প্রশ্ন : একবার ট্রেনে করে এক জায়গায় যাচ্ছিলাম। মাঝে ফজরের সময় এক স্টেশনে ট্রেনটি থামে। তাই আমি প্লাটফরমের এক কামরায় ফজরের জামাতে শরিক হই। আমরা যখন বৈঠকে তাশাহুদ পড়ছি, তখন ট্রেন ছাড়ার জন্য সংকেত দেওয়া হয়। তাই আমি তাড়াহুড়া করে ইমামের আগেই সালাম ফিরিয়ে ট্রেনে উঠি। ইমামের আগে সালাম ফেরানোর কারণে কি আমার ওই নামাজ নষ্ট হয়ে গেছে? ওই নামাজ কি পুনরায় আদায় করতে হবে?
উত্তর : আপনি যদি তাশাহুদ পড়ার পর সালাম ফিরিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি যেহেতু ওজরবশত করেছেন, তাই আপনার নামাজ আদায় হয়ে গেছে। আর যদি তাশাহুদ পড়ার আগে সালাম ফিরিয়ে থাকেন, তাহলে ওই নামাজ আদায় হয়নি। তা পুনরায় আদায় করে নিতে হবে। উল্লেখ্য, মুক্তাদির জন্য নামাজের সালামেও ইমামের অনুসরণ করা ওয়াজিব। বিনা ওজরে ইমামের আগে সালাম ফেরানো মাকরুহে তাহরিমি। বিনা ওজরে এমনটি করলে উক্ত নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবে। (হাশিয়াতুত তাহতাবি আলাল মারাকিল ফালাহ : ১৬৯, ফাতাওয়ায়ে খানিয়া : ১/৯৭, ফতোওয়ায়ে তাতারখানিয়া : ২/১৯০, আদ্দুররুল মুখতার : ১/৫২৫)।
প্রশ্ন : একদিন ফজর নামাজে প্রথম রাকাতে ইমামের পেছনে দাঁড়িয়ে ঘুমাচ্ছিলাম। ইমাম কখন রুকুণ্ডসেজদা করলেন, টের পাইনি। হঠাৎ চোখ খুলে দেখি, তিনি সেজদা থেকে উঠে দ্বিতীয় রাকাত শুরু করেছেন। তখন আমি তার সঙ্গে দ্বিতীয় রাকাতে শরিক হয়ে নামাজ শেষে ছুটে যাওয়া রাকাতটি আদায় করেছি। আমার ওই নামাজ আদায় হয়েছে নাকি তা পুনরায় পড়তে হবে?
উত্তর : আপনার ওই নামাজ আদায় হয়ে গেছে, তা পুনরায় পড়তে হবে না। তবে তা নিয়মসম্মত হয়নি। কারণ, নামাজের শুরু থেকে উপস্থিত থাকার পর ঘুমের কারণে কিছু অংশ ছুটে গেলে নিয়ম হলো, যে অংশ ছুটে গেছে, তা আগে আদায় করে নেওয়া, তারপর ইমামের অনুসরণ করা। (আল মুহিতুল বোরহানি : ২/৩৪৭, বাদায়েউস সানায়ে : ১/৫৬৩, আল বাহরুর রায়েক : ১/৩৫৬)।