অর্থনৈতিক অপরাধে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য একটা কমিটি গঠন করা হচ্ছে। প্রাথমিক কাজগুলো হয়েছে, এখন অর্থনৈতিক অপরাধে যারা জড়িত ছিল, তাদের ব্যাপারে তদন্ত শুরু করার জন্য আমরা আলাদা একটা কমিটি গঠন করছি। তিনি বলেন, সরকারি হিসাব নিরীক্ষা অধ্যাদেশ যেটা আছে, ১৯৭৪ সালের একটা আইন ছিল। সেই আইনের অতিরিক্ত হিসেবে, সম্পূরক হিসেবে এই অধ্যাদেশ আজকে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। এটার উদ্দেশ্য হচ্ছে- অডিটের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কিছু মান আছে। সেই মান এবং চর্চা যেন বাংলাদেশের কম্পট্রলার এবং অডিটর জেনারেল মেনে চলেন। যাতে করে সরকারি অর্থের সঠিক ব্যয় আমরা নিশ্চিত করতে পারি, স্বচ্ছতা আমরা নিশ্চিত করতে পারি। উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমরা দেখেছি যে, একটা শিল্পগোষ্ঠী কীভাবে কয়েকটা ব্যাংকে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে, কত টাকা এ দেশ থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এই জিনিসটা ভবিষ্যতে যাতে না হতে পারে, সেজন্য কর্পোরেট সেক্টরে, ব্যাংক সেক্টরের শৃঙ্খলা আনার জন্য, জবাবদিহির জন্য আমানতকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য, ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ আজকে আমরা অনুমোদন দিয়েছি। আমরা আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনায় আমাদের সাধারণ আমানতকারীদের আর পড়তে না হয়, সেজন্য এক্ষেত্রে শৃঙ্খলা কীভাবে আনা যায়- বাংলাদেশ ব্যাংককে কতটুকু ক্ষমতা দেয়া হবে, সে কোন পর্যায় গিয়ে হস্তক্ষেপ করবে, এগুলো আইনে স্পষ্ট ছিল না। এখন এগুলো স্পষ্ট করা হলো।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি কিন্তু জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের একটা সুপারিশ ছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এই অধ্যাদেশ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেছিলেন- রাজস্ব সংগ্রহ এবং রাজস্ব সংক্রান্ত নীতি করার জন্য দুটি আলাদা কর্তৃপক্ষ হবে। সেই মোতাবেক রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশে আমরা দুটি কাজকে আলাদা করছি।