যেসব খাবারে দুধের চেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিত্যজীবন প্রতিবেদক

দুধে যাদের সমস্যা তারা বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন বিভিন্ন ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। প্রতিদিন যে খনিজ উপাদানগুলো শরীরের জন্য জরুরি, ক্যালসিয়াম তাদের মধ্যে অন্যতম। শরীরের হাড় সবল রাখতে ক্যালসিয়াম আবশ্যক। আবার ভিটামিন ডি শরীরে শোষণ করতে হলে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম থাকা জরুরি। আর শরীর নিজে এ খনিজ উপাদান তৈরি করতে পারে না। তাই ভোজ্য উৎস থেকে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে এমন খাবারে সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে সাধারণ মানুষের কাছে সবচাইতে পরিচিত উৎস হলো দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার।

‘ইটদিস ডটকম’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়, আট আউন্সের এক গ্লাস ১ শতাংশ দুধ থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৩০৫ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম। আর একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন চাই ১০০০ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম। তবে গরুর দুধের চাইতেও আরও কিছু খাবার থেকে মিলবে ক্যালসিয়াম।

পালংশাক : এক কাপ পরিমাণ রান্না করা পালংশাক থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ২৫০ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম। এর সঙ্গে আরও এক কাপের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ যোগ করে যদি পুরোটা খাওয়া হয় তবে যতটুকু ক্যালসিয়াম পাবেন তার মাত্রা হবে এক গ্লাস দুধের চাইতে বেশি।

আমন্ড মিল্ক : আমন্ড বা কাঠবাদামে ভালো পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। প্রতি আউন্স কাঠবাদামে প্রায় ৭৫ আউন্স। অপরদিকে এক কাপ ‘ফোর্টিফায়েড আমন্ড মিল্ক’-এর থেকে ভালো ক্যালসিয়ামের উৎস হিসেবে আট আউন্সের এক গ্লাস ‘আমন্ড মিল্ক’ দিতে পারে ৪৫০ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম।

কমলার রস : এক কাপ ‘ফোর্টিফায়েড’ বা আলাদাভাবে খনিজ উপাদান মিশ্রণ করা কমলার রসে পাওয়া যেতে পারে ৩৫০ মি.লি. গ্রাম ক্যালসিয়াম। দৈনিক চাহিদার ২৫ শতাংশই পূরণ হয়ে যাবে এখান থেকেই। আবার এই পানীয় থেকেই পেয়ে যেতে পারেন দৈনিক ভিটামিন সি’র চাহিদার পুরোটুকু।