প্রশ্ন : মোবাইলের রিংটোন হিসেবে বিভিন্ন ধরনের মিউজিক বা গানের কলি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর : মিউজিক, বাদ্য ইত্যাদি গানের সঙ্গে শোনা তো কবিরা গোনাহ; গান ছাড়া পৃথকভাবে শোনাও গোনাহ। তাই যে কোনো ধরনের বাদ্য, মিউজিক টোন রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করাও গোনাহ। তদ্রূপ গানের কলি বা অংশবিশেষও রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করা নাজায়েজ। মিউজিক বা গান রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করলে নিজে শোনার গোনাহ তো আছেই, যে স্থানে মোবাইলটি ব্যবহার হচ্ছে, তার আশপাশের লোকদেরকে বাদ্য, গান শোনানোর গোনাহও হয়। এ ছাড়া এমন রিংটোন মসজিদে বেজে উঠলে মসজিদের পবিত্রতা ক্ষুণ্ণ করা হয়। তাই রিংটোন হিসেবে এর ব্যবহার নিতান্তই মন্দ কাজ ও গোনাহ। সেজন্য গান বা মিউজিক ছাড়া অন্যান্য শব্দ রিংটোন হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। (সুরা লোকমান : সহিহ বোখারি : ২/৮৩৭, সুনানে তিরমিজি : ১/২৪১, সুনানে ইবনে মাজাহ : ৩০০, আল গিনা ফিল ইসলাম : ৮৭, ফাতহুল কাদির : ৬/৪৮২)।
প্রশ্ন : কারো কাছে ডায়াল করার পর তার মোবাইল বা ফোনে রিং হচ্ছে কিনা, তা বোঝানোর জন্য যে টোন বা শব্দ ব্যবহার করা হয়, তাকে ওয়েলকাম টিউন বলে। এখন এই টোনের পরিবর্তে গান সেট করা যায়। কেউ তা সেট করলে তাকে যে ব্যক্তি কল করবে, সে রিংটোনের পরিবর্তে ওই গানের অংশ শুনতে পাবে। এতে গান সেটকারী গ্রাহকের প্রত্যেক মাসে প্রায় ৩০ টাকা খরচ হয়। এটি জায়েজ আছে?
উত্তর : ওয়েলকাম টিউনে গান বা মিউজিক ডাউনলোড করলে উল্লিখিত নম্বরের সঙ্গে যোগাযোগকারী সকলকে বাধ্য হয়ে গান বা মিউজিক শুনতে হবে। এতে অন্যকে গান শোনানো তথা গোনাহের কাজে বাধ্য করার গোনাহ হয়। তাই এটি নাজায়েজ। (সুরা লোকমান : ৬, সহিহ বোখারি : ২/৮৩৭, ফাতহুল কাদির : ৬/৪৮২)।