ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করুন

তাবাসসুম মাহমুদ
যত্রতত্র ময়লা ফেলা বন্ধ করুন

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য, সুস্থ মনন ও রুচিবোধের পরিচায়ক। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মাধ্যমে দেহমন সুস্থ থাকে। আল্লাহতায়ালাও তাদের পছন্দ করেন। তাই ইসলাম প্রতিটি মানুষকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি যত্নশীল হতে বলেছে। বাড়িঘর ও তার আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছে। তবে এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখতে বলেছে, আমাদের ঘরের ময়লা-আবর্জনা দ্বারা যেন প্রতিবেশী কষ্ট না পায়। কোনো পথচারী যেন যাতনার শিকার না হন। কিন্তু অপ্রিয় সত্য হলো, আমাদের অনেকে নিজের ঘরের ময়লা-আবর্জনা পলিথিনে ভরে ঘরের জানালার ফাঁক দিয়ে অথবা ছাদ থেকে রাস্তায় ছুড়ে মারে। অনেকে গাড়িতে কলা খেয়ে কলার খোসা রাস্তায় ফেলে দেয়। এভাবে আমরা যত্রতত্র ময়লা ফেলে দিই। এতে রাস্তা ময়লাযুক্ত হয় এবং মানুষ কষ্ট পায়। এভাবে জনগণকে কষ্ট দেওয়া থেকে ইসলাম নিষেধ করেছে। ময়লাগুলো ডাস্টবিন এবং নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত।

রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের প্রত্যেকের নৈতিক দায়িত্ব। মানুষ, জীবজন্তু, পশুপাখির জন্য কষ্টদায়ক বস্তুগুলো রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলা জনসেবা এবং বড় সওয়াবের কাজ। এর ফলে বান্দা জান্নাতের অধিকারী হয়ে যায়। রাসুল (সা.) বলেন, ‘ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা রয়েছে। এর সর্বোচ্চ শাখা হলো লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা। আর সর্বনিম্ন শাখা হলো, রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে ফেলা।’ (তিরমিজি : ২৬১৪)। রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘তোমরা এমন দুটি কাজ হতে বিরত থাক, যা অভিশপ্ত।’ সাহাবিরা জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! সেই অভিশপ্ত কাজ দুটি কী?’ জবাবে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মানুষের যাতায়াতের পথে কিংবা ছায়াযুক্ত স্থানে (গাছের ছায়ায়, যেখানে মানুষ বিশ্রাম গ্রহণ করে) পেশাব-পায়খানা করে।’ (মুসলিম : ২৬৯, সুনানে আবি দাউদ : ২৫)। অতএব, ঘরবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেষ্ট হতে হবে। চলাচলের পথে ময়লা-আবর্জনা না ফেলা চাই। এ ক্ষেত্রে ইসলামের দিকনির্দেশনা মেনে চলা কর্তব্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত