ঢাকা ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফুলে ফুলে ঘেরা ছায়াবীথি

মিনহাজুল আরিফীন
ফুলে ফুলে ঘেরা ছায়াবীথি

ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ফুল হচ্ছে সৌন্দর্য, শান্তি ও ভালোবাসার প্রতীক। ফুল স্নিগ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। ফুলের সৌরভ একদিকে যেমন মানুষকে বিমোহিত করে, তেমনি এর সৌন্দর্য প্রাকৃতিক পরিবেশকেও করে তোলে আকর্ষণীয়। এর পাপড়ির বিন্যাস, রং-বৈচিত্র্য ও গন্ধ মনকে এক স্বর্গীয় আনন্দে উন্মাদ করে তোলে। জন্মদিন পালন, বিয়ে উদযাপন, মৃতের আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন, গৃহসজ্জা, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও শহিদ দিবসসহ সব অনুষ্ঠানেই ফুলের প্রয়োজন হয়। এছাড়া ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্য প্রতিদিনের জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত মনে ক্ষণিকের জন্য হলেও পরম তৃপ্তি ও অনাবিল শান্তি এনে দেয়। তাই তো কবি বলেছেন, ‘জোটে যদি মোটে একটি পয়সা/খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি/দুটি যদি জোটে, তবে অর্ধেক/ফুল কিনে নিও হে অনুরাগী।’

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ফুল

বাংলাদেশের মাটি ও জলবায়ু যেহেতু ফুল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী, তাই ষড়ঋতুর এ দেশে সারা বছরই হরেক জাতের, নানা রঙের ও বাহারি ঘ্রাণের ফুল ফোটে। গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালীন মৌসুমি ফুলগুলোর মধ্যে গোলাপ, স্বর্ণচাঁপা, করবী, শেফালী, মাধবী, টগর, জবা, পাতাবাহার, চামেলি, বেলি, জুঁই, রজনীগন্ধা, মল্লিকা, গন্ধরাজ, দোলনচাঁপা, টগর, কামিনী, হাসনাহেনা, শিউলী, বকুল, নয়নতারা ইত্যাদি অন্যতম। গ্রীষ্মে যত ফুল ফোটে, এর মধ্যে প্রাচুর্য ও রঙের দিক থেকে সবচেয়ে তীব্র যার উপস্থিতি, সেই ফুলটি কৃষ্ণচূড়া। বিশেষ করে, লেকের পাড়ে চোখে পড়ে কৃষ্ণচূড়ার সারি সারি সুদৃশ্য ছায়াবীথি। রাস্তার ধারে ধারে পত্রহীন ডালপালাজুড়ে ফুটে থাকা কৃষ্ণচূড়া দূর থেকে যেন স্বাগত জানায় পথিককে। কবিগুরুর ভাষায়, ‘ডাক দিয়ে যায় পথের ধারের কৃষ্ণচূড়ায়।’ এছাড়া কাঁঠালচাঁপা, কনকচূড়া, সোনালুসহ আরো বহু জাতের ফুল দর্শকের হৃদয়ে সম্মোহন সৃষ্টি করে। এরপর আসে সৌন্দর্যের রানি শরৎকাল। ভাদ্র ও আশ্বিন- এ দুই মাস শরতের যৌবনকাল। শরতের ফুলে ফুলে সেজে ওঠে প্রকৃতি। শরৎকালের প্রকৃতি হয় কোমল, শান্তস্নিগ্ধ, উদার। নদী, বিল, পুকুর ও হাওরের স্বচ্ছ পানির বুকে শুভ্র শাপলার পাগল করা হাসি প্রেয়সীর হৃদয়কাড়া হাসির মতো লাগে। শিশিরভেজা শিউলী ফুল অনুপম সৌন্দর্য নিয়ে ঘাসের বুকে হাসে। আকাশে-বাতাসে, দূর্বাঘাসে শরৎরানি তার স্নিগ্ধ পরশ বুলিয়ে দেয়। শাপলা, শালুক, পদ্ম, জুঁই, কেয়া আর কাশফুলের সৌরভে শরৎরানি তার বীণার তারে সুর বাজিয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়। দৃশ্যত শীতকালীন ফুলগুলো পরিবেশকে অনেক মোহময় ও মধুর করে রাখে। শীতকালে গোলাপ, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, সূর্যমুখী, গাদা, বকুল, জারবেরা, মনিংগ্লোরিসহ শত রকমের ফুলের আগমনে উজ্জীবিত করে তোলে প্রকৃতিকে। এরপরই ঘটে ঋতুরাজ বসন্তকালের আগমন। ফুলে ফুলে সুশোভিত এ ঋতুতে প্রকৃতি তার সমস্ত সৌন্দর্য ও সজীবতা বিকশিত করে নতুন রূপে। বসন্তের ফুল শিমুল, পলাশ, মাধরী, অশোক ইত্যাদি ফুল ঘিরে রাখে অনাবিল সজীবতায়। বিশ্বকবির কবিতায়, ‘আহা, আজি এ বসন্তে/কত ফুল ফোটে।’ কবির এ পংক্তিতে বসন্তের ফুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রমাণ মেলে।

ফুলের প্রতি নবীজির ভালোবাসা

আল্লাহ ভালোবাসেন সুন্দরকে। ফুল সুন্দর বলেই ফুল ভালোবাসতেন নবীজি (সা.)। ফুলের মাঝে আছে প্রেম, আনন্দ, বেদনার নানা ছবি। মমতা ও ভালোবাসার রঙে কাছে টানার জাদুও আছে ফুলে। মানুষ বোঝে ফুলকে, ভালোবাসে বাগানের পুষ্পকলি। রাসুল (সা.)-এর অভ্যাস ছিল, কেউ তাকে ফুল উপহার দিলে তিনি তা ফিরিয়ে দিতেন না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কাউকে কোনো ফুল দেয়া হলে সে যেন তা প্রত্যাখ্যান না করে। কেননা, তা বহনে হালকা ও ঘ্রাণে উত্তম।’ (মুসলিম : ৫৬৮৭)। জান্নাতের রূপ-সৌন্দর্য সবুজ সতেজ বাগ-বাগিচার বর্ণনা দিতে গিয়ে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যখন উপযুক্ত ব্যক্তি জান্নাতের দরজার কাছে যাবেন, তখন মনজুড়ানো চোখ ধাঁধানো একটি ফুল দেখতে পাবেন। তিনি ফুলের ঘ্রাণে মুগ্ধ হবেন। তিনি অপলক দৃষ্টিতে নীরব মনে চেয়ে থাকবেন।’ (বোখারি)। ফুলের সৌন্দর্য, সৌরভের প্রতি মানুষের আকর্ষণ আজন্ম। ফুল দেখে বিমোহিত হয় না, এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। ফুলের প্রতি মুগ্ধতা এর সৌন্দর্য ও নির্মলতার কারণেই। মানুষ শিশুকে ফুলের সঙ্গে তুলনা করে থাকে এ জন্যই। নবীজি (সা.)-ও নিজের কলিজার টুকরা দুই নাতি হাসান ও হুসাইনকে ফুলের সঙ্গে তুলনা করে বলেছেন, ‘তারা দুজন পৃথিবীতে আমার দুটি ফুল।’ (আদাবুল মুফরাদ : ৮৪)।

ফুল জমিনের বরকত

আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আমার খুব আশঙ্কা হচ্ছে, আল্লাহতায়ালা তোমাদের জন্য জমিনের বরকত বন্ধ করে দেবেন।’ উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, ‘জমিনের বরকত কী?’ রাসুল (সা.) বললেন, ‘জমিনের ফুল। বাগানের কলি।’ (আদাবুল মুফরাদ)। উত্তপ্ত মরুর পাহাড়-পর্বত আর ধু-ধু বালুর জমিনে জন্ম নেয়া নবীজি (সা.)-এর হৃদয়ে ফুলের প্রতি ভালোবাসা আমাদের প্রতি কি ফুলের মতো মানুষ হওয়ার ইঙ্গিত বহন করে না? ফুলের সৌন্দর্য মানুষকে পবিত্র হতে প্রেরণা জোগায়। তাই আমাদের উচিত, আমরা যেন ফুলের মতো সুন্দর হই। আমরা আমাদের টেবিলে কিছু তাজা ফুল রাখতে পারি; এতে করে আমাদের মনও ভালো থাকবে এবং অফিস কক্ষ উজ্জ্ব¡ল হবে। ফুলের ব্যবহার রাখা কোনো অন্যায় নয়, নেকির কাজ। এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং ফুলের মতো পবিত্র হতে সচেষ্ট হবো। অনেকেই ধারণা করেন, ফুলের ব্যবহার অপচয়। আসলে এমনটি নয়। রাসুল (সা.) সব সময় ফুলের ব্যবহারের প্রতি উৎসাহ প্রদান করেছেন।

