দৃষ্টিশক্তির সদ্ব্যবহার করুন

আবদুল্লাহ নোমান

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

আমাদের দৃষ্টিশক্তি রাব্বুল আলামিনের অমূল্য নেয়ামত। এ নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায় হবে চোখের সঠিক ও উত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে। চোখের উত্তম ব্যবহার হলো, নিষিদ্ধ দৃষ্টিপাত থেকে বেঁচে থাকা; অবাক বিস্ময়ে আল্লাহর সৃষ্টিজগত দেখে তার পরিচয় লাভ করা এবং তার অসীম কুদরত অনুধাবন করা। ওই দিগন্ত বিস্তৃত খুঁটিহীন নীলাকাশ, মিটিমিটি জ্বলতে থাকা অসংখ্য তারকারাজি, জোছনা বিলানো চাঁদের স্নিগ্ধতা এবং তেজস্বী সূর্যের প্রখরতা; দৃষ্টিশক্তিকে কাজে লাগিয়ে এসবের ভাজে ভাজে রবের অপার কুদরত লক্ষ্য করি কি আমরা? তিনি বলেছেন, ‘ওরা কি নিজেদের ওপরে আকাশ দেখে না যে, আমি কীভাবে তা নির্মাণ করেছি ও তাকে সুশোভিত করেছি? তাতে নেই কোনো ছিদ্র। আর জমিনকে বিস্তৃত করেছি। তাতে পাহাড়-পর্বত স্থাপন করেছি। উৎপন্ন করেছি সব রকমের নয়নাভিরাম বস্তু। প্রত্যেক (আল্লাহ) অভিমুখী বান্দার উপলব্ধি সৃষ্টি ও তাকে স্মরণ করানোর উদ্দেশ্যে।’ (সুরা কফ : ৬-৮)। ৬ নম্বর আয়াতটির ব্যাখ্যায় তাফসিরে উসমানিতে উল্লেখ আছে, আকাশে বাহ্যত না আছে কোনো খুঁটি, না কোনো স্তম্ভ। এত বিরাট বিশাল জড়বস্তু কেমন মজবুত, দৃঢ় ও শক্তভাবে মাথার ওপর দাঁড়িয়ে আছে। তবু রাতের বেলায় যখন আকাশে প্রদীপ ও ফানুসের ন্যায় তারকা ও নক্ষত্ররাজি প্রজ্বলিত হয়, তখন তাকে কী রূপ সৌন্দর্যমন্ডিত দেখায়! আরো মজার ব্যাপার হলো, লাখো বছর অতিবাহিত হয়ে গেছে, এ মহাছাদে না কোনো ছিদ্র হয়েছে, না কোনো চিড় ধরেছে, না প্লাস্টার ভেঙেছে, না রং নষ্ট হয়েছে। আখের এ কোনো শক্তিধরের কুদরত, যিনি এ মহাবিস্ময়কর বিশাল বস্তু সৃষ্টি করলেন, অতঃপর তার এরূপ হেফাজত করলেন? (তাফসিরে উসমানি : ৪/২৬৬)।

সৃষ্টির নৈপুণ্যে স্রষ্টার পরিচয় : সৃষ্টি জগতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে স্রষ্টার পরিচয় লাভের অসংখ্য উপকরণ। যে ব্যক্তি মহাসত্যের সন্ধানে অপরূপ সৃষ্টির দিকে তাকাবে, তন্ময় চিত্তে এসবের উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ এবং উপকারিতা সম্পর্কে ভাববে, সে অবশ্যই স্রষ্টার পরিচয় লাভে ধন্য হবে। মানবদেহ থেকে শুরু করে জীবজগৎ, উদ্ভিদ জগৎ, পদার্থ জগৎ, সৌরজগৎসহ সবখানে সৃষ্টির নৈপুণ্যের অপার সৌন্দর্য, রবের অনন্য কলা-কৌশল এবং যথার্থ কর্মপন্থা সত্যিই মহাবিস্ময়কর। রূপালি প্রকৃতির দীপ্তি এবং তার সমাপ্তি আমাদের জানান দেয়, এ বসুন্ধরা থেকে আমাদের প্রস্থান অবশ্যম্ভাবী; যেমন অবশ্যম্ভাবী প্রকৃতির বিদায় ধ্বনি। ভোরের আলো, সন্ধ্যার লালিমা, আকাশের নীলিমা, মেঘের আল্পনা, চাঁদের জোছনা, তারকার ঝিলিমিলি এবং জোনাকির আলোকসজ্জা আমরা কি চোখ মেলে দেখি না! দেখি না এসবের আলো-আঁধারি! জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এবং হাসি-কান্নার প্রতিফলন ঘটে না এতে! প্রকৃতি যেমন আলো-আঁধারির দুই ধারায় চলমান, আমাদের জীবননদীও আনন্দ-বেদনার দুই স্রোতে বহমান। বর্ণিল প্রকৃতির ভাজে ভাজে রয়েছে মহান আল্লাহর কুদরতের নিদর্শন। রয়েছে মোমিনের আত্মার খোরাক। এসব কি কখনো আমাদের হৃদয় জগতে ভাবের উদ্রেক করেছে? চেতনায়-বিশ্বাসে ঈমানি দোলা দিয়েছে?আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যিনি সাত আসমান সৃষ্টি করেছেন স্তরে স্তরে। তুমি রহমানের সৃষ্টিতে কোনো তারতম্য দেখতে পাবে না। তাতে পুনরায় দৃষ্টি দাও। তুমি কি কোনো ত্রুটি দেখতে পাও? অতঃপর দৃষ্টি ফেরাও বারবার, তোমার দৃষ্টি তোমার দিকে ফিরে আসবে ব্যর্থ ও ক্লান্ত হয়ে।’ (সুরা মুলক : ৩-৪)।

খাদ্য লাভের কুদরতি ব্যবস্থাপনা : আমরা কি কখনো আমাদের খাদ্যের কুদরতি নেজাম নিয়ে ভেবেছি? পালাক্রমে অনেক মাধ্যম পার করে এবং নানা কারিকুলাম ও প্রসেস অতিক্রম করে দয়াময় আমাদের মুখে তুলে দেন খাবারের লোকমা পরম মমতায়। এ খাবার সামনে নিয়ে যখন বসি আর প্রত্যক্ষ করি এর বাহারি আয়োজন, তখন কি ভাবনার জগতে একটু উঁকি দিই? বিশ্বজগতের কত শ্রমিক কাজ করেছে এর পেছনে! কত শক্তি দিনরাত নিয়োজিত ছিল একে আমাদের উপযুক্ত করতে! এক লোকমা ভাত, যা আমরা মুহূর্তের মধ্যে গিলে ফেলি; মনে করি, আমার উপার্জিত টাকা দিয়ে বাজার থেকে চালের বস্তা ক্রয় করেছি, আর মজা করে খাচ্ছি। কিন্তু সে চালের বীজ বপন থেকে নিয়ে আমাদের উদর পর্যন্ত পৌঁছাতে স্রষ্টার অসংখ্য সৃষ্টি এর পেছনে শ্রম ব্যয় করেছে; সেদিকে আমাদের দৃষ্টি যায় না। কোনো এক চাষি হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে করে জমি চাষ করেছে এবং রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে তাতে বীজ বপন করেছে। দয়াময় আল্লাহ শক্ত মাটির পরতের মধ্যে অঙ্কুরকে লালন করেছেন। একপর্যায়ে সেই বীজের ক্ষীণ দেহের কোমল কিশলয় মাটির আবরণ ফুঁড়ে অঙ্কুরোদগম ঘটিয়েছেন। তার প্রবৃদ্ধির গতি দ্রুততর করেছেন রিমঝিম বৃষ্টির ছোঁয়ায়। তাকে আন্দোলিত বাতাসের ক্রোড় জোগাড় করে দিয়েছেন অসীম মমতায়। তার ওপর মেঘের শামিয়ানা টানিয়ে রোদে ঝলসানো থেকে রক্ষা করেছেন কুদরতিভাবে।

স্বাদে-আহ্লাদে পরিপক্ক হওয়ার জন্য তার ওপর চাঁদণ্ডসূর্যের কিরণ বিকিরণ করে পরিণত করেছেন সুষম খাদ্যে। দেহের পুষ্টি যোগান দিতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে তাতে যুক্ত করেছেন নানা রকমের ভিটামিন। একটি দানা থেকে সৃষ্টি করেছেন শত শত দানা। একটি বীজ থেকে তৈরি করেছেন শত শত ফসল। অবশেষে চাষি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল কেটেছে দুই হাতে। অবর্ণনীয় পরিশ্রম করে কাঁধে করে তুলে এনেছে বাড়িতে। মেশিন-যন্ত্রের সাহায্যে ধান থেকে চাল পৃথক করে তা বাজারজাত করেছে। আরো নানা ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে অবশেষে আমাদের সামনে পরিবেশিত হয়েছে খাবার হিসেবে। আমরা মুহূর্তেই তা গলধঃকরণ করি এবং উদর পূর্তি করে নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ি। নেয়ামতদাতাকে স্মরণ করে শুরুতে একবার ‘বিসমিল্লাহ’ বলারও যেন সময় হয় না আমাদের। মনে থাকে না খাবার শেষে কৃতজ্ঞ গদগদ চিত্তে ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলতেও। মাসনুন দোয়া পাঠ এবং সুন্নাহ অনুযায়ী খাবার পর্ব সমাপ্ত করা ‘বহুত দূর কি বাত’।

কবির ভাষায়- ‘আকাশ বাতাস চন্দ্র সূর্য সাগর মেঘের মেলা/ আছে কাজে নিয়োজিত সকাল সন্ধ্যাবেলা! যেন আহার পেয়ে গাফেল না হই জপি রবের নাম, খাবার শেষে হামদ-সানায় স্মরি রবের নাম!’

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক যে, আমি ওপর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি বর্ষণ করেছি। অতঃপর সুচারুরূপে ভূমি বিদীর্ণ করেছি। তারপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য, আঙ্গুর, তরি-তরকারি, জয়তুন, খেজুর, ঘন উদ্যানরাজি এবং ফল ও ঘাস, তোমাদের ও তোমাদের গবাদি পশুর উপকারের জন্য।’ (সুরা আবাসা : ২৪-৩২)।

অবাধ্যদের অশুভ পরিণাম পরিদর্শন : যুগে যুগে যেসব উম্মত নবী-রাসুলদের অমান্য করেছিল, সতর্কবার্তা পাওয়া সত্ত্বেও আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত ছিল, তিনি তাদের ধ্বংস করেছেন। লুত (আ.)-এর জাতি সমকামিতায় লিপ্ত ছিল। কর্মটি পৃথিবীর ইতিহাসে তারাই প্রথম সূচনা করেছিল। দীর্ঘ সময় ধরে সতর্ক করার পরও যখন তাদের পরিবর্তন হলো না, তখন আল্লাহতায়ালা চূড়ান্ত বিপর্যয়ের মাধ্যমে সমগ্র এলাকা উল্টে দেন। আকাশ থেকে একাধারে বৃষ্টি ও পাথর বর্ষণ করে সমগ্র জাতিকে সমূলে নিশ্চিহ্ন করে দেন। বর্ণিত আছে, বর্তমান মৃত সাগর বা ডেড সি হলো লুত (আ.)-এর জাতির সেই বাসস্থান, যেখানে তাদের ধ্বংস করা হয়েছিলো। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি প্রত্যেককেই নিজ নিজ অপরাধের কারণে পাকড়াও করেছি। তাদের কারো প্রতি প্রেরণ করেছি প্রস্তুর বর্ষণকারী তীব্র বাতাস। কাউকে ভয়ংকর গর্জন পাকড়াও করেছে। কাউকে ধসিয়ে দিয়েছি ভূগর্ভে। কাউকে ডুবিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ আদৌ ওদের প্রতি জুলুম করার ছিলেন না; বরং ওরা নিজেরাই নিজেদের ওপর জুলুম করত।’ (সুরা আনকাবুত : ৪০)। আল্লাহর অবাধ্যদের কঠিন পরিণাম ও ধ্বংস-স্মৃতি অবলোকন করা এবং শিক্ষার্জনের লক্ষ্যে পৃথিবীর বুকে ভ্রমণ করাও দৃষ্টিশক্তির কৃতজ্ঞতা আদায়ের অন্যতম উপায়। এ মর্মে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের আগে বহু ঘটনা ঘটে গেছে। সুতরাং, তোমরা পৃথিবীতে ভ্রমণ কর এবং দেখ, অস্বীকারকারীদের কী পরিণাম হয়েছিল!’ (সুরা আলে ইমরান : ১৩৭)। অন্য আয়াতে এসেছে, ‘এরা কি জমিনের বুকে ভ্রমণ করেনি? তাহলে দেখতে পেত, তাদের আগে যারা ছিল, তাদের পরিণতি কেমন হয়েছিল? শক্তিতে এবং পৃথিবীতে রেখে যাওয়ার নিদর্শনাদিতে (স্মৃতিচিহ্ন) তারা ছিল এদের চেয়ে প্রবল। অতঃপর আল্লাহ তাদেরকে তাদের গোনাহের কারণে পাকড়াও করলেন। আর আল্লাহর থেকে ওদের কোনো রক্ষাকারী ছিল না।’ (সুরা মোমিন : ২১)।

তাইতো পূর্ববর্তী যুগে আল্লাহর আজাবে ও গজবে যেসব জাতি ধ্বংস হয়েছে, তাদের ধ্বংসস্থল অতিক্রমকালে নবীজি (সা.) কান্না করতে বলেছেন। যেন তাদের ওপর যে ভয়াবহ আজাব নাজিল হয়েছিল, তা থেকে রক্ষা মেলে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘তোমরা এসব আজাবপ্রাপ্ত সম্প্রদায়ের লোকালয়ে ক্রন্দনরত অবস্থা ছাড়া প্রবেশ করবে না। যদি কান্না না আসে, তাহলে সেখানে প্রবেশ কর না; যাতে তাদের ওপর যা আপতিত হয়েছিল, তা তোমাদের ওপরও আপতিত না হয়।’ (বোখারি : ৪৩৩)।

পক্ষান্তরে যারা বিশ্বচরাচরের বিচিত্র দৃশ্য অবলোকন করেও তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে না এবং স্রষ্টার পরিচয় লাভ করে না, মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও নিকৃষ্ট আখ্যা দিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমি তো বহু জিন ও মানুষকে জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছি। তাদের হৃদয় আছে; কিন্তু তা দিয়ে তারা উপলব্ধি করে না। তাদের চোখ আছে, তা দিয়ে দেখে না। তাদের কান আছে, তা দিয়ে শোনে না। এরা পশুর মতো; বরং ওরা পশুর থেকেও অধিক বিভ্রান্ত। ওরা গাফেল।’ (সুরা আরাফ : ১৭৯)।

গোনাহের জন্য অশ্রুপাত করা : প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে, লোকালয়ে-নির্জনে আমরা কত গোনাহ করেছি, তার কি কোনো হিসেব আছে? রাতের অন্ধকারে একলা ঘরে কত পাপাচার করেছি, লোক চোখের অন্তরালে পরিবার-পরিজনকে ফাঁকি দিয়ে কত অন্যায় করেছি, তা কি সব মনে আছে? এসব গোনাহ আল্লাহতায়ালা নিজ গুণে ঢেকে রেখেছেন বলেই এখনো আমরা সম্মানের সঙ্গে জমিনে বিচরণ করতে পারছি। এখনো মানুষ আমাদের শ্রদ্ধা করে, ভালোবাসে। তিনি যদি এসব ফাঁস করে দিতেন, কাউকে কি মুখ দেখাতে পারতাম? নিজ গোনাহের ওপর লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে আমাদের কি কান্না করা উচিত নয়? সুখের কথা হলো, এটি চোখের সদ্ব্যবহারের অনন্য উপায়। এতে যেমন আমলনামার খাতা থেকে পাপের কালিমা নিশ্চিহ্ন হয়, তেমনি রবের প্রিয়পাত্রও হওয়া যায় খুব সহজে। এছাড়া কৃত পাপাচারের জন্য ক্রন্দন করা সৌভাগ্যের নিদর্শন এবং মুক্তির উপায়ও বটে। জানেন কী, যে চোখ মহান আল্লাহর ভয়ে কাঁদে, সে চোখকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শও করবে না। আর হ্যাঁ, আমরা সবাই ইহ-পরকালে আল্লাহর আজাব গজব থেকে বাঁচতে চাই। তাই প্রকাশ্য ও প্রকাশ্যে কৃত গোনাহের জন্য কান্নাকাটির পাশাপাশি জবানকে সংযত রাখতে হবে। বিরত থাকতে হবে অযথা ঘোরাফেরা থেকেও। বিপদসংকুল এ সময়ে উপরিউক্ত তিনটি কাজ উন্মোচন করবে আমাদের সৌভাগ্যের দ্বার। খুলে দেবে সাফল্যের কপাট। হাটবাজারে অযথা ঘোরাফেরায় মানুষ জড়িয়ে যায় নানা পাপাচারে। সঙ্গ দোষে ফেঁসে যায় অপরাধের জালে। ফলে ঢুকতে হয় কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে। বঞ্চিত হয় মুক্ত বাতাসের ছোঁয়া থেকে। শুধু কি তাই? মামলা-মোকাদ্দমায় কাড়ি কাড়ি টাকাও হারাতে হয়।সাহাবি উকবা ইবনে আমির (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘আমি বললাম, মুক্তির উপায় কী ইয়া রাসুলাল্লাহ!’ তিনি বললেন, ‘তুমি তোমার জবান সংযত রাখ, তোমার বাসস্থান যেন তোমার জন্য প্রশস্ত হয় (অর্থাৎ তুমি তোমার বাড়িতে অবস্থান কর, অপ্রয়োজনীয় ঘোরাফেরা করো না) এবং নিজ গোনাহের জন্য কান্না কর।’ (তিরমিজি : ২৪০৬)।

লেখক : সিনিয়র মুফতি, জামিয়া ইসলামিয়া হেমায়েতুল ইসলাম, কৈয়গ্রাম, পটিয়া, চট্টগ্রাম