ঢাকা ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেসিসের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বেসিসের সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ

বাংলাদেশের বৃহত্তম ইন্টারনেটভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেড বন্ধের গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। মেট্রোনেটের সেবা বন্ধ হলে হুমকির মুখে পড়তে পারে সারাদেশের ইন্টারনেট সেবা। মেট্রোনেটের মাত্র ২ শতাংশ মালিক ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সাবেক সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের বিরুদ্ধে নিয়মনীতি ভঙ্গ করে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। ফলে দেশের জরুরি তথ্যসেবা ৯৯৯, সব ব্যাংক, মোবাইল ফিন্যান্স সার্ভিস বিকাশ, নগদ, চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুসন্ধান সেবা, ই-পাসপোর্টসহ রাষ্ট্রীয় ও বেসরকারি বহু প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেটভিত্তিক সেবা বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন মেট্রোনেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কো¤পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফেরদৌস আজম খান, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুবুল আলম, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট রাহাত খান প্রমুখ। মেট্রোনেটের শেয়ারের হোল্ডার প্রতিষ্ঠান রহিম আফরোজ ও সৈয়দ আলমাস কবির যোগসাজশে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে মেট্রোনেট থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা এবং ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে প্রায় ৮ কোটি টাকা শেয়ার ক্রয়ের নামে সরিয়ে নিয়েছে। অবৈধভাবে কো¤পানির ব্যাংক একাউন্ট থেকে মোট প্রায় ১১ কোটি টাকা তুলে নেওয়াতে শিগগির তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মোস্তাফা রফিকুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বরের পর হতে বর্তমান বোর্ড কোম্পানির দৈনন্দিন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় সৈয়দ আলমাস কবির ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৮ ডিসেম্বর হতে বিভিন্ন ব্যাংকে লেনদেন বন্ধের জন্য বেআইনিভাবে চিঠি প্রদান করে চলেছেন। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যাংকসহ গ্রাহকদের বিল পরিশোধ না করার জন্য চিঠি প্রদান করেন। কো¤পানি বিরোধী কার্যকলাপের কারণে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও পদধারী সৈয়দ আলমাস করিবকে প্রথমে সিইও পদ হতে অ্যাডভাইজার পদে এবং পরবর্তীতে তার এ কোম্পানির বিপক্ষে অসাধু কার্যকলাপ এবং ধারাবাহিকভাবে ৩টির অধিক বোর্ড মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে তাকে পরিচালক এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক উভয় পদ হতে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি বলেন, রহিম আফরোজ গ্রুপ ২০১৯ সালে তাদের স¤পূর্ণ শেয়ার বিক্রি করে মেট্রোনেট থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তাদের সঙ্গে ফ্লোরা টেলিকম, ফেরদৌস আজম খানও শেয়ার বিক্রি করে বেড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। শেয়ার বিক্রির জন্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহক না পাওয়ায় মেট্রোনেটে অপারেশনে থাকা কর্মকর্তাদের শেয়ার ক্রয়ের প্রস্তাব করে। কিন্তু আলমাস কবির একাই মালিক হওয়ার উদ্দেশ্যে বাকি তিন কর্মকর্তার সঙ্গে প্রতারণা করে রহিম আফরোজ গ্রুপ, ফ্লোরা টেলিকম এবং মেট্রোনেটের প্রতিষ্ঠাতা ফেরদৌস আজম খানের স¤পূর্ণ শেয়ার নিজ নামে ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের জুন মাসে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে শেয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (এসপিএ) স্বাক্ষর করেন। কো¤পানির প্রায় ৯৮ শতাংশ শেয়ারের মালিক হওয়ার কুণ্ডচক্রান্ত করেন। উল্লেখ্য, এর আগে আইএল কর্প লিমিটেড নামক একটি কাগুজে কো¤পানি দিয়ে মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডকে গ্যারান্টর করে মেঘনা ব্যাংক থেকে শতকোটি টাকার ঋণ নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায় সৈয়দ আলমাস কবির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত