মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি জীব। আল্লাহতায়ালা মানুষকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়ে সম্মানিত করেছেন। মানুষের প্রতিটি কাজে থাকতে হবে জ্ঞান ও বিবেকের পরিচয়। মানুষ কখনও প্রাণীর মতো হিংস্র ও অমানবিক আচরণ করতে পারে না। ইসলাম মানুষকে শিখিয়েছে সবার সঙ্গে সর্বোত্তম, কোমল ও নরম আচরণ। মানুষের প্রতি মানুষ যেমন সদয় হবে, আল্লাহর সব সৃষ্টির প্রতিও তেমন সদয় হবে। পশু-পাখিও আল্লাহর সৃষ্টি প্রাণিজগত। প্রাণিজগতের প্রতি ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গী অনুপম। পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসা ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। তাদের যত্ন নেওয়া আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। সৃষ্টিজীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা ইসলামের অন্যতম শিক্ষা। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সর্বত্র শান্তির বার্তা পৌঁছায়। এ ধর্মে কেউ অত্যাচারের শিকার হয় না। মানুষ তো দূরের কথা, এমনকি অবলা জীবজন্তুও নয়। অধিকন্তু জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন করা ঈমানি দায়িত্ব। কোরআন ও হাদিসে এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জীবের প্রতি মানবিক আচরণ পুণ্যের কাজ; যা মানুষকে জান্নাত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। পক্ষান্তরে জীবের প্রতি অমানবিক হওয়া মারাত্মক গোনাহের কাজ; যা ব্যক্তিকে জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
জীবের প্রতি দয়া করার গুরুত্ব : পশু-পাখি আল্লাহর সৃষ্টি। এর প্রতি মানুষের হক রয়েছে। বিশেষ করে, গৃহপালিত পশুপাখির ওপর। এদের প্রতি হক হলো, সময়মতো পানাহার করানো, ভালোভাবে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া, এদের ওপর দয়া ও ভালোবাসার আচরণ করা, সাধ্যের বাইরে এর থেকে কাজ না নেওয়া। প্রাণীর হকের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে। এতে আল্লাহতায়ালার দয়া ও ভালোবাসা লাভ হয়। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দয়াশীলদের ওপর করুণাময় আল্লাহ দয়া করেন। তোমরা পৃথিবীবাসীর প্রতি দয়া করো, তাহলে যিনি আসমানে আছেন, তিনি তোমাদের প্রতি দয়া করবেন।’ (সুনানে আবি দাউদ : ৪৯৪১)। ইসলাম সর্বদা অনুগ্রহের প্রতি উৎসাহ প্রদান করে; হোক সেটা মানুষের ওপর বা অন্য কিছুর ওপর। যে অনুগ্রহ করে, আল্লাহতায়ালা তাকে দয়া করেন। তার প্রতি অনুগ্রহ করে তাকে প্রিয় বানিয়ে নেন। পক্ষান্তরে যে দয়া করে না, সে এসব থেকে বঞ্চিত হয়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘যে দয়া করে না, সে দয়া পায় না।’ (বোখারি : ৫৯৯৭)।
দয়ার্দ্রের কারণ : জমিনের সৃষ্টি মাখলুকাত মানুষের কল্যাণার্থে সৃষ্টি করা হয়েছে। মানুষ এর দ্বারা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়। যেমন- এর দ্বারা মানুষ তাদের মৌলিক চাহিদা খাদ্য ও বস্ত্রের অভাব পূরণ করে। এর দ্বারা ভারী বোঝা বহন করে। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করে। এ ছাড়া প্রাণীর দ্বারা মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজন পূরণ করে। মানুষ এর দ্বারা উপকৃত হয়ে আল্লাহতায়ালার প্রতি কৃতজ্ঞ হবে, তাঁর কৃতজ্ঞতা আদায় করবে এবং তাঁর ইবাদতে অভিনিবিষ্ট হবে, এটাই আল্লাহর কামনা। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘চতুষ্পদ জন্তুগুলো তিনিই (আল্লাহ) তোমাদের জন্য সৃষ্টি করেছেন; তাতে রয়েছে উষ্ণতার উপকরণ ও বিবিধ উপকার। আর তা থেকে তোমরা আহার গ্রহণ কর। আর তোমাদের জন্য তাতে রয়েছে সৌন্দর্য, যখন সন্ধ্যায় তা ফিরিয়ে আনো এবং সকালে চারণভূমিতে নিয়ে যাও। আর এগুলো তোমাদের বোঝা বহন করে এমন দেশে নিয়ে যায়, ভীষণ কষ্ট ছাড়া যেখানে তোমরা পৌঁছাতে সক্ষম হতে না। নিশ্চয় তোমাদের রব দয়াশীল, পরম দয়ালু। আর (তিনি সৃষ্টি করেছেন) ঘোড়া, খচ্চর ও গাধা, তোমাদের আরোহণ ও শোভার জন্য এবং তিনি সৃষ্টি করেন এমন কিছু; যা তোমরা জানো না।’ (সুরা নাহল : ৫-৮)।
ভালোভাবে সেবাযত্ন করা : আমাদের গৃহপালিত যেসব প্রাণী রয়েছে, এদের সঠিকভাবে প্রতিপালন ও পরিচর্যা করা আমাদের দায়িত্ব। দায়িত্ব আদায় না করলে বা অলসতা করলে, এর জন্য আল্লাহর কাছে জিজ্ঞাসিত হতে হবে। এর দ্বারা সহজেই অনুমান করা যায় বিষয়টির গুরুত্ব। তাই নবীজি (সা.) এগুলোর প্রতি যত্নবান হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। আবদুল্লাহ ইবনে জাফর (রা.) সূত্রে বর্ণিত; একবার রাসুল (সা.) আমাকে তার খচ্চরের পিঠে তার পেছনে বসালেন। তিনি আমাকে গোপনে কিছু কথা বলে এ মর্মে সতর্ক করে দিলেন, আমি যেন কাউকে তা না বলি। রাসুল (সা.) তার প্রাকৃতিক প্রয়োজনের সময় গোপনীয়তা রক্ষার্থে উঁচু জায়গা অথবা ঘন খেজুরকুঞ্জ পছন্দ করতেন। তিনি এক আনসারির খেজুর বাগানে প্রবেশ করলে, হঠাৎ একটি উট তার দৃষ্টিগোচর হয়। উটটি নবীজি (সা.)-কে দেখে কাঁদতে লাগল এবং তার চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ল। নবীজি (সা.) উটটির কাছে গিয়ে এর মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করলেন। এতে উটটি কান্না থামাল। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, ‘এ উটের মালিক কে?’ তিনি আবারও ডাকলেন, ‘উটটি কার?’ এক আনসারি যুবক এসে বলল, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার।’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘আল্লাহ যে তোমাকে এ নিরীহ প্রাণীটির মালিক বানালেন, এর অধিকারের ব্যাপারে তুমি কি আল্লাহকে ভয় কর না? উটটি আমার কাছে অভিযোগ করেছে, তুমি একে ক্ষুধার্ত রাখ এবং একে কষ্ট দাও।’ (সুনানে আবি দাউদ : ২৫৪৯)।
অহেতুক কষ্ট না দেওয়া : আল্লাহতায়ালা প্রাণীসমূহকে আমাদের উপকারের বস্তু বানিয়েছেন। উপকারের প্রতিদান উত্তম পন্থায় প্রদান করা উচিত। নবীজি (সা.) আমাদের শিখিয়েছেন, কীভাবে এদের দেখভাল করতে হবে, এদের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। আনাস ইবনে মালেক (রা.) সূত্রে বর্ণিত; তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো স্থানে অবতরণ করলে বাহনের পিঠ থেকে হাওদা নামিয়ে এর বিশ্রামের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত সালাত আদায় করতাম না।’ (সুনানে আবি দাউদ : ২৫৫১)। নবীজি (সা.) পশু শুইয়ে রেখে ছুরি ধার করতে, ধারহীন ছুরি দিয়ে জবাই করতে পর্যন্ত নিষেধ করেছেন। কেননা, এতে পশুকে কষ্ট দেওয়া হয়। ইসলাম শান্তির ধর্ম। সব জায়গাতেই শান্তির আলোকচ্ছটা ছড়ায়। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় আল্লাহতায়ালা প্রতিটি জিনিসের প্রতি দয়া-অনুগ্রহ প্রদর্শনের আবশ্যকতা গণ্য করেছেন। অতএব, তোমরা (কিসাসে অথবা জিহাদে) কোনো লোককে হত্যা করলে উত্তম পন্থায় হত্যা করবে এবং কোনো কিছু জবাই করার সময় উত্তম পন্থায় জবাই করবে। তোমাদের মধ্যে যে কেউ যেন তার ছুরি ভালোভাবে ধারালো করে নেয় এবং জবাই করার পশুটিকে আরাম দেয়।’ (তিরমিজি : ১৪০৯)।
প্রাণীর প্রতি সদয় আচরণ : অবলা প্রাণী কথা বলতে পারে না দেখে যাচ্ছে তাই আচরণ করা যাবে না। মানুষের মতো এদেরও দুঃখ-কষ্ট অনুভব হয়। কিন্তু কথা বলতে পারে না দেখে তা আমাদের বোধগম্য হয় না। মানুষের উচিত হলো, এদের দুঃখ-কষ্টের প্রতি খেয়াল রাখা। যে কাজে অহেতুক এদের কষ্ট দেওয়া হয়, তা বর্জন করা। রাসুল (সা.) গর্তে পেশাব করতে নিষেধ করেছেন। (সুনানে আবি দাউদ : ২৯)। কেননা, এতে সেখানে বসবাসকারী প্রাণীদের কষ্টে পতিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অন্য এক হাদিসে রাসুল (সা.) প্রাণীর মুখে আঘাত করতে এবং মুখে সেক দিতে বারণ করেছেন। (মুসলিম : ২১১৬)। যে কোনো প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা রাখতে হবে। অযথা কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। নতুবা অবশ্যই এর শাস্তি ভোগ করতে হবে। এমন ব্যক্তির ওপর নবীজি (সা.)-এর অভিসস্পাত। জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.)-এর সামনে দিয়ে এমন একটি গাধা যাচ্ছিল, যার মুখে দাগ দেওয়া হয়েছিল। নবীজি (সা.) বললেন, ‘যে ব্যক্তি একে দাগ লাগিয়েছে, আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করুন।’ (মুসলিম : ২১১৭)। ইসলাম এভাবেই প্রাণীর প্রতি সদয় আচরণের গুরুত্বারোপ করেছে।
প্রাণীর প্রতি অনুগ্রহের লাভ : মানুষের প্রতি ভালো ব্যবহার করলে যেমন উপকার রয়েছে, প্রাণীর প্রতি দয়াপরবশ হলেও তদ্রূপ লাভ আছে। অনেক পুণ্যের কাজ আমাদের দৃষ্টিতে সামান্য মনে হলেও এর প্রতিদান অসামান্য। সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ করাও ঠিক তেমন। সৃষ্টির প্রতি অনুগ্রহ করলে স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জিত হয়, হোক তা যতই ছোট। ফলে আল্লাহতায়ালা সেই বান্দার ওপর রহম করেন, তার গোনাহ মিটিয়ে দেন। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, একবার এক লোক রাস্তায় চলতে চলতে পিপাসায় কাতর হয়ে পড়ল। সে একটি কূপ দেখতে পেয়ে তাতে নেমে পানি পান করে বের হলো। তখন সে দেখতে পেল, একটি তৃষ্ণার্ত কুকুর ভেজা মাটি চাটছে। সে ভাবল, আমার যেরূপ পিপাসা পেয়েছিল, কুকুরটিরও অনুরূপ পিপাসা পেয়েছে। সে আবার কূপে নামল এবং পায়ের মোজায় পানি ভরে তা মুখে কামড়ে ধরে উঠে এসে কুকুরটিকে পান করাল। আল্লাহ তার এ কাজে খুশি হয়ে তার গোনাহ ক্ষমা করে দিলেন। সাহাবিরা বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! এসব প্রাণীর সেবা করলেও আমাদের সওয়াব দেওয়া হবে?’ তিনি বললেন, ‘প্রতিটি জীবিত প্রাণীর সেবার জন্য সওয়াব রয়েছে।’ (সুনানে আবি দাউদ : ২৫৫০)।
সৃষ্টির প্রতি নির্দয়তার ভয়াবহতা : সৃষ্টির প্রতি দয়া করলে যেমন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জিত হয়, তেমনি এর প্রতি নির্দয় আচরণের ফলে আল্লাহর অসন্তুষ্টি অর্জিত হয়। এসব বিষয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। অনেকে বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখি লালন-পালন করে, কিন্তু এর প্রতি খুব একটা খেয়াল রাখে না। অথচ এর পরিণতি খুবই ভয়ংকর। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘একজন স্ত্রীলোক একটি বিড়াল বেঁধে রেখেছিল। অতঃপর অনাহারে বিড়ালটি মারা যায়। এ অপরাধে স্ত্রীলোকটিকে শাস্তি দেওয়া হয় এবং জাহান্নামি বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। সে বিড়ালকে বেঁধে রেখেছিল; অথচ তাকে আহারও করায়নি, পানও করায়নি। অপরপক্ষে তাকে ছেড়েও দেয়নি; যাতে সে জমিনের কীটপতঙ্গ খেয়ে বাঁচত।’ (মুসলিম : ২২৪২)। আমাদের চারপাশে অনেক প্রাণী থাকে, সেগুলোকে অন্যায়ভাবে হত্যা করা যাবে না। কিন্তু দেখা যায়, সমাজে অনেক নির্দয় মানুষ আছে, যারা নির্বোধ অবলা প্রাণীদের প্রতি চরম অবজ্ঞা-অবহেলা প্রদর্শন করে। কোনো কারণ ছাড়াই তাদের কষ্ট দেওয়া অথবা হত্যা করাকে খুবই সাধারণ বিষয় মনে করে। অথচ বিষয়টি সাধারণ নয়। একটি পিঁপড়া নবীকুলের কোনো নবীকে কামড় দিলে তিনি পিঁপড়ার বাসা সম্পর্কে হুকুম দিলেন, ফলে তা জ্বালিয়ে দেওয়া হলো। তখন আল্লাহতায়ালা তার কাছে এ মর্মে অহি পাঠালেন যে, একটি (মাত্র) পিঁপড়া তোমাকে কামড় দিয়েছে, তাতে কিনা তুমি উম্মত ও সৃষ্টিকুলের এমন একটি সৃষ্টিদলকে জ্বালিয়ে দিলে, যারা তাসবিহ পাঠ করছিল? (মুসলিম : ৫৬৫৪)।
রহমতের নবীজির প্রাণীর প্রতি মমতা : রাসুল (সা.) বলেছেন, অন্যায়ভাবে কোনো প্রাণীকে হত্যা করার কারণে বান্দা এ সম্পর্কে আল্লাহতায়ালার কাছে জিজ্ঞাসিত হবে। এর থেকে ভয়াবহ আর কী হতে পারে! আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত; রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি চড়ুই বা তার চেয়ে ছোট কোনো প্রাণীকে অন্যায়ভাবে হত্যা করে, তাকে আল্লাহতায়ালা কেয়ামতের দিন সে সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবেন। তখন জিজ্ঞেস করা হলো, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! তার অধিকার কী?’ তিনি বললেন, ‘তার অধিকার হলো, তাকে জবাই করে খাওয়া এবং তার মাথা কেটে নিক্ষেপ না করা।’ (সুনানে নাসায়ি : ৪৪৪৬)। অন্য এক হাদিসে এসেছে, একবার রাসুল (সা.) একটি উটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। প্রচুর ক্ষুধার তাড়নায় যার পিঠ পেটের সঙ্গে লেগে গেছে। উটটি অনাহারে অপুষ্টিতে দুর্বল হয়ে পড়েছে। এ দৃশ্য দেখে রহমতের নবীর ভীষণ মায়া হলো। সাহাবিদের ডেকে বললেন, ‘এসব বাকশক্তিহীন প্রাণীর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করো। সুস্থ অবস্থায় এগুলোতে আরোহণ করো, সুস্থ অবস্থায় আহার করো।’ (সুনানে আবি দাউদ : ২৫৪৮)।
লেখক : প্রাবন্ধিক ও সাহিত্যিক