স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ফুল

ফুলের দিকে তাকালেই মন ভালো হয়ে যায়। কিছু ফুল আছে, যা খাওয়া যায় এবং স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। শরীর তুষ্ট হয় এ ফুলে। স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ফুলের উপকারিতা অনেক। এ ফুলগুলো ভেষজ উদ্ভিদ গুণে ভরা। কসমেটিকস পণ্য তৈরি শিল্প ইন্ডাস্ট্রিগুলো তাদের পণ্যতে আরো বেশি প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করছে। যাতে ফুলের সৌন্দর্য উপকারিতাকে পেছনে ফেলা যায়। যেসব মানুষ ফুল পছন্দ করেন, তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। কারণ, ফুল ব্রণ কমিয়ে ত্বক নিরাময় করতে পারে। ফুলে আছে ওষুধি গুণ; যা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা রাখে। বিশেষ করে, ঠান্ডা লেগে বুক জ্বালা পোড়ার সংক্রমণ হলে সজনে ফুল খেলে উপকার পাওয়া যায়। এছাড়া নানা ধরনের পুষ্টিগুণেও ভরপুর সজনে ফুল। এতে আছে ভিটামিন এ, বি-১, বি-২, বি-৩, সি, ক্যালশিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম। পাশাপাশি শরীরে প্রোটিনেরও জোগান দেয় এ ফুল। ফুলের ভেতরে রয়েছে ক্যারোটিনয়েডস, ফ্ল্যাভানয়েডস, ফেনোলিক অ্যাসিড, অ্যান্থোসায়ানিনস। এছাড়া প্রোটিন, ক্যারোটিন, তেল, ভিটামিন ও স্যাকারাইড জাতীয় পুষ্টিগুলোও ফুলের অভ্যন্তরে অন্তর্ভুক্ত। এসব উপাদান সাধারণত পাতাযুক্ত সবজির ভেতর পাওয়া যায়। সুস্থ থাকতে চাইলে এ ফুলগুলোর ব্যবহার বাড়াতে হবে।

রূপচর্চায় গোলাপের কার্যকারিতা

গোলাপ ফুলের সৌন্দর্য আর সুবাসে মুগ্ধ হয় না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। গোলাপকে বলা হয় ফুলের রানি। এটি শুধু বাগান বা ঘরের শোভা বর্ধন করে না, বরং এর রয়েছে নানা ভেষজ গুণ। এসব গুণের মধ্যে সৌন্দর্য চর্চার উপকরণও রয়েছে। বিভিন্ন প্রসাধনসামগ্রীতে গোলাপের পাপড়ি, নির্যাস ইত্যাদি ব্যবহার হয়ে থাকে। গোলাপের পাপড়ি ত্বকের যত্নে খুবই কার্যকর। গোলাপের সুগন্ধ ত্বককে সতেজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ফ্রি র‌্যাডিকেলসের ক্ষতি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। বিভিন্ন দূষণ, জীবাণু ও ইরিটেশন থেকে ত্বককে রক্ষা করে। টোনার হিসেবে গোলাপজল খুবই ভালো কাজ করে। ফ্রেশ অর্গানিক গোলাপজল ক্লিনজিংয়ের পর ব্যবহার করলে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হয়। শুকনো ও স্পর্শকাতর ত্বকে গোলাপের ময়েশ্চারাইজার খুবই ভালো কাজ করে। গোলাপের তেল ত্বকের কোষে আর্দ্রতা জোগায়। ফলে ত্বক থাকে সতেজ। প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে গোলাপ। যাদের রোদে পোড়া ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্যও গোলাপের পাপড়ি ও গোলাপের পাপড়ির মিশ্রণ খুবই উপকারী।

