ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং বিশ্বাস ও নৈতিকতার সমন্বয়ের বিকল্প নেই

মুসা আল হাফিজ
একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জ্ঞান, প্রযুক্তি এবং বিশ্বাস ও নৈতিকতার সমন্বয়ের বিকল্প নেই

একুশ শতক আমাদের গুরুতর বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একদিকে দরকার জ্ঞান ও প্রযুক্তি, অন্যদিকে বিশ্বাস ও নৈতিকতা। উভয়ের সমন্বয় ছাড়া বৃহত্তর অগ্রগতি অসম্ভব। গত ৩১ ডিসেম্বর শনিবার ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অলিম্পিয়াড-১৪৪৩-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কবি ও গবেষক মাওলানা মুসা আল হাফিজ।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তন ঢাকায় অনুষ্ঠিত এ সভায় তিনি আরও বলেন, ইসলাম ব্যক্তির মধ্যে নিহিত সব কল্যাণী সম্ভাবনাকে বিকশিত করে উন্নত সমাজের জমি তৈরি করে। আদর্শ ব্যক্তি গঠন ছাড়া আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ অসম্ভব। ফলে মানবসম্পদ উন্নয়নে আত্মিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও কর্মদক্ষতার বিকাশের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের বিকাশ ঘটাতে হবে। ইসলামের ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে ইসলাম সম্পর্কে চলমান ভুল ধারণা ও মুসলমানদের বিভিন্ন ধারার মধ্যকার চিন্তাগত দূরত্ব কমিয়ে আনতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অলিম্পিয়াড ভবিষ্যতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে চায়।

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সূচিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইসলামিক থটস, BIIT-এর মহাপরিচালক ড. এম আবদুল আজিজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় ইমাম খতিব পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শায়খ মুহাম্মাদ উসমান গনি, ব্যারিস্টার এস এম আবিদ রহমান। এছাড়া আয়োজকদের মধ্য থেকে বক্তব্য দেন, লেখক ও ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট মুহাম্মাদ সজল, লেখক-উদ্যোক্তা আরিফুল ইসলাম এবং ইউনাইটেড মুসলিম উম্মাহ ইয়ং নেটওয়ারর্ক বাংলাদেশের সভাপতি শাহাদাত ইউসুফ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. এম আব্দুল আজিজ নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় ইসলামের ক্রমবর্ধমান ভূমিকা এবং ইসলামকে বুঝতে ইসলামের ইতিহাস জানার গুরুত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি তুলে ধরেন ইতিহাসে মুসলমানদের অবদানের কথা। পাশাপাশি, ইসলামের ইতিহাস চর্চা ছড়িয়ে দিতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অলিম্পিয়াডের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। অন্যান্য বক্তারা আত্মপরিচয় ও জাতীয় সংহতিকে সুদৃঢ় করার মাধ্যমে তারুণ্যকে সমাজ ও বৃহত্তর বাস্তবতায় ইতিবাচকতার অনুশীলনের আহ্বান জানান।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অলিম্পিয়াডে ১০ হাজারেরও বেশি প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ড আয়োজিত হয় সারাদেশের সব প্রতিযোগীর মধ্যে, যেখান থেকে বাছাই করা হয় বিভাগীয় পর্যায় ও জাতীয় পর্যায়ের বিজয়ীদের। জাতীয় পর্যায়ে সেরা ২০০ জনের মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নিশ্চিত করা হয়। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের পুরস্কার হিসেবে দেয়া হয় যথাক্রমে ১ লাখ, ৫০ হাজার ও ৩০ হাজার টাকা প্রাইজমানি, বই ও সার্টিফিকেট। এই প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে সেরা ২০০ জনের মধ্য থেকে প্রথম হয়েছেন মো. তাহমিদুর রহমান সা’দ, আলিম দ্বতীয় বর্ষ, দারুননাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদ্রাসা। দ্বিতীয় হয়েছেন মো. আকিবুল হাসান, এগ্রিকালচার ডিপার্টমেন্ট, দ্বিতীয় বর্ষ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ। তৃতীয় হয়েছেন জাকির হোসাইন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, বর্ষ চতুর্থ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। চার থেকে দশম স্থান অধিকারীদেরও দেয়া হয় নগদ অর্থ, বিশেষ পুরস্কার, বই, ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট। উত্তীর্ণ ১০০ জনকে দেওয়া হয় বিশেষ পুরস্কার।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত