ঢাকা ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতের পাখির কথা

শীতকালে হিমালয় ও রাশিয়া থেকে এ দেশে অতিথি পাখি আসে। এদের ২৪৪ প্রজাতি রয়েছে। শীত শেষে ওদের দেশে বরফ গলতে শুরু করলে ফিরে যায়। এমন কয়েকটি অতিথি পাখির কথা লিখেছেন- তাবাসসুম মাহমুদ
শীতের পাখির কথা

বড়ো গুলিন্দা : বড়ো গুলিন্দা পাখি ইউরোপ ও এশিয়ার উত্তরাঞ্চলে বাস করে। এগুলো ব্রিটেন আর আয়ারল্যান্ডে বেশি দেখা যায়। আফ্রিকা ও ইউরোপ এশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে এরা ঘুরতে বেরোয়। এগুলো সাধারণত কাদার ভেতর ঘুরে বেড়ায় এবং পোকা মাকড় খায়।

রাঙ্গামুরি : রাঙ্গামুরি পাখি হাঁসের একটি প্রজাতি। এরা ইউরোপ ও মধ্যএশিয়ায় বাস করে। শীতকালে এরা বাংলাদেশ বা পশ্চিম আফ্রিকার কোনো দেশে চলে যায়। কখনো কখনো আফ্রিকায়ও যায়। এরা সবসময় দলবেঁধে ঘোরাঘুরি করে। পানির বিভিন্ন উদ্ভিদ এ পাখিগুলোর প্রধান খাবার।

মানিকজোড় : সাদা মানিকজোড় পাখি অনেক বড় আকারের হয়। এ পাখির লেজ অনেক লম্বা ও লাল রঙের হয়। এদের প্রধান খাবার হলো- পোকা মাকড়, সাপ, ব্যাঙ এবং ছোট ছোট প্রাণী। সাদা মানিকজোড় তেমন কোনো শব্দ করতে পারে না। শুধু হিস করে মৃদু শব্দ তৈরি করতে পারে। মিশরে এ পাখিগুলোকে মনে করা হতো আত্মার প্রতীক। গ্রিসে এ পাখিকে খুব শ্রদ্ধা করা হয়। কেউ মানিকজোড়কে মারলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতো।

হট্টিটি : হট্টিটি পাখি টি-টি-টি ডাকের জন্য খুব বিখ্যাত। একে আমাদের দেশে তিতির পাখি নামে ডাকা হয়। ছোট্ট এ পাখি সাধারণত মাটিতেই বাস করে। মাটি থেকে পোকা মাকড় ধরে খেয়ে থাকে। রাশিয়া আর কাজাখাস্তানে এ পাখির বসবাস। শীতের সময় গরম জায়গার খোঁজে বেরিয়ে পড়ে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান, আর্মেনিয়া, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, সিরিয়া, সুদান, তুরস্ক, ইসরাইল, ওমান, ইরিত্রিয়ায় এগুলো শীতের মৌসুম কাটায়।

বালিহাঁস : বালিহাঁস ইউরোপ, মধ্যএশিয়া এবং উত্তর-পশ্চিম চীনে বাস করে। শীতের শুরুতেই এ পাখি আমাদের দেশে ঘুরতে আসে। দিনদিন ইউরোপে বালিহাঁসের সংখ্যা অনেক কমে যাচ্ছে। গিরিয়া হাঁস যেমন দলবেঁধে থাকতে পছন্দ করে, বালিহাঁস ঠিক তার উল্টো। বালিহাঁস একা থাকা পছন্দ করে অথবা জোড়ায় জোড়ায় থাকে। পরিভ্রমণে বের হওয়া ছাড়া বালিহাঁস সাধারণত বড় কোনো দল বাঁধে না।

গিরিয়া : গিরিয়া হাঁসের মূল নিবাস হলো ইউরোপ এবং এশিয়ার পশ্চিমের দেশগুলো। এরা বেশিদিন এক জায়গায় থাকতে চায় না। এ পাখিগুলো ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। মাঝে মাঝে এগুলো উড়তে উড়তে অস্ট্রেলিয়ায় চলে যায়। এগুলো একসঙ্গে দলবেঁধে উড়তে পছন্দ করে। পুরুষ পাখিগুলো অনেক চঞ্চল প্রকৃতির হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত