রান্নাঘরটা একটু গোছানো হোক, থাকুক পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন- এমনটি কে না চায়! সৌন্দর্যবর্ধনে ঘরের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট রাখেন। চাইলে রান্নাঘর পরিবেশবান্ধব করতে গাছ রাখতে পারেন। এটি রান্নাঘরের সৌন্দর্যও বাড়াবে আবার স্বাস্থ্যেরও উপকার করবে। ক্ষতিকর গ্যাস গ্রহণ করে গাছ ছাড়বে অক্সিজেন। ঘরের বাতাসে নানা রকম বিষাক্ত জৈব যৌগ ও গ্যাস থাকে। যেগুলো গাছ শুষে নিতে পারে। রান্না যেমন একটা শিল্প, তেমনই রান্নাঘরটি হতে পারে শৈল্পিক ও পরিবেশবান্ধব। ‘ইংলিশ আইভি’ গাছ রান্নাঘরের দেওয়াল ও বেসিনের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা যায়। এ গাছ বাতাসে ভেসে থাকা দূষিত যৌগ গ্রহণ করে। অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীও একটি পরিচিত ও স্বাস্থ্যকর গাছ। কোথাও কেটে গেলে একটু অ্যালোভেরা লাগালেই সেরে যায়। অসংখ্য গুণে গুণান্বিত এ গাছ। এতে আছে ভিটামিন এ, বি, সি, ই’সহ কত কি। রান্নাঘরে রাখতে পারেন অ্যালোভেরা। এটি বড় করতে ও বাঁচিয়ে রাখতে তেমন যত্ন করতে হয় না। পরিবেশ যাই হোক, মানিয়ে নেয় এ গাছ। খাপ খাওয়াতে পারে সব পরিবেশে। এমনই একটি গাছ স্পাইডার প্ল্যান্ট। রান্নাঘরে পছন্দমতো জায়গায় রাখতে পারেন এটি। ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে মানিপ্ল্যান্ট খুব জনপ্রিয়। এই গাছ যেমন মাটিতে হয় হয়, ঠিক তেমনই শুধু পানিতেও বেড়ে উঠে।
লতাজাতীয় এ গাছ সুন্দর করে সাজানো যায়। ম্যানিপ্ল্যান্ট খুব সহজলভ্য। দামও বেশি নয়। রান্নাঘরে রাখা যায় এমনই একটি গাছ লাকি ব্যাম্বু। ফার্নজাতীয় এ গাছ বড় হয় কম যত্নেই। যেমন বোস্টন ফার্ন।