জবা ফুলের উপকারিতা

জবা আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি ফুল। এ ফুলের ব্যবহার হিসেবে আমরা চুলের ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দিই। কিন্তু এ ফুলের যে স্বাস্থ্য গুণ রয়েছে এবং ত্বকের জন্য উৎকৃষ্ট, তা অনেকেরই অজানা। এ ফুলে রয়েছে ভিটামিন সি ও এ, আলফা হাইড্রোক্সিল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট; যা চুলের উপকারের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য সমস্যা দূর করে ও ত্বক সুন্দর করে। জবা ফুল চুলের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও খুবই উপকারী। এটি ব্রণ, সান-ট্যান এবং ডার্ক সার্কেল থেকে মুক্তি পেতে বিশেষভাবে কার্যকরী। ত্বকের কালচে ভাব দূর করে ফর্সা করতেও ব্যবহৃত হয়। ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কাজ করে জবা। জবা, বোটক্স উদ্ভিদ নামেও পরিচিত। কারণ, এটির প্রাকৃতিক বোটক্স প্রভাব রয়েছে। ত্বক ও চুলের যত্নের পাশাপাশি জবা পাতার চা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ; যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসেও উপকারী। এ ছাড়া আয়রনের ঘাটতি দূর করতে, ত্বকের বার্ধক্য দূর করতে, ওজন কমাতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ও কিডনির সমস্যা সমাধানেও জবা ফুলের জাদুকরী গুণ আছে।

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে জুঁই

জুঁই ফুল দেখতেও যেমন সুন্দর, এর সুবাসও তেমনই স্নিগ্ধ। কিন্তু শুধু রং আর রূপের শোভা ছড়িয়েই এর কাজ শেষ হয় না; এ ফুলে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চুল আর ত্বকের সুন্দরতা বজায় রাখে। এটি একটি প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট।

এ ফুল এবং তার থেকে তৈরি তেলে আছে একটি উপাদান; যার নাম কেটোন। কেটোন একটা হাল্কা এবং রিফ্রেশিং সুবাস তৈরি করে; যা বেশ দীর্ঘস্থায়ীও হয়। স্ট্রেচ মার্ক বা যে কোনো ক্ষতের দাগ নির্মূল করতেও এ ফুলের জুড়ি নেই। ত্বকের নানা রকম সমস্যা হতে পারে। যেমন- কেটে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, ছড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এছাড়া সূর্যের আলো থেকে সানবার্ন হতে পারে, হাতে-পায়ে কড়া পড়তে পারে। এসব কিছু সারিয়ে তুলতে পারে জুঁই ফুল। জুঁই ফুলের তেল এ ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী।

ব্রণ রোধে গাঁদা ফুল

যদি কারো মুখে পিম্পল বা ব্রণ থাকে, তবে গাঁদা ফুলের অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান তা সারিয়ে তোলে। গাঁদা ফুলের তেল সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এ তেলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যা ব্রণের দাগ ও চিহ্ন হ্রাস করতে সহায়তা করে। ব্যথা প্রশমিত করতে ও পোকার কামড়ে এর তেলও ব্যবহার করা যায়।

সূর্যমুখীর নানামুখী ব্যবহার

সূর্যমুখী যত বেশি সুন্দর দেখাবে, ততই তা উপকারী। এ ফুলের ভেতরে অনেক খনিজ এবং ভিটামিন পাওয়া যায়। এ ছাড়া ফ্ল্যাভোনয়েডসও এতে উপস্থিত রয়েছে। শুধু সূর্যমুখী ফুলই নয়, এর ডালপালা ও কুঁড়ি সরাসরি ব্যবহার করা হয়। এ ফুলটি অনেকে খাবার তৈরিতেও ব্যবহার করে থাকেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত