কিছু মানুষের জন্য কিছু পানীয় পান ঠিক নয়

প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিত্যজীবন প্রতিবেদক

ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এ রোগ প্রথমদিকে তেমন গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ না করলেও পরবর্তী সময়ে এর থেকে লিভার সিরোসিস এমনকি লিভার ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই ফ্যাটি লিভার নিয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।

লিভার শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এটি বিপাকের কাজ করে। এছাড়া হজমেও সাহায্য করে। এ অঙ্গে চর্বি জমলে সেখানে প্রদাহের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তখনই সিরোসিস অব লিভারের ঝুঁকি বাড়ে। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলেন, ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগলে কিছু খাবার ও পানীয় আছে যা এড়িয়ে যেতে হবে। আসুন তা জেনে নেই।

কফি : কফি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে এর মধ্যে থাকা ক্যাফেইন মানুষকে জাগিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তবে এই পানীয় বেশি পরিমাণে খেলেই শরীরের ক্ষতি হবে। তাই আপনি দিনে ৩ থেকে ৪ কাপের বেশি কফি পান করবেন না।

মদ : অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের অন্যতম কারণ মদ্যপান। এর থেকে সিরোসিস হওয়ার ঝুঁকি বেশি। ফ্যাটি লিভারের রোগীদের উচিত মদ্যপান থেকে বিরত থাকা।

কোমল পানীয় : কোমল পানীয়ের চল এখন সবখানেই। এ ধরনের পানীয়ে সোডা মেশানো থাকে। পাশাপাশি থাকে হাই ফ্রুকটোজ কর্ন সিরাপ। এগুলো শরীরের জন্য খুবই খারাপ। তাই এ পানীয় নিয়মিত খেলে শরীরে জটিলতা তৈরি হতে পারে।

ফ্রুট জুস : বিশেষজ্ঞের মতে, প্যাকেটজাত বিভিন্ন ধরনের ফ্রুট জুস বা ফলের রসে কৃত্রিম মিষ্টি মেশানো থাকে। তাই এ পানীয় ফ্যাটি লিভারের রোগীদের পান করা উচিত নয়। কোমল পানীয়ে থাকা উপাদানগুলো লিভারে চর্বি জমতে আরও সাহায্য করে।

স্পোর্টস ড্রিংকস : চাঙা থাকতে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস বা অ্যানার্জি ড্রিংকস পান করেন। এ পানীয়তেও বিভিন্ন পদার্থ মেশানো। যা লিভারেরও ক্ষতি করে। তাই এ ধরনের কোনো ড্রিংকস পান করার আগে আপনাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।