ঢাকা সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পরীক্ষা দিতে পারল না সাত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

পরীক্ষা দিতে পারল না সাত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী

চট্টগ্রামে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েও শ্রুতিলেখক জটিলতায় কেন্দ্রে বসে সময় পার করলেন সাত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিনে চট্টগ্রাম নগরীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতি (বাওয়া) উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা সবাই নগরীর হামজারবাগ এলাকার রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। মো. সোরাত আলম নামে এক অভিভাবক গণমাধ্যমকে বলেন, হামজারবাগ রহমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সাত শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে।

তাদের শ্রুতি লেখক না থাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সাদাখাতা জমা দিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী স্কুল কর্তৃপক্ষ সাত জন পরীক্ষার্থীর জন্য সাত জন শ্রুতিলেখক ঠিক করে দেয়ার কথা। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। অথচ স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে শিক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক পাননি। আমরা নিজেরাই সাত জন শ্রুতিলেখক ঠিক করেছিলাম। অনুমতি না থাকায় তাদের পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।

তিনি আরও বলেন, পরীক্ষা শেষে আমরা সাত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে নিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিনের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিবের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক পারভেজ সাজ্জাদ চৌধুরী বলেন, আমাদের নীতিমালায় আছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শ্রুতিলেখকরা অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী হতে হবে।

শ্রুতিলেখক হিসেবে যারা থাকবে, তাদের ১৮ বছরের কম বয়সের বিষয়ে অভিভাবকদের এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রত্যয়ন দিতে হয়। ‘সাত পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক হিসেবে যাদের নিয়ে এসেছিল তারা ইলেভেন-টুয়েলেভ ক্লাসের শিক্ষার্থী। আর সাত শ্রুতিলেখকের সবার প্রত্যয়ন একই হাতের লেখা, যার কারণে বিষয়টি নিয়ে আমাদের সন্দেহ হয়। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া শ্রুতিলেখক নিয়ে এ সাত শিক্ষার্থী কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। এ কারণে কেন্দ্র সচিব তাদের প্রবেশের অনুমতি দিতে পারেননি।’ শারমিন আক্তার নামে আরেক অভিভাবক বলেন, ‘অষ্টম শ্রেণির উপরের শিক্ষার্থীরা শ্রুতিলেখক থাকতে পারেন না, সেটা আমাদের জানা ছিল না। যার কারণে আমরা নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শ্রুতিলেখক হিসেবে ঠিক করেছিলাম। স্কুল থেকেও ঠিক করে দেয়া হয়নি। আজ তাদের একটি পরীক্ষা দেয়া হয়নি।’ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. শরীফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সাত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে নিয়ে দুপুরে আমার অফিস অভিভাবকরা এসেছিলেন। আমি সমস্যাটা জানার চেষ্টা করেছি। পরীক্ষা দেয়ার বিষয়টি শিক্ষাবোর্ড ভালো বলতে পারবে। আমি সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং কেন্দ্র সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। আশা করছি, আগামীতে এ সমস্যার যথাযথ সুরাহা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত