বৃষ্টি স্রষ্টার মহাদান

হুমাইদুল্লাহ তাকরিম

প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সৃষ্টির প্রতিটি অঙ্গজুড়েই পৃথক পৃথক শিক্ষা রয়েছে। রয়েছে আল্লাহতায়ালার একত্ববাদ ও তৌহিদের মহান শিক্ষা, ঈমান আনয়নের অফুরন্ত নিদর্শন। পানি-বৃষ্টি আল্লাহতায়ালার মহাদান। পানিহীন পৃথিবীর অস্তিত্ব অকল্পনীয়। ধরাপৃষ্ঠের দুই-তৃতীয়াংশ জুড়েই রয়েছে পানি। কোরআনে আল্লাহতায়ালা বৃষ্টির বৈচিত্র্যময় দিক আলোচনা করেছেন। নিজের কুদরত, বরকত ও শক্তির কথা ঘোষণা করেছেন।

এসব থেকে শিক্ষা নিয়ে আল্লাহতায়ালার বন্দেগিতে পূর্ণ আত্মনিয়োগ করার প্রতি বিশ্ববাসীকে আহ্বান করেছেন। সৃষ্টিকুলের জীবন ধারণের সব উপকরণ আল্লাহতায়ালা পরিমিতভাবে ও যথাস্থানে স্থাপন করে রেখেছেন। সবুজাভ প্রকৃতি, শ্যামলি-নিসর্গ ও বনভূমির মাধ্যমে তিনি প্রকৃতিকে সজীব ও প্রাণবন্ত করেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন তা ভারী মেঘমালাকে বয়ে নিয়ে যায়, তখন আমি তাকে কোনো মৃত ভূখণ্ডের দিকে চালিয়ে নিয়ে যাই। তারপর সেখানে পানি বর্ষণ করি। তা দ্বারা সর্বপ্রকার ফল উৎপন্ন করি। এভাবেই আমি মৃতদেরও জীবিত করে তুলব। হয়তো তোমরা শিক্ষা গ্রহণ করবে।’ (সুরা আরাফ : ৫৭)। অপর আয়াতে বলেন, ‘তুমি ভূমিকে দেখ শুষ্ক, তারপর যখন আমি তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা আন্দোলিত ও বাড়ন্ত হয়ে ওঠে। তা উৎপন্ন করে সর্বপ্রকার নয়নাভিরাম উদ্ভিদ।’ (সুরা হজ : ৫)। আয়াত দুটি মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানের কথা প্রমাণ করছে।

কোরআনুল কারিমে ঘোষিত হয়েছে, ‘স্মরণ কর, যখন তিনি তোমাদের ভীতি দূর করার জন্য তোমাদের তন্দ্রাচ্ছন্ন করছিলেন এবং আকাশ থেকে তোমাদের ওপর পানি বর্ষণ করছিলেন, তা দ্বারা তোমাদের পবিত্র করার জন্য, তোমাদের থেকে শয়তানের ময়লা দূর করার জন্য, তোমাদের অন্তরে দৃঢ়তা বাঁধার জন্য এবং তার মাধ্যমে (তোমাদের) পা স্থির রাখার জন্য।’ (সুরা আনফাল : ১১)।