ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নববর্ষ ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

নববর্ষ ঘিরে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে মেলাসহ নানান উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর এসব অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে বাড়ে মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা। এতে চৈত্র মাস থেকেই মাটির তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বসন্তপুর গ্রামের মৃৎশিল্পীরা। তবে মাটির তৈরি বিভিন্ন শৈল্পিক কারুকার্য। কারুকার্য দেখলে মন ছুঁয়ে যাবে যে কারো। তবে কালের বিবর্তনে হারাতে বসেছে রাজশাহীর এই শখের মৃৎশিল্প।

মৃৎশিল্প কারিগর সুশান্ত পালের ছেলে মৃত্যুঞ্জয় পাল জানান, রং দিয়ে এবং বিভিন্ন কারুকাজ করে আমরা এ মাটির তৈরি তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরি করি। আমরা সারা বছরই এ কাজ করি। তবে এ সময়ে আমাদের ব্যস্ততা একটু বাড়ে। হাতে সময় নেই। রং আর বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেন পরিবারের অন্য সদস্যরাও। তারা মনে করেন বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী এসব পণ্যের বেচাকেনা বাড়লে সারা বছরের লোকসান তারা কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবো। রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভার বসন্তপুর গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখাযায়, বৈশাখী মেলায় ব্যবসা করতে শেষ মুহূর্তে পণ্য তৈরিতে রাত-দিন কাজ করে চলেছেন শিল্পীরা। সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত ঘরের আঙিনায় বসে মাটি দিয়ে পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, হাঁড়ি, পাতিলসহ বিভিন্ন খেলনা ও সামগ্রী তৈরি করছেন তারা। রোদে শুকিয়ে, আগুনে পুড়িয়ে তারপর নিপুণ তুলির আঁচড়ে বাহারি রঙে রাঙিয়ে তোলা হচ্ছে মাটির তৈরি জিনিসগুলো। তাদের তৈরি এই জিনিসগুলো আগামীকাল পহেলা বৈশাখের মেলাসহ বিভিন্ন এলাকার বাজারে বিক্রি করা হবে। যদিও প্লাস্টিকের পণ্য বাজার দখল করে নেয়ায় চাহিদা কমে গেছে মাটির তৈরি জিনিসপত্রের। তারপরও বাপ-দাদার এ পেশাকে এখনও ধরে রেখেছেন তারা। পৃষ্ঠপোষকতা ও প্রশিক্ষণ পাওয়া গেলে এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত