ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অতিথি পাখি নৈসর্গিক শোভা

মুনশি মুহাম্মদ উবাইদুল্লাহ
অতিথি পাখি নৈসর্গিক শোভা

শীতকালে রং-বেরঙের নাম না জানা হরেক রকম পাখিতে ভরে যায় জলাশয়, হাওর, বিল ও পুকুর। আদর করে আমরা সেগুলোকে ‘অতিথি পাখি’ বলি। বিচিত্র তাদের বাচ্চা পালন, বাসা তৈরির কৌশল। ঝড়-বৃষ্টি, তুষারপাতসহ প্রকৃতির প্রতিকূলতা থেকে বাঁচতে তারা পাড়ি জমায় হাজার হাজার মাইল দূরে। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি পাখি আসে বাংলাদেশে। ইংল্যান্ডের নর্থ হ্যামশায়ার, সাইবেরিয়া কিংবা এন্টার্টিকার তীব্র শীত থেকে বাঁচতে দক্ষিণের কম শীতের দেশে যায় পাখিরা। প্রকৃতিগতভাবে এ পাখিদের শারীরিক গঠন খুব মজবুত। এরা সাধারণত ৬০০ থেকে ১৩০০ মিটার উঁচু দিয়ে উড়তে পারে। ছোট পাখিদের ঘণ্টায় গতি ৩০ কিলোমিটার। দিনরাতে এরা প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উড়তে পারে। বড় পাখিরা ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার অনায়াসে ওড়ে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এসব পাখি তাদের গন্তব্যস্থান ঠিকভাবে নির্ণয় করে।

যেসব পাখি অতিথি সাজে : সাধারণত সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে দলবেঁধে আসতে শুরু করে এসব পাখি। মার্চণ্ডএপ্রিল পর্যন্ত কলকাকলিতে আমাদের প্রকৃতিকে ভরিয়ে রাখে। অতিথি পাখিদের মধ্যে সোনাজঙ্গ, খুরুলে, কুনচুষী, বাতারণ, শাবাজ, জলপিপি, ল্যাঞ্জা, হরিয়াল, দুর্গা, টুনটুনি, রাজশকুন, লালবন মোরগ, তিলে ময়না, রামঘুঘু, জঙ্গি বটের, ধূসর বটের, হলদে খঞ্জনা ও কুলাউ ইত্যাদি প্রধান। গ্রীষ্মকালে সুমেরুতে থাকে এবং বাচ্চা দেয়। হাঁস জাতীয় এমন পাখি শীতকালে বাংলাদেশে আসে। লাল বুকের ক্লাইক্যাসার পাখি আসে ইউরোপ থেকে। অন্য পাখিরা আসে পূর্ব সাইবেরিয়া থেকে। বাংলাদেশের অতি পরিচিতি অতিথি পাখি নর্দান পিনটেইল। এছাড়া রয়েছে স্বচ্ছ পানির খয়রা চকাচকি, কার্লিউ, বুনো হাঁস, ছোট সারস, বড় সারস, হেরন, নিশাচর হেরন, ডুবুরি পাখি, কাদাখোঁচা, গায়ক রেন, রাজসরালি, পাতিকুট, গ্যাডওয়াল, পিনটেইল, নরদাম সুবেলার, কমন পোচার্ড, বিলুপ্তপ্রায় প্যালাস ফিস ঈগল (বুলুয়া)। এ ছাড়া নানা রং আর কণ্ঠবৈচিত্র্যের পাখিদের মধ্যে রয়েছে ধূসর ও গোলাপি রাজহাঁস, বালি হাঁস, লেঞ্জা, চিতি, সরালি, পাতিহাঁস, বুটিহাঁস, বৈকাল, নীলশীর পিয়াং, চীনা, পান্তামুখি, রাঙামুড়ি, কালোহাঁস, রাজহাঁস, পেড়িভুতি, চখাচখি, গিরিয়া, খঞ্জনা, পাতারি, জলপিপি, পানি মুরগি, নর্থ গিরিয়া, পাতিবাটান, কমনচিল, কটনচিল ইত্যাদি।

অতিথি পাখি আসার কারণ : শীত সহ্য করতে না পেরে যেখানে শীত অপেক্ষাকৃত কম সেখানে চলে যায়। তা ছাড়া এ সময় শীতপ্রধান এলাকায় খাবারেরও প্রচুর অভাব থাকে। শীতপ্রধান এলাকায় তাপমাত্রা থাকে অধিকাংশ সময় শূন্যেরও বেশ নিচে। সেই সঙ্গে রয়েছে তুষারপাত। তাই কোনো গাছপালা জন্মাতেও পারে না। শীত এলেই উত্তর মেরু, সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়ার কিছু অঞ্চল, হিমালয়ের আশপাশের কিছু অঞ্চল থেকে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে আসতে থাকে কম ঠান্ডা অঞ্চলে। বসন্ত অর্থাৎ মার্চ-এপ্রিলে শীতপ্রধান অঞ্চলে বরফ গলতে শুরু করে। গাছপালা জন্মায় কিছু কিছু। ঘুম ভাঙতে শুরু করে পুরো শীতকালে ঘুমিয়ে থাকা অনেক প্রাণীর। ঠিক এ রকম সময়ে অতিথি পাখিরা নিজ বাড়িতে ফিরে যায় দলবলসহ। আবার এখানে বেশ মজার একটা ব্যাপার আছে, তারা ফিরে গিয়ে ঠিক তাদের বাড়ি চিনে নেয়।

অতিথি পাখি কেন বাংলায় আসে : শীতকাল এলেই অতিথি পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয় আমাদের দেশ। আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায়ই শীতের অতিথি পাখিদের দেখা যায়। শীতকাল এলে শীতপ্রধান দেশের পাখিরা দেশ ভ্রমণে বের হয় বেঁচে থাকার জন্য। মূলত আমাদের দেশে আসে সাইবেরিয়া এবং হিমালয় অঞ্চলের পাখিরা। শীতকাল এলে ওইসব দেশের ভূভাগ ও জলাশয়গুলো বরফে ঢেকে যাওয়ায় সেখানকার পাখিরা, বিশেষ করে সেসব দেশের হাঁস, বক ইত্যাদি জলচর পাখিরা প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। তখন তাদের বেঁচে থাকার জন্য তো খাবার প্রয়োজন হয়। শীতপ্রধান দেশের পাখিরা তখন দেশান্তরী হতে শুরু করে। পাড়ি জমায় এমন দেশে, যেখানে হাওর-বাঁওড়, নদী-নালার কোনো অভাব নেই, খাবারের সমস্যা নেই। এমন কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম উল্লেখযোগ্য। শীতটা কাটিয়ে আবার ওরা পাড়ি জমায় নিজ দেশে। এরই ভেতর পাখিপ্রেমীরা মন ভরে দেখে নেয় তাদের।

অতিথি পাখিদের প্রিয় অবকাশকেন্দ্র : আমাদের দেশের প্রায় প্রতিটি জেলায় শীতের এ অতিথি পাখিদের বিচরণ দেখতে পাওয়া যায়। প্রতি বছর শীতের শুরুতেই ওরা আসে ঝাঁকে ঝাঁকে। নানা রং আর আকৃতির অতিথি পাখির কূজনে মুখরিত হয় নদীপাড়, বিল-ঝিল, বন-বাদাড়। বাংলাদেশের বেশ কিছু জায়গায় আনাগোনা দেখা যায় তাদের। এর মধ্যে উখেযোগ্য হলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, মিরপুর চিড়িয়াখানা, মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের পাশের লেক, মহেশখালী দ্বীপ, পঞ্চগড়ের ভেতরগড়, চরভাটা, শিবালয়, হালহাওর, হাকালুকি হাওর, কুয়াকাটা, ঘাটিভাঙা, কলাদিয়া, চরণদ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ, চর ওসমান, শাহীবানীচর, সন্দ্বীপ, চরমনতাজ, নেত্রকোনার কলমকান্দার হাওর, কিশোরগঞ্জ হাওর, সুনামগঞ্জ হাওরহাতিয়া দ্বীপ, চরপিয়া, ডালচর যামিরচর, মৌলভীবাজার, টাঙ্গুয়ার হাওর, চরকুকড়িমুকড়ি, গলাচিপা, খেপুপাড়া, জোনাকচর, বুড়িগঙ্গা নদী, হোয়াইকিয়ং, শাহপরীর দ্বীপ, মনপুরা, সোনারচর, চরনিজাম, চরমানিক, চরদিয়াল, আগুনমুখা, বরিশালের দুর্গাসাগর, নীলফামারীর নীল সাগর, সিরাজগঞ্জের হুরা আর সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর অতিথি পাখিদের প্রিয় অবকাশকেন্দ্র। বাংলাদেশের জলাশয়গুলোই এদের পছন্দের স্থান, নিরাপদ আশ্রয়। বেশ কয়েক বছর ধরে নিঝুম দ্বীপ, দুবলার চর, কুতুবদিয়াতেও শীতের পাখিরা বসতি গড়ছে।

দেশান্তরী পাখির বাস শীতপ্রধান এলাকা : শীতের মৌসুমে আসা অতিথি পাখিদের মধ্যে রয়েছে বালি হাঁস, পাতিহাঁস, লেজ হাঁস, পেরি হাঁস, চমা হাঁস, জলপিপি, রাজসরালি, লালবুবা, পানকৌড়ি, বক, শামুককনা, চখপখিম শারস, কাইমা, শ্রাইক, গাঙ কবুতর, বনহুর, হরিয়াল, নারুন্দি, মানিকজোড়াসহ নাম না জানা অনেক পাখি। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১৫ প্রজাতির হাঁস ছাড়াও গাগিনি, গাঁও, ওয়েল, পিগটেইল, ডাটাস্মক, থাম, আরাথিল, পেরিক্যান, পাইজ, শ্রেভির, বাটান এসব পাখি এসে থাকে। দেশান্তরী এসব পাখির মূল বাসভূমি শীতপ্রধান এলাকা। সাইবেরিয়াসহ হিমালয়ের বনাঞ্চলে এদের বাস। শীত বাড়তেই এরা পাড়ি জমায় হাজার মাইল দূর দেশে। প্রাণী বিজ্ঞানীদের কথায়, বাংলাদেশের পাখি দুই শ্রেণির। আবাসিক আর অনাবাসিক। অতিথি পাখি অনাবাসিক শ্রেণির।

অতিথি পাখি যে উপকারে আসে : শীতের অতিথি পাখিগুলো আমাদের দেশে

এসে সৌন্দর্য প্রস্ফুটিত করার পাশাপাশি আমাদের যথেষ্ট উপকার করে। তাই অতিথি পাখিগুলোকে অতিথির মর্যাদা দেওয়া উচিত। প্রকৃতির ক্ষতিকর পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, ইঁদুর ইত্যাদি খেয়ে ওরা ফসলের ও জলজ প্রাণীদের সুরক্ষা করছে। কিছু পাখি প্রাণী ও উদ্ভিদের বংশবিস্তারে সাহায্য করে। গাছের ডালে আশ্রয় নেওয়া পাখিগুলো গাছের ফাঁকে ফাঁকে থাকা পোকামাকড় ধরে খায়। ফলে গাছপালা পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পায়। হাওর-বাঁওড়, বিল-ঝিল ও জলাশয়ে পাখিগুলো সাঁতার কাটায় পানিতে অক্সিজেন মেশার সুযোগ পায় এবং পানির ভারসাম্য রক্ষা পায়। পানিতে মাছের ক্ষতিকর পোকা ধরে খায়। এতে মাছের বংশ রক্ষা পায়। তা ছাড়া পাখির মলমূত্র, বিষ্টা মাটিতে জমা হয়ে মাটিকে ফসফরাস ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ করে তোলে। পাখি ও মৎস্যবিদদের মতে, যে হাওরে যত বেশি পাখি মুক্তভাবে বিচরণ করবে, সে হাওরে বা জলাশয়ে মৎস্যসম্পদ বেশি উৎপন্ন হবে। পৃথিবীর ৮০ শতাংশ পাখিই পোকামাকড় খাওয়া পাখি। এরাই পোকামাকড় খেয়ে আমাদের মূল্যবান বন-জঙ্গলের বৃক্ষসম্পদগুলো বাঁচিয়ে রাখে। প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমরা এত বেশি পরিমাণ কীটনাশক ব্যবহার করছি, আমাদের চারপাশ থেকে এখন পোকামাকড় বিলুপ্ত হয়ে আজ নানা প্রজাতির পাখিও বিলুপ্ত হতে চলেছে।

নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে : বহু বছর ধরে শীত মৌসুমে বাংলাদেশে অতিথি পাখি এলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কারণে অতিথি পাখি আসাটা কমে যাচ্ছে। এসব পাখির জীবনযাপন ও পরিবেশ দিন দিন অনিরাপদ হয়ে উঠছে। যে পাখি শুধু জীবন ও খাদ্যের সন্ধানে আমাদের মতো দেশে আসে, নিজেদের অসচেতনতা ও লোভের বশবর্তী হয়ে কিছু লোক সেই অতিথি পাখিরই জীবন বিনষ্ট করছে বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করছে। এমন অমানবিক আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ছাড়া আমরা বাঙালিরা অতিথি পাখি দেখতে গেলেই পাখির খুব কাছে যেতে চাই, ছবি তুলতে চাই। ক্যামেরার ক্লিক বা নীরবতা ভঙ্গ করলে পাখিরা বিরক্তবোধ করে এবং অন্যত্র চলে যায়। আমরা প্রয়োজনের অতিরিক্ত ক্যামেরায় ক্লিক দিই। একই কারণে অনেক পাখির আবাসস্থলে পাখির সংখ্যা কমে যাচ্ছে। এ থেকে আমাদের সতর্ক হতে হবে। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ক্যামেরা বা শব্দযন্ত্রের ব্যবহার প্রয়োজন ছাড়া একেবারেই কমিয়ে আনতে হবে।

সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনের তৎপরতা চাই : ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী, পাখি নিধনের সর্বোচ্চ শাস্তি এক লাখ টাকা জরিমানা, এক বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড। একই অপরাধ আবার করলে শাস্তি ও জরিমানা দিগুণ। একইভাবে কোনো ব্যক্তি যদি পরিযায়ী পাখির মাংস, দেহের অংশ সংগ্রহ করেন, দখলে রাখেন কিংবা ক্রয়-বিক্রয় করেন বা পরিবহন করেন, সে ক্ষেত্রে তার সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদন্ড এবং সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা অর্থদ অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত হওয়ার আইন প্রচলিত রয়েছে। অতিথি পাখি নিধন ও বাজারে বিক্রি নিষিদ্ধ জেনেও আইনের ফাঁক গলিয়ে এক শ্রেণির পেশাদার এবং শৌখিন শিকারি কাজগুলো করে চলেছেন। এ ক্ষেত্রে প্রচলিত আইনকে প্রয়োগ করতে হবে কার্যকারভাবে। তৎপরতা বাড়াতে হবে সংশ্লিষ্ট এলাকার প্রশাসনকে। পাশাপাশি হাওর এলাকার মানুষের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান দরকার।

জনসচেতনতা ও প্রকৃতিপ্রেম দরকার : প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যও পাখিদের বাঁচিয়ে রাখার প্রয়োজন আছে। পাখি হলো প্রকৃতির কীটনাশক। পাখির সংখ্যা কমে গেলে কীটপতঙ্গের অত্যাচারে অসম্ভব হয়ে পড়বে ফসল ফলানো। সেটিই যদি হয়, তাহলে নির্ভর করতেই হবে কীটনাশকের ওপর। কিন্তু এটি তো পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যে দেশে পাখি বেশি, সে দেশে পর্যটকের সংখ্যাও বেশি। কাজেই পাখি ঘাটতি অবশ্যই উদ্বেগের ব্যাপার। পাখি নিসর্গকে সুন্দর করে। চোখকে প্রশান্তি দেয়। সৌন্দর্য চেতনাকে আলোড়িত করে। পাখিরা আসুক। ওদের কলকাকলিতে ভরে উঠুক আমাদের চারপাশ। আর আমরা অতিথি পাখিদের শিকার না করে, ওদের উৎপাত না করার মাধ্যমে তাদের প্রতি সদয় হয়ে বাড়িয়ে দিই আমাদের মানবিক আচরণ। পাখি বিশেষজ্ঞদের মতে, এক দশক আগেও এ দেশে ২০০ থেকে ২১৫ প্রজাতির অতিথি পাখি আসত। এ সংখ্যা প্রতি বছরই হ্রাস পাচ্ছে। ব্যাপকহারে পাখি শিকার ও জলাভূমির সংখ্যা কমে যাওয়াই তার কারণ। গ্রামের গরিব মানুষ পেটের দায়ে পাখি ধরে ধরে বিক্রি করে। যারা কিনছে, তারা শহুরে শিক্ষিত ও ধনী শ্রেণি। রুচির পরিবর্তনের জন্যই তারা কিনে নেয় অতিথি পাখি। অতিথি পাখি ছাড়াও তাদের রুচির পরিবর্তন করা যায়। এ ক্ষেত্রে জনসচেতনতা ও প্রকৃতিপ্রেমই দরকার সবচেয়ে বেশি।

লেখক : সাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক ও গণমাধ্যমকর্মী

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত