ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেলা ফুরোবার আগে

গোলাম রাজ্জাক কাসেমি
বেলা ফুরোবার আগে

দেখতে দেখতে ফুরিয়ে এলো মাহে রমজানের বরকতপূর্ণ প্রহর। আমরা কী এর যথাযথ মূল্যায়ন করতে পেরেছি! গোনাহ মাফ করাতে পেরেছি! উত্তর যদি না হয়, তাহলে বলব, এখনও সময় আছে গোনাহ মাফের। তওবা করে নিজেকে পাপমুক্ত করার ও আত্মসংশোধনের সুযোগ এখনও বিদ্যমান। তওবা খাঁটি হলে মুহূর্তেই সব মাফ করে দেন আল্লাহতায়ালা। বিগত অবহেলিত দিনগুলোর ক্ষতি কাটিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে পারি। তবেই হবে সত্যিকারের মুক্তি। মনে রাখতে হবে, সময়ের কাঁটা কারও জন্য অপেক্ষা করে না। পাপ মোচনের শ্রেষ্ঠ মুহূর্তগুলো হারিয়ে যাচ্ছে কর্পূরের মতো। যাপিত জীবনের পাপ মোচনের আগেই যদি রমজানের বেলা ফুরিয়ে যায় হেলায়-খেলায়, তাহলে এ জীবন ব্যর্থ।

মহানবীর ধিক্কার : মাহে রমজান গোনাহ মাফ এবং মাগফিরাত লাভের মধ্য দিয়ে চিরশান্তি ও চিরমুক্তির একটি সুবর্ণ সুযোগ এনে দেয়। কিন্তু যে ব্যক্তি এ সুযোগ কাজে না লাগায়, তার ধ্বংস অনিবার্য; তার বিপদ অবশ্যম্ভাবী। যে ব্যক্তি রমজান পেয়েও নিজের পাপ মোচন করাতে পারল না, মহানবী (সা.) তাকে ধিক্কার দিয়ে বলেছেন, ‘ওই ব্যক্তির নাক ধুলায় ধূসরিত হোক, যার কাছে রমজান মাস এসে চলে গেল, অথচ তার পাপগুলো ক্ষমা করা হয়নি।’ (আদাবুল মুফরাদ : ৫০২)। নবীজি (সা.) যার জন্য ধ্বংসের দোয়া করেছেন, তার ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। তাই আমাদের সতর্ক হওয়া জরুরি।

আল্লাহভীতির মূলকথা : রমজান শেষ হওয়ার আগেই ভেবে দেখা দরকার, আত্মশুদ্ধি অর্জনে আমরা নিজেদের কতটুকু পরিপূর্ণ করতে পেরেছি। আল্লাহতায়ালা রমজান মাসে সিয়াম সাধনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছেন, ‘হে মোমিনরা! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর। যেন তোমরা তাকওয়া (আল্লাহভীতি) অর্জন করতে পার।’ (সুরা বাকারা : ১৮৩)। আর আল্লাহভীতির মূলকথা হলো, গোনাহ ও পাপ থেকে বেঁচে থাকা। এ জন্যই রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও তদানুযায়ী আমল করা বর্জন করেনি, তার এই পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই।’ (বোখারি : ১৯০৩)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত