ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নিয়মিত কিছু কাজে থাকবেন ভালো

নিয়মিত কিছু কাজে থাকবেন ভালো

লকডাউনের ফলে সব বাড়িতেই বেড়েছে খাওয়া দাওয়ার ধুম। যারা নিয়মিত সুগারের ওষুধ খান অনেকে যেমন ঠিকমতো ওষুধ খাননি তেমন পরীক্ষাও করে দেখেননি। ফলে সমস্যা বেড়েছে। এ ছাড়া লকডাউনে মানসিক চাপ, অনিয়ম থেকেও অনেকের শরীরে বাসা বেঁধেছে ডায়াবিটিস।

সুগার বাড়লে শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে। থেকে থেকে ঘুম পায়। এছাড়াও কমে যায় পরিশ্রম ক্ষমতা। এমনকি পর্যাপ্ত ঘুমোলেও মেটে না ঘুমের চাহিদা। ফলে তারা যেখানে, সেখানে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে এ বিষয়টি অবহেলা করবেন না। পরিশ্রম করলে সবারই ক্লান্তি আসে। ঘুম পায়। কিন্তু সুগার বাড়লে এ ঘুম পাওয়া হলো অন্যতম লক্ষণ। সবসময় মনে হবে ঘুম কম হচ্ছে। ভারতের মতো দেশে, ডায়াবেটিস হল সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা রোগগুলোর মধ্যে একটি। সুতরাং এ রোগ প্রতিরোধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। আর সেই সঙ্গে এ রোগে আক্রান্ত রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজন শৃঙ্খলা। স্বাস্থ্যের দিকে একটু যত্ন বা খেয়াল রাখতে হবে। রোজ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে।

খাওয়া-দাওয়ায় যত্ন নিন : বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত রোগীদের কম বা বেশি, ভাজাভুজি খাওয়ার দরজা প্রায় বন্ধ বললেই চলে। এমনকি চিকিৎসক ও ডায়াটেশিয়ানরাও, রান্নার সময়ে কয়েক ফোঁটার বেশি তেল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। যাদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তারা কোনোভাবেই বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না। প্রতি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টায় কিছু অন্তত মুখে দিন। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে। আচমকা বেড়ে বা কমে যায় না।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন : ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত শরীরচর্চা করা জরুরি। কারণ, ওজন বেড়ে গেলে নানা রকমের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। এর ফলে আপনার ব্লাড সুগার লেভেল সঠিক জায়গায় থাকবে। রোজ নিয়ম করে হাঁটতেও পারেন।

নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলেস্টেরল : ডায়াবিটিস শরীরে কোলেস্টেরল বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাক এবং হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা বাড়তে পারে। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের বিশেষ করে কোলেস্টেরলের মাথার দিকেও নজর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড বা অতিরিক্ত ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।

নিয়মিত সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করুন : ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য এটা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। নিয়মিত ব্লাড সুগারের মাত্রা পরীক্ষা করাতে হবে। তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া দরকার। ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন। নিজে ডাক্তারি করে ওষুধ না খাওায়াই শ্রেয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত