মুসলিম বিশ্ব পরিচিতি : ইরান
প্রকাশ : ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
প্রকৃতি ও পরিবেশ ডেস্ক
দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত ইরান। বিশ্বের সবচেয়ে পর্বতময় দেশগুলোর একটি এটি। যেখানে হিমালয়ের পরই এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ‘দামভান্দ’ অবস্থিত। দেশটির জনগণ জাতিগত ও ভাষাগতভাবে বিচিত্র হলেও তারা প্রায় সবাই মুসলিম। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে এ অঞ্চলটি ইসলামের শিয়া মতাবলম্বীদের কেন্দ্র। ইরানে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার রয়েছে। পারস্য উপসাগরের অন্যান্য তেলসমৃদ্ধ দেশের মতো ইরানের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তিও তেল। খ্রিষ্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীতে বর্তমান ইরান ছিল বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সাম্রাজ্য পারস্যের কেন্দ্র। প্রায় ২ হাজার বছর ধরে এ অঞ্চলের অধিবাসীরা নিজেদের দেশকে ‘ইরান’ নামে ডাকত।
ইরান নামটি এ এলাকায় বসতি স্থাপনকারী আর্য গোত্রের নাম থেকে নেয়া। কিন্তু গ্রিকরা এ অঞ্চলকে পার্স (বর্তমান ইরানের ফার্স প্রদেশ) বলে সম্বোধন করে। সেখান থেকে ইউরোপীয় ভাষায় এর নাম হয় পার্সিয়া। ১৯৩৫ সালে ইরানের শাসক দেশটিকে শুধু ‘ইরান’ বলে ডাকার অনুরোধ জানানোর পর থেকে এখন এ নামেই সারা বিশ্বে দেশটি পরিচিত। ১৫০১ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত রাজতান্ত্রিক ইরানকে রাজারা শাসন করতেন। ১৯৭৯ সালে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ইরানে একটি ইসলামি প্রজাতন্ত্র স্থাপন করে। ইরান ভৌগোলিকভাবে মধ্যপ্রাচ্যের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এর উত্তরে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, কাস্পিয়ান সাগর ও তুর্কমেনিস্তান, পূর্বে আফগানিস্তান ও পাকিস্তান, দক্ষিণে ওমান উপসাগর, হরমুজ প্রণালি ও পারস্য উপসাগর এবং পশ্চিমে ইরাক ও তুরস্ক।
একনজরে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
পুরো নাম : ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান
রাজধানী : তেহরান
সরকারি ভাষা : ফারসি
ধর্ম : ইসলাম
সর্বোচ্চ নেতা : আলী খামেনি
প্রেসিডেন্ট : ডা. মাসুদ পেজেশকিয়ান
সংসদের স্পিকার : আলি লারিজানি
আয়তন : ১৬ লাখ ৪৮ হাজার ১৯৫ বর্গকিলোমিটার
জনসংখ্যা : ৮২.৮ মিলিয়ন
ঘনত্ব : প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৪৮ জন
জিডিপি (মোট) : ১.৪৫৯ ট্রিলিয়ন ডলার
মাথাপিছু : ১৮ হাজার ১৩৫ ডলার
মুদ্রা : রিয়াল
জাতিসংঘে যোগ : ২৪ অক্টোবর ১৯৪৫