বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে খুলনা খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্প্রিং-২০২৫ সেমিস্টারের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে এ নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মাহমুদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. আবু তৈয়ব আবু আহমেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট ড. এসএম খলিলুর রহমান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের কোষাধ্যক্ষ ডা. এমএ জলিল, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সম্মানিত সদস্য ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মোহাম্মদ আব্দুল মজিদ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. আর্শেদ আলী মাতুব্বর।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই নবীন শিক্ষার্থী ও সম্মানিত অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. শাহজাদা আল সাদিক। অতিথিরা তাদের বক্তব্যে আহ্ছানিয়া মিশনের প্রতিষ্ঠাতা সুফী সাধক হযরত খান বাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) এর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের আলোকপাত করেন। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের মূলমন্ত্র ‘স্রষ্টার ইবাদত ও সৃষ্টের সেবা’ এই মহান ব্রত নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং দক্ষিণবঙ্গে উচ্চশিক্ষা বিস্তারে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি সুদীর্ঘ কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে তার অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তারা আরো বলেন তথ্য প্রযুক্তির যুগে আমাদের তরুণ প্রজন্ম নিজেদের মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে এবং যথাযথ শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করে পিতা-মাতার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কল্যাণ এবং বর্বর ইসরায়েলি হামলায় নিহত ও আহত ফিলিস্তিনবাসীর জন্য দোয়া কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক মেহেদী হাসান এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাদিয়া সুলতানা।