প্রশ্ন : জুতা পরিধান করে বা জুতার ওপর দাঁড়িয়ে জানাজার নামাজ পড়া যাবে?
উত্তর : জুতায় নাপাকি না থাকলে জানাজার নামাজের সময় জুতা পায়ে রাখতে অথবা জুতার ওপর দাঁড়াতে অসুবিধা নেই। তবে জুতা পরা অবস্থায় থাকলে দাঁড়ানোর স্থানও পবিত্র হওয়া জরুরি। আর জুতার নিচের অংশে নাপাকি থাকলে পা থেকে খুলে জুতার ওপর দাঁড়াবে। এ ক্ষেত্রে জুতা পরে জানাজার নামাজ পড়া যাবে না। (আল মুহিতুল বোরহানি : ২/২০, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ২/৩১, আল বাহরুর রায়েক : ২/১৭৯, হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকিল ফালাহ : ৩১৯, রদ্দুল মুহতার : ১/৪০২)।
প্রশ্ন : কোরবানির পশু জবাই করা হয়েছে যে মাঠে, সেখানে জানাজা আদায় করার হুকুম কী?
উত্তর : এ ধরনের অপবিত্র মাঠ শুকিয়ে গেলে এবং নাপাকির চিহ্ন ও গন্ধ দূর হয়ে গেলেই তা পাক হয়ে যায়। সুতরাং দাঁড়ানোর স্থানে নাপাকির চিহ্ন না থাকলে সেখানে খালি পায়ে জানাজার নামাজ পড়া সহিহ হবে। আর জমিন নাপাক হলে জুতা খুলে জুতার ওপর দাঁড়ালেও জানাজার নামাজ সহিহ হবে। (বোখারি : ২১৯, মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ১/৪৩১, আল মাবসুত লিস সারাখসি : ১/২০৫, ফতোয়ায়ে খানিয়া : ১/২৯, বাদায়েউস সানায়ে : ১/২৫১, আল বাহরুর রায়েক : ২/১৭৯, আল মুহিতুল বোরহানি : ২/২০, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/৬২)।
প্রশ্ন : একটি পরিবারের নির্দিষ্ট ওয়াকফকৃত কোনো কবরস্থান ছিল না। এরপর একটি ওয়াকফকৃত কবরস্থান বানানো হলো। এখন আগের কবরগুলোকে নতুন ওয়াকফকৃত কবরস্থানে স্থানান্তর করা এবং আগের জায়গাকে সমান করে দিয়ে ফসলি জমি বানানো জায়েজ হবে?
উত্তর : শরিয়তসম্মত কোনো ওজর ছাড়া কবর স্থানান্তর করা বৈধ নয়। তাই আগের কবরগুলোকে স্থানান্তর করা যাবে না। অবশ্য যেসব কবরে লাশ মাটির সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে বলে প্রবল ধারণা হয়, সেসব জায়গা ব্যক্তি মালিকানাধীন হলে তা সমান করে দিয়ে উক্ত জমি চাষাবাদসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা যাবে। কেননা, ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরের লাশ মাটি হয়ে গেলে সেই কবর অক্ষত রাখা জরুরি নয়। আর যেসব কবর একেবারে নতুন বা বেশিদিন হয়নি এবং লাশ মাটি না হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেসব কবর স্থানান্তরও করা যাবে না। তা সমান করে অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না; বরং এ জাতীয় কবরগুলোর লাশ মাটি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত অক্ষত রাখতে হবে। (আত তাজনিস ওয়াল মাযিদ : ২/২৭৯, ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া : ৩/৮২, খোলাসাতুল ফাতাওয়া : ১/২২৬, হালবাতুল মুজাল্লি : ২/৬২৯, তাবঈনুল হাকায়েক : ১/৫৮৯, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া : ১/১৬৭, আদ্দুররুল মুখতার : ২/২৩৮)।