প্রশ্ন : বাস-ট্রেন ও চলন্ত যানবাহনে তায়াম্মুম করে নামাজ পড়া যাবে?
উত্তর : যদি গন্তব্যে পৌঁছে নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয় অথবা যানবাহনটি এমন কোথাও না দাঁড়ায়, যেখানে পানি দ্বারা অজু করে নামাজ আদায় করা অসম্ভব, এমতাবস্থায় গাড়িতে পানির ব্যবস্থা না থাকলে মাটি জাতীয় বস্তু দ্বারা তায়াম্মুম করে নামাজ পড়া জায়েজ আছে। (সুরা মায়িদা : ৬, ফতোয়ায়ে শামি: ১/৯৬, খোলাসাতুল ফাতাওয়া: ১/৩৫, ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ১/২৭, তাবয়িনুল হাকায়েক: ১/১১৯, ফতোয়ায়ে ওয়ালওয়ালিজিয়্যাহ: ১/৬৫)।
প্রশ্ন : চোখে অপারেশন হওয়া ব্যক্তির ব্যান্ডেজ খুলে দেয়া হলেও ডাক্তার এক মাস পর্যন্ত চোখে পানি লাগাতে নিষেধ করে থাকেন। এ ধরনের রোগী কীভাবে অজু করবে?
উত্তর : এ ধরনের রোগীর যতদিন চোখে পানি লাগানো নিষেধ থাকে, ততদিন অজুর সময় চোখের আশপাশ ও কপালের অংশ ভেজা হাত দ্বারা মাসেহ করে নেবে। চোখের অংশ মাসেহ করাটাও যদি ক্ষতিকর হয়, তাহলে তা মাসেহ না করলেও চলবে। আর চেহারার নিম্নাংশ ধোয়া সম্ভব হলে ধুবে। কিন্তু যদি এ অংশও ধোয়া ক্ষতিকর হয়, তাহলে ধোয়ার পরিবর্তে পুরো মুখমণ্ডল মাসেহ করবে। আর অজুর অন্যান্য অঙ্গ ধোয়া সম্ভব হলে এ ক্ষেত্রে তায়াম্মুম করা যাবে না, বরং অন্যান্য অঙ্গ যথানিয়মে ধুয়ে নেবে। (আন নুতাফ ফিল ফাতাওয়া: ১৮, বাদায়েউস সানায়ে: ১/১৭৭, শরহুল মুনয়া: ১১৬, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া: ১/৪২৫)।
প্রশ্ন: পেয়ারা, আপেল ইত্যাদি শক্ত ফলমূল ও খাবার কামড়ে খাওয়ার সময় দাঁত দিয়ে রক্তের হালকা ছাপ প্রকাশ পেলে করণীয় কী?
উত্তর: ফল কামড়ে খেলে তাতে যেহেতু খুব সামান্য রক্তের ছাপ দেখা যায়, তাই এর দ্বারা তার অজু ভাঙবে না। এ ক্ষেত্রে নতুন অজুর প্রয়োজন নেই। পূর্ববর্তী অজু দ্বারাই তিনি তেলাওয়াত, নামাজ ইত্যাদি আদায় করতে পারবেন। উল্লেখ্য, অজু ভাঙার জন্য গড়িয়ে পড়া পরিমাণ রক্ত শরীর থেকে বের হওয়া আবশ্যক। সামান্য রক্ত দৃশ্যমান হলে অজু নষ্ট হয় না। (ফতোওয়ায়ে খানিয়া ১/৩৮, আত তাজনিস ওয়াল মাজিদ: ১/১৪৭, বাদায়েউস সানায়ে: ১/১২৫, হালবাতুল মুজাল্লি: ১/৩৭৭, শরহুল মুনয়া: ১৩২)।