২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর মননশীল ও সৃজনশীল দুটি বিভাগে দু’জন লেখককে ‘সাহিত্য পুরস্কার’ প্রদান করে আসছে আইএফআইসি ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় পুরস্কারের ১২তম বছরের আয়োজন সম্পন্ন হলো ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানী ঢাকার পল্টনের আইএফআইসি টাওয়ারে। ২০২০ সালের জন্য সৃজনশীল বিভাগে ‘দুধ’ শিরোনামের বইয়ের জন্য সাংবাদিক ও লেখক মশিউল আলম ও ২০২১ সালের জন্য মননশীল বিভাগে ‘নজরুল সংগীত : বাণীর বৈভব’ শিরোনামের বইয়ের জন্য কবি ও গবেষক আমিনুল ইসলাম ও সৃজনশীল বিভাগে ‘উজানবাঁশি’ শিরোনামের উপন্যাসের জন্য সাহিত্যিক স্বকৃত নোমান আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার পেলেন। নির্বাচিত প্রত্যেক সেরা লেখককে উত্তরীয়, পুরস্কারের অর্থ ৫ লক্ষ টাকা, ক্রেস্ট ও শংসাপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ। সম্মানিত অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, আইএফআইসি ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক, ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ এ সারওয়ার।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ২০১৮ ও ২০১৯ সালের আনুষ্ঠানিক আয়োজন সম্ভব হয়নি বলে ওই অনুষ্ঠানে আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার ২০১৮ ও ২০১৯-এর নির্বাচিত বইয়ের লেখকদের হাতেও আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ‘আইএফআইসি সংস্কৃতিরত্ন সম্মাননা ২০২০’-এ ভূষিত বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারকে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মাননা প্রদান করা হয়। ২০১৮ সালে মননশীল বিভাগে ‘বিদ্রোহী রণক্লান্ত : নজরুল জীবনী’ বইয়ের জন্য লেখক ও গবেষক গোলাম মুরশিদ এবং সৃজনশীল বিভাগে ‘মায়ানগর’ বইয়ের জন্য লেখক ও সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন এবং ২০১৯ সালে মননশীল বিভাগে ‘ভাষা আন্দোলন : টেকনাফ টু তেঁতুলিয়া’ বইয়ের জন্য কবি, প্রবন্ধকার ও গবেষক আহমদ রফিক এবং সৃজনশীল বিভাগে ‘আগস্ট আবছায়া’ বইয়ের জন্য কবি, লেখক-সাহিত্যিক মাসরুর আরেফিনকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
