ঢাবিতে কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা

মারিয়া সিদ্দিক

প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

কওমি স্টুডেন্ট ফোরাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা’ ১৮ জুন রোববার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র-শিক্ষকদের উপস্থিতিতে আড়ম্বরপূর্ণ পরিবেশে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত। কওমি স্টুডেন্ট ফোরামের সেক্রেটারি লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ জিয়ার সঞ্চালনায় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি মুসা আল হাফিজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, উর্দু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. হুসাইনুল বান্না, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ড. মাহমুদুল হাসান এবং লেখক সাইমুম সাদি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মুসা আল হাফিজ ইসলামি শিক্ষা ব্যবস্থার ইতিহাস এবং বিশ্বসভ্যতায় এর প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, ‘ইসলামি শিক্ষা একদিকে যেমন মানকুলাত বা বর্ণনাভিত্তিক ধর্মীয় জ্ঞানকে গুরুত্ব দেয়, তেমনি মাকুলাত বা বুদ্ধিবৃত্তিক জ্ঞানচর্চাকেও গুরুত্ব দেয়। ফলে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বাদ দিয়ে ইসলামি শিক্ষার সত্যিকার পুনর্গঠন সম্ভব নয়। সামাজিক বিজ্ঞানের মেথোডলজি ইবনে খালদুনের পৃষ্ঠাগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছে এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের চর্চার পুরোধা ছিলেন ইবনে সিনা, ইবনে রুশদ। আমরা যদি নিজেদের জ্ঞানকাঠামোর উপনিবেশায়ন করতে চাই, তাহলে সেই অতীতের সঙ্গে বর্তমানের সংযোগ সৃষ্টি করে ভবিষ্যতের পথরেখা নির্মাণ করতে হবে।’

ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম ছাত্রদের ক্যারিয়ার নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসার ছাত্ররা প্রচুর মেধাবী। ফলে তারা যে বিষয়ে পড়বে, সে বিষয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে। যারা মাদ্রাসা বা ইসলামিক সিম্বলের কারণে কাউকে হেয় করে, অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, তারাও এক ধরনের বর্ণবাদী।’ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব ডক্টর মাহমুদুল হাসান ভারত উপমহাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার উত্থান-পতনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সেই সঙ্গে ইসলামি শিক্ষাব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকটগুলো তুলে ধরে উত্তরণের নির্দেশনা দেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডক্টর হুসাইনুল বান্না ছাত্রদের গণমুখী হতে এবং সৃষ্টিসেবায় নিজেদের সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগ করতে পরামর্শ দেন। আত্মমর্যাদা বোধ এবং নৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার উপদেশ দেন।