শিশু, বৃদ্ধ কেউই রেহাই পাচ্ছে না। বছরের পর বছর এমন বর্বরোচিত হামলা হলেও জাতিসংঘসহ বিশ্ব মোড়লরা চুপচাপ রয়েছেন। বিশ্ব বিবেকের এমন নীরবতা পৃথিবীর সব মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ করেছে। যদি জাতিসংঘ ইসরায়েলের এই হামলা বন্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ না করে, তবে বিশ্ব মুসলিম জিহাদ করে ইসরায়েলকে সমুচিত জবাব দেবে। বক্তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত হওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের আহ্বানও জানান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত