প্রশ্ন : মুসাফিরের জন্য রোজার বিধান কী?
উত্তর : মুসাফিরের জন্য সফরের হালতে রোজা না রাখার সুযোগ রয়েছে। তবে অস্বাভাবিক কষ্ট না হলে রোজা রাখাই উত্তম। আর অস্বাভাবিক কষ্ট হলে রোজা রাখা মাকরুহ। এ অবস্থায় রোজা না রেখে পরে তা কাজা করবে। আসিম (রহ.) বলেন, আনাস (রা.)-কে সফরকালে রোজা রাখার বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, ‘যে রোজা রাখবে না, সে অবকাশ গ্রহণ করল। আর যে রোজা রাখল, সে উত্তম কাজ করল।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৬/১৩২, রদ্দুল মুহতার : ২/৪২১, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪০৩)।
প্রশ্ন : সফরের হালতে রোজা রাখা শুরু করলে তা ভাঙা যাবে?
উত্তর : সফরের হালতে রোজা রাখা শুরু করলে তা আর ভাঙা জায়েজ নয়। কেউ ভেঙে ফেললে গোনাহগার হবে। তবে কাফফারা আসবে না। শুধু কাজাই যথেষ্ট। আনাস (রা.) বলেন, ‘কেউ রোজা রেখে সফরে বের হলে রোজা ভাঙবে না। তবে যদি পিপাসার কারণে প্রাণনাশের আশঙ্কা হয়, তাহলে রোজা ভাঙতে পারবে, পরে তা কাজা করে নেবে।’ (ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪০৩, রদ্দুল মুহতার : ২/৪৩১)।
প্রশ্ন : মুসাফির সফরের কারণে রোজা রাখেনি; কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আগেই মুকিম হয়ে গেল। তাহলে দিনের অবশিষ্ট সময় করণীয় কী?
উত্তর : মুসাফির সফরের কারণে রোজা রাখেনি; কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আগেই মুকিম হয়ে গেল। তাহলে দিনের অবশিষ্ট সময় রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব। তবে পরবর্তী সময়ে এ রোজার কাজা অবশ্যই করতে হবে। ইবরাহিম নাখায়ি (রহ.) বলেন, ‘যে মুসাফির রমজানের দিনে (সফরের হালতে) খানা খেয়েছে, সে মুকিম হয়ে গেলে দিনের বাকি অংশ পানাহার থেকে বিরত থাকবে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৬/২২১, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৯১, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪২৮)।
প্রশ্ন : রমজানের দিনে হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র হলে অবশিষ্ট দিন কী করবে?
উত্তর : রমজানের দিনে হায়েজ-নেফাস থেকে পবিত্র হলে অবশিষ্ট দিন রমজানের মর্যাদা রক্ষার্থে পানাহার থেকে বিরত থাকা ওয়াজিব। তবে এ ওজরে ছুটে যাওয়া রোজাগুলোর সঙ্গে এ দিনের রোজাও কাজা করবে। হাসান (রা.) বলেন, ‘সুবহে সাদিকের পর যে হায়েজ থেকে পবিত্র হয়েছে, সে দিনের বাকি অংশে পানাহার করবে না।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৬/২২১, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৪২৮, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৯১)।