রোজার ফিদয়া

হুমাইদুল্লাহ তাকরিম

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

মাসআলা : যে বৃদ্ধ বা অসুস্থ ব্যক্তির রোজা রাখার সামর্থ্য নেই এবং পরবর্তীতে কাজা করতে পারবে এমন সম্ভাবনাও নেই, এমন ব্যক্তি রোজার পরিবর্তে ফিদয়া প্রদান করবে। (সুরা বাকারা : ১৮৪)।

 

মাসআলা : ফিদয়া হলো, প্রত্যেক রোজার পরিবর্তে একজন গরিবকে দুইবেলা খাবার খাওয়ানো অথবা পৌনে দুই কেজি গমের মূল্য সদকা করা। (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ৭৫৮৫)।

মাসআলা : যাদের জন্য রোজার পরিবর্তে ফিদয়া দেওয়ার অনুমতি রয়েছে, তারা রমজানের শুরুতেই পুরো মাসের ফিদয়া দিয়ে দিতে পারবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪২৭, আল বাহরুর রায়েক : ২/২৮৭)।

মাসআলা : দুর্বল বৃদ্ধ ও এমন অসুস্থ ব্যক্তি যার ভবিষ্যতে রোজার শক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই, এরা ছাড়া আরও যাদের জন্য রোজা ভাঙা জায়েজ আছে, (যেমন- মুসাফির, গর্ভবতী ও শিশুকে স্তন্যদানকারিনী) তারা রোজা না রাখলে রোজার ফিদয়া দেবে না; বরং পরে কাজা করবে। আর ওজরের হালতে মৃত্যুবরণ করলে কাজা ও ফিদয়া কিছুই ওয়াজিব হবে না। অবশ্য ওজরের হালত শেষ হওয়ার পর অর্থাৎ মুসাফির মুকিম হওয়ার পর, গর্ভবতী নারীর সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া ও স্রাব বন্ধ হওয়ার পর এবং স্তন্যদানকারিনী স্তন্যদান বন্ধ করার পর যদি মৃত্যুবরণ করে, তাহলে ওজর শেষে যে কয়দিন সময় পেয়েছে, সে কয়দিনের কাজা জিম্মায় আসবে। কাজা না করলে উক্ত দিনগুলোর ফিদয়া প্রদানের অসিয়ত করে যেতে হবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ২/৪২৩-৪২৪, কিতাবুল হুজ্জাহ আলা আহলিল মাদিনা : ১/২৫৫)।

মাসআলা : ছুটে যাওয়া রোজার কাজা সম্ভব না হলে মৃত্যুর আগে ফিদয়া দেওয়ার অসিয়ত করে যাওয়া জরুরি। অসিয়ত না করে গেলে ওয়ারিশরা যদি মৃতের পক্ষ থেকে ফিদয়া দেয়, তবে আশা করা যায়, আল্লাহতায়ালা তা কবুল করবেন। তবে মৃতব্যক্তি অসিয়ত না করে গেলে, সে ক্ষেত্রে মিরাসের ইজমালি সম্পদ থেকে ফিদয়া দেওয়া যাবে না। একান্ত দিতে চাইলে বালেগ ওয়ারিশগণ তাদের অংশ থেকে দিতে পারবে। (রদ্দুল মুহতার : ২/৪২৪-৪২৫)।

মাসআলা : এক রোজার ফিদয়া একজন মিসকিনকে দেওয়া উত্তম। তবে একাধিক ব্যক্তিকে দিলেও ফিদয়া আদায় হয়ে যাবে। আর একাধিক ফিদয়া এক মিসকিনকে দেওয়া জায়েজ। (মুসান্নাফে আবদির রাজ্জাক : ৭৫৭৪, আল বাহরুর রায়েক : ২/৮৭)।