রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজার এখন সবার ঘরে ঘরেই। প্রয়োজনীয় এ ইলেকট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার ও পরিষ্কারের সঠিক উপায় অনেকেরই জানা নেই। আর নিয়ম মেনে ফ্রিজ পরিষ্কার ও ব্যবহার না করার কারণে কিছুদিনের মধ্যেই নানা সমস্যা দেখা দেয় ফ্রিজে। তাই জেনে নিন ফ্রিজ ব্যবহার ও পরিষ্কারের সঠিক নিয়ম সম্পর্কে।
ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম :
রেফ্রিজারেটর তাপের যে কোনো উৎস থেকে দূরে ও ভালো বায়ু চলাচলযুক্ত স্থানে স্থাপন করতে হবে।
ঘন ঘন রেফ্রিজারেটরের দরজা বেশিক্ষণ খোলা রাখা যাবে না।
একই ধরনের খাবার একসঙ্গে সংরক্ষণ করতে হবে।
দূষণ রোধে রেফ্রিজারেটরে রান্না করা খাবার উপরে রাখতে হবে ও কাঁচা খাবার নিচে রাখতে হবে।
ফ্রিজ কেনার আগে যে বিষয় জানা জরুরি :
দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার কাঁচা খাবারের নিচে গন্ধযুক্ত খাবারের নিচে রাখা যাবে না।
যে খাবারগুলো দীর্ঘসময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হবে তা ফ্রিজারে সংরক্ষণ করতে হবে।
সব সময় রেফ্রিজারেটর ও ফ্রিজারের খাবার ঢেকে রাখতে হবে যাতে এর গুণাগুণ নষ্ট না হয়।
দূষণ এড়াতে কাঁচা মাছ ও মাংস ফুডগ্রেড প্লাস্টিকের ব্যাগে বায়ুরোধী অবস্থায় সংরক্ষণ করতে হবে।
সংরক্ষণ করার সময় রান্না করা মাংস ফুডগ্রেড পাত্রে শক্তভাবে আবদ্ধ রাখতে হবে।
বিদ্যুৎ বিল কমাতে ফ্রিজ ব্যবহারের নিয়ম :
গরম খাবার দ্রুত ঠান্ডা করতে রেফ্রিজারেটরে রাখা যাবে না।
রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজারে রাখার আগে গরম খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় আনতে হবে।
রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজারে রাখা আগের খাবারগুলো বের করে নিতে হবে ফিফো নিয়ম মেনে (আগে প্রবেশ, আগে বাহির)।
রেফ্রিজারেটরে অতিরিক্ত খাবার একবারে একসঙ্গে রাখা যাবে না।
ফ্রিজ পরিষ্কারের সঠিক উপায়
প্রতি দুই সপ্তাহ অন্তর রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজার পরিষ্কার করতে হবে।
রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজার থেকে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত তরল যাতে চুঁইয়ে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজারের ভেতর থেকে নষ্ট হওয়া খাবার সঙ্গে সঙ্গে ফেলে দিতে হবে ও দ্রুত ফ্রিজ পরিষ্কার করতে হবে।
ফ্রিজ কতদিন পরপর পরিষ্কার করা উচিত?
রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজারের ভেতরের অংশ পরিষ্কার করতে হালকা গরম পানিতে নরম কাপড় ভিজিয়ে নিন।
প্রয়োজনীয় অনুমোদিত জীবাণুনাশক ব্যবহার করা যেতে হবে।
রেফ্রিজারেটরে বা ফ্রিজারের রেগুলেরটি কাজ করছে কি-না তা নিয়মিত নিশ্চিত হতে হবে।