ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রমজান ইবাদতের বসন্ত

আবদুল্লাহ সরদার
রমজান ইবাদতের বসন্ত

দোরগোড়ায় হাজির বরকতময় মাস রমজান। এ রমজান মাসই সিয়ামণ্ডকিয়াম এবং তেলাওয়াতের মাস, পাপমোচন ও ক্ষমা প্রাপ্তির মাস, দয়া ও সদকার মাস। এ মাসেই জান্নাতের দরোজাগুলো খুলে দেওয়া হয়। দ্বিগুণ করে দেওয়া হয় পুণ্যের মান। মার্জনা করা হয় যাবতীয় ভুল। এ মাসেই মানুষের ডাকে সাড়া দেয়া হয়। বুলন্দিত হয় তাদের মান-মর্যাদা। এটা এমন মাস, যে মাসে আল্লাহতায়ালা তাঁর বান্দাদের নানা কিসিমের সম্মাননা প্রদান করেন। এ মাসেই আল্লাহ তাঁর বন্ধুদের দান করেন প্রচুর পরিমাণে। আল্লাহতায়ালা এ মাসের রোজাকে ইসলামের একটি রোকন বানিয়েছেন। তাই তো নবীজি (সা.) রোজা রেখেছেন। সাহাবিদের আদেশ করেছেন রোজা রাখতে। রাসুল (সা.) সুসংবাদ দিয়েছেন, ‘অন্তরে ঈমান পুষে এবং পুণ্য অর্জনে যে রোজা রাখবে, আল্লাহ তার আগের সব গোনাহ ক্ষমা করে দেবেন। আর যে ব্যক্তি এ মাসে কিয়ামুল লাইল করবে, আল্লাহ তার সব পাপ মোচন করবেন।’

রোজার অনেক ফজিলত

এটা এমন মাস, যে মাসে হাজার রাতের চেয়ে উত্তম একটি রাত রয়েছে। এ রাতের কল্যাণ থেকে যে বঞ্চিত হবে, সে যেন সবকিছু থেকেই বঞ্চিত। তাই রমজানকে স্বাগত জানানো, রোজা রাখা, নামাজ কায়েম করা, কল্যাণের দিকে ধাবিত হওয়া, সব পাপ থেকে ক্ষমা চাওয়া, পুণ্য ও আল্লাহভীরুতায় পরস্পরকে উপদেশ ও সহযোগিতা করা, সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজ থেকে নিষেধ করা, যাবতীয় কল্যাণময় কাজের প্রতি আহ্বান করার ওপর দৃঢ় সংকল্প থাকা চাই। যাতে সম্মান ও মহাপ্রতিদান অর্জন করা যায়। রোজার অনেক ফায়দা এবং বড় বড় হেকমত রয়েছে। এর উল্লেখযোগ্য হলো, যাবতীয় নিকৃষ্ট অভ্যাস থেকে অন্তকে পরিষ্কার করা। যেমন- অহংকার ও কৃপণতা ইত্যাদি। মহানুভব চরিত্রের জন্য অন্তরকে অভ্যস্ত করা চাই। যেমন- ধৈর্য, সহনশীলতা, দানশীলতা এবং আল্লাহ যাতে সন্তুষ্ট হন, সে ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা করা।

রোজা তাকওয়ার মহান শাখা

বান্দা প্রতিপালকের সামনে তার দারিদ্র, দুর্বলতা ও প্রয়োজনীয়তাকে বুঝতে পারে। তার ওপর আল্লাহর মহান নেয়ামতগুলোকে স্মরণ করতে পারে। তার মানসপটে ভেসে ওঠে দরিদ্র মানুষের অভাবের চিত্র। তাই তার ওপর আবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়ায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা আদায় করা, আল্লাহর আনুগত্যের জন্য তাঁর নেয়ামতের সাহায্য প্রার্থনা করা, দরিদ্র মানুষগুলোর প্রতি সাদাচরণ করা। আল্লাহতায়ালা এসব বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন, ‘হে মোমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। হয়তো তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে।’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)। আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তিনি আমাদের ওপর রোজা ফরজ করেছেন; যাতে আমরা তাঁকে ভয় করি। এ বিষয়টি মূলত ইঙ্গিত করে যে, রোজাই হলো তাকওয়ার মূল মাধ্যম। তাকওয়া বলা হয়, আল্লাহর ভয়, আগ্রহ ও ভালোবাসা হৃদয়ে রেখে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর আনুগত্য করে আদেশ পালন করা এবং নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর শাস্তি ও ক্রোধ থেকে বেঁচে থাকা। কারণ, রোজাই হলো তাকওয়ার মহান একটি শাখা। আল্লাহর কাছাকাছি হওয়ার ওসিলা। দ্বীন-দুনিয়ার বাকি সব কাজ পূরণের শক্তিশালী মাধ্যম।

রোজাই রোজাদারের মুক্তির পথ

রাসুল (সা.) রোজার কিছু উপকারিতার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘যুবক সম্প্রদায়! তোমাদের মাঝে যার সামর্থ্য আছে, সে যেন বিয়ে করে। কারণ, বিয়ে দৃষ্টিশক্তিকে হেফাজত করবে আর গুপ্তস্থানের জন্য সুরক্ষার কারণ হবে। আর যে পারবে না, সে যেন রোজা রাখে। কেননা, রোজা যৌন উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে রাখে।’ (বোখারি : ৫০৬৫, মুসলিম : ৪১২)। নবীজি (সা.) স্পষ্ট করেছেন, রোজাই রোজাদারের জন্য মুক্তির পথস্বরূপ। এটা এ কারণে যে, শয়তান বনি আদমের শিরায় শিরায় চলে, আর রোজা সেই জায়গাটাকে সংকীর্ণ করে দেয়। স্মরণ করিয়ে দেয় আল্লাহর কথা, তাঁর মহত্তের কথা। ফলে দুর্বল হয়ে পড়ে শয়তানের ক্ষমতা। বাড়ে ঈমানি শক্তি। এ কারণে মোমিনদের আনুগত্য বাড়ে, আর গোনাহের সংখ্যা কমে।

মাহে রমজানের শ্রেষ্ঠত্ব

রোজার শ্রেষ্ঠত্ব ও রোজা ফরজ হওয়ার ব্যাপারে অনেক আয়াত ও হাদিস বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘এটা রমজান মাস; যে মাসে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। যা মানুষের হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ এবং সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্য নির্ণয়কারী। তোমাদের যে কেউ এ মাস পাবে, সে যেন রোজা রাখে। আর যে অসুস্থ বা সফরে থাকবে, সে অন্য দিনগুলোতে গণনা পূর্ণ করবে। আল্লাহ তোমাদের জন্য সহজতা চান; কঠিনতা নয়। যেন সময় গণনা পূর্ণ কর এবং তোমাদেও হেদায়াত দান করার কারণে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব বর্ণনা কর। যেন তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।’ (সুরা বাকারা : ১৮৫)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে পাঁচটি ভিত্তির ওপর। এ কথার সাক্ষ্য দেওয়া- আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই আর মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল, নামাজ কায়েম করা, জাকাত আদায় করা, রমজানে রোজা রাখা, বাইতুল্লাহর হজ করা।’ রাসুল (সা.) আরও বলেন, বনি আদমের প্রতিটি কাজ তার জন্য। একটি পুণ্য দশগুণ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘তবে রোজার সওয়াব ছাড়া। কারণ, রোজা আমার জন্যই। আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দেব। সে তার প্রবৃত্তি ও খাবার ছেড়েছে আমার সন্তুষ্টির জন্য।’ রোজাদারের জন্য দুটো খুশির বিষয় আছে। একটা তার ইফতারের সময়, আরেকটা তার প্রতিপালকের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। রোজাদারের মুখের দুর্গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশকের চেয়ে প্রিয়। (মুসলিম : ২৭৬০)।

