শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাসে পরিণত করবে ‘লেটস রিড’

শিক্ষার্থীদের মধ্যে ইন্টারনেটের আসক্তি কমিয়ে, ইন্টারনেটের নিরাপদ ও উৎপাদনশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল লার্নিং অ্যাপ্লিকেশন ‘লেটস রিড’। এ অ্যাপে শিক্ষার্থীদের জন্য শ্রেণি বা গ্রেড অনুযায়ী থিমভিত্তিক বই রয়েছে, যা ই-বুক হিসেবে বিনামূল্যে পড়া যাবে। এ প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা ও বরিশালে সরাসরি কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। যাতে শিশুদের মধ্যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার প্রচার করা হচ্ছে ও তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ও ব্লেন্ডেড শিক্ষার প্রচার বৃদ্ধি করেছে। এরই মধ্যে এ অ্যাপ্লিকেশনে ২৫০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ও ২৫০০ জন অভিভাবক সরাসরি অ্যাক্সেস তৈরি করেছে। এ অঞ্চলগুলোতে স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের অপেক্ষাকৃত ভালো অ্যাক্সেস থাকায়, এখানেই প্রকল্পটি পরিচালনা করা হয়। এ ৫টি জেলার মোট ২৫০ জন তরুণ স্বেচ্ছাসেবক সরাসরি ২৫টি স্কুলে কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য কাজ করেছে। কার্যক্রমটি একটি নিরাপদ অনলাইন পরিবেশ তৈরি করেছে ও গল্পের ছলে শিক্ষার্থীদের গ্রেডভিত্তিক পড়ার দক্ষতা উন্নত করেছে। স্বেচ্ছাসেবকরা নির্বাচিত স্কুলগুলোতে ভ্রমণ করে এবং ইন্টারনেট সুরক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ও উৎপাদনশীল স্ক্রিন টাইম প্রচার করতে বিভিন্ন সেশনে শিক্ষার্থীদের লেটস রিড অ্যাপ্লিকেশন থেকে প্রশিক্ষণ দেয়। তরুণ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা লিফলেটসহ তাদের বাবা-মায়ের ফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করার জন্য শিক্ষার্থীদের গাইড করেন।

দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ বলেন, একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশের জন্য কৌতূহলী ও শিক্ষিত পাঠক তৈরি করতে, শিশুদের মানসম্পন্ন বইয়ের অ্যাক্সেস থাকতে হবে। দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন, জাগো ফাউন্ডেশনের সঙ্গে অংশীদারিত্বে বাবা-মা, শিক্ষক ও সম্প্রদায়ের লোকেদের কাছে লেটস রিড উদ্যোগটি চালু করেছে, যেখানে শিশুদের বিনামূল্যে বই অন্বেষণ করার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।

জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, করভী রাকসান্দ বলেন, আমাদের শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার ও উৎপাদনশীল স্ক্রিনটাইম সম্পর্কে সচেতন করার সুযোগ করে দেয়ার জন্য লেটস রিড টুগেদার একটি উদ্যোগ। তারা গল্প, রঙিন ছবি, আকর্ষণীয় চরিত্র ও তাদের জীবনের সঙ্গে সম্পর্কিত থিম দিয়ে ভরা বিভিন্ন ধরনের ই-বুক খুঁজে পেতে পারে এ অ্যাপে।