ইবাদতের মৌসুমের মাস রমজান

রাসুল (সা.) বলেন, ‘রমজান এলেই জান্নাতের দরোজাগুলো খুলে দেওয়া হয়, আর জাহান্নামের দরোজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আর শয়তানকে শেকলবদ্ধ করা হয়।’ (মুসলিম : ২৫২৯)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, রমজানের প্রথম রাতেই শয়তান ও জিনকে আটকে ফেলা হয়। জান্নাতের দরোজাগুলো উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর কোনো দরোজা বন্ধ করা হয় না। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং আর খোলা হয় না। একজন ঘোষণা দেয়, ‘হে কল্যাণকামী! এগিয়ে যাও। হে অনিষ্ট অন্বেষণকারী! থামো।’ আল্লাহই জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এটা প্রতি রাতেই হয়। (বোখারি : ৩৮, মুসলিম : ১৮১৭)। মুসলমানদের উচিত, এ মহান মাসকে গণিমত মনে করা এবং নানা প্রকার ইবাদতের মাধ্যমে এ মাসকে মহিমান্বিত করে তোলা। এটা এমন মাস, যাকে আল্লাহতায়ালা ইবাদতের জন্য ময়দান স্বরূপ বানিয়েছেন। যেখানে আনুগত্য, নানা প্রকারের কল্যাণমূলক কাজ, সালাত, সদকা, কোরআন পাঠ, গরিব-মিসকিনদের প্রতি সদাচরণের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা করা হয়। রাসুল (সা.) ছিলেন সবচেয়ে দানশীল ব্যক্তি। রমজান এলে তিনি আরও বেশি দানশীল হয়ে উঠতেন।

পানাহার ত্যাগের নাম রোজা নয়

মুসলমানদের উচিত, রোজায় আল্লাহতায়ালা যেসব জিনিস হরাম করেছেন, তার থেকে রক্ষা করা। নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে মিথ্যা কথা ও পাপাচারি ছাড়তে পারে না, তার খাওয়া-দাওয়া ছাড়ার ব্যাপারে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বোখারি : ১৯০৩)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘রোজা হলো ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ যখন রোজা রাখে, সে যেন খারাপ কাজ না করে এবং মূর্খের মতো আচরণ না করে। কোনো ব্যক্তি যদি তাকে গালি দেয়, তাহলে সে যেন বলে, আমি রোজাদার।’ (সুনানে নাসায়ি : ২২১৭)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘রোজা নিছক পানাহার থেকে বিরত থাকার নাম নয়; রোজা গোনাহ ও অনর্থক কার্যাদি থেকে বিরত থাকার নামও বটে।’ (মুসতাদরাকে হাকেম : ১৫৭০, সুনানে বাইহাকি : ৮৫৭১)। জাবের আবদুল্লাহ আল আনসারি (রা.) বলেন, ‘তুমি যখন রোজা রাখবে, তখন তোমার কান, দৃষ্টি, মিথ্যা কথা ও হারাম কাজ ও প্রতিবেশীকে কষ্ট দেওয়া থেকেও তোমাকে রোজা রাখতে হবে। তোমার যেন সুস্থিরতা থাকে। তোমার রোজার দিন ও সাধারণ দিনকে সমান বানিয়ে ফেলো না।’ (সুনানে বাইহাকি : ৩৩৭৪)।

রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখা কাম্য

রমজান মাসে অধিক পরিমাণে সদকা, ইস্তেগফার আদায় করা এবং দিনরাতে নৈকট্য লাভের যত মাধ্যম আছে, সেগুলো কাজে লাগানো, সময়কে গণিমত মনে করা এবং দ্বিগুন পুণ্যের প্রতি আগ্রহ ও আসমান জমিনের সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনে সারাক্ষণ লেগে থাকা চাই। রোজার মধ্যে ওইসব জিনিস থেকে সতর্ক থাকতে হবে, যা রোজার মান কমিয়ে প্রতিদান দুর্বল করে দেয় এবং আল্লাহকে ক্রোধান্বিত করে তোলে। যেমন- নামাজের প্রতি উদাসীনতা, জাকাত আদায়ে কৃপণতা, সুদ খাওয়া, এতিমের মাল খাওয়া, দুর্নীতিসহ নানা কিসিমের জুলুমে লিপ্ত হওয়া, পিতামাতার অবাধ্য হওয়া, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা, গিবত, হিংসা, মিথ্যা কথা, মিথ্যা সাক্ষ্য, মিথ্যা দাবি, মিথ্যা কসম, বেপর্দা চলাফেরা, কাপড় পরিধানে কাফের নারীদের সঙ্গে সাদৃশ্য রাখা ইত্যাদি যেগুলো থেকে আল্লাহ নিষেধ করেছেন, সেগুলো সব সময় হারাম; কিন্তু রমজানে আরও কঠোরভাবে হারাম করা হয়েছে। এ গোনাহগুলোর সবচেয়ে নিকৃষ্ট ও বিপজ্জনক ফলাফল হলো, নামাজের ব্যাপারে আলসেমি, মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যাপারে অলসতা। নিঃসন্দেহে এটি মোনাফেকের আলামত এবং দ্রোহ ও ধ্বংস হওয়ার কারণ। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় মোনাফেকরা আল্লাহর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে। আল্লাহও তাদের জন্য কৌশল আঁটেন। তারা যখন নামাজে দাঁড়ায়, তখন অলস ভঙ্গিতে দাঁড়ায়। তারা লোকদের দেখায়। আর আল্লাহকে খুব কমই স্মরণ করে।’ (সুরা নিসা : ১৪২)। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে আজান শুনল, কিন্তু মসজিদে এলো না, ওজর ছাড়া তার নামাজ কবুলই হবে না।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ : ৭৯৩, সহিহ ইবনে হিব্বান : ২০৬৪, মুসতাদরাকে হাকেম : ৮৯৪)। একবার এক অন্ধ লোক রাসুল (সা.)-কে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমার বাড়ি মসজিদ থেকে অনেক দূরে। পথ দেখিয়ে নিয়ে আসার মতো কেউ নেই। তাই বাড়িতে নামাজ পড়ার সুযোগ আছে?’ নবীজি (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘আজান শুনতে পাও?’ সে বলল, ‘হ্যাঁ।’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘তাহলে ওয়াজিব।’

রমজানে নিকৃষ্ট ফেতনা এড়ানো জরুরি

রমজানের অন্যতম নিকৃষ্ট ফেতনা হলো, গান-বাজনা ও অশ্লীল বিনোদন মাধ্যম। সেগুলো হাটেঘাটে ফলাও করে প্রচার করা অনুচিত। নিঃসন্দেহে এটি অন্তরের রোগ; যা আল্লাহর স্মরণ, নামাজ ও কোরআন তেলাওয়াত থেকে এবং উপকারিতা অর্জন থেকে বিরত রাখে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে, যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে সরানোর জন্য অনর্থক কথাবার্তা সংগ্রহ করে এবং সেগুলো ঠাট্টারূপে নেয়। তাদের জন্য রয়েছে অপমানজনক শাস্তি।’ (সুরা লোকমান : ৬)। শাস্ত্রীয়বিদরা অনর্থক কথার ব্যাখ্যায় বলেছে, তা হচ্ছে গান, অনর্থক কর্মকাণ্ডের মাধ্যম, প্রত্যেক এমন বাক্য, যা মানুষকে সৎ পথ থেকে বিচ্যুত করে। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমার উম্মতের মাঝে এমন সম্প্রদায় থাকবে, যারা হির হারির খমর ও মায়াজেফকে হালাল মনে করবে।’ (বোখারি : ৫৫৯০, সুনানে আবি দাউদ : ৪০৪১)। হির হলো হারাম লজ্জাস্থান; হারির তো প্রসিদ্ধ (রেশমি পোশাক); আর খমর হলো প্রত্যেক ওই জিনিস, যা বিবেককে বেহুশ করে দেয়; মায়াজেফ হলো গানবাজনা এবং অনর্থক কাজকর্মের উপকরণ। মোটকথা, শেষ জমানায় এমন সম্প্রদায় থাকবে, যারা জিনা, রেশমি পোশাক, মদ খাওয়া, বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে। রাসুল (সা.) বলেন, ‘গান অন্তরে নেফাক সৃষ্টি করে, যেমন পানি ফসল সৃষ্টি করে।’ (সুনানে বাইহাকি : ২১৫৩৬)। তাই আল্লাহ আমাদের যে বিষয়ে নিষেধ করেছেন, সে বিষয়ে সতর্ক থাকা চাই। রমজান ও অন্যান্য সময় আল্লাহর আনুগত্যে অটল থেকে পরপারের যাত্রী হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকা কাম্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত