ঢাকা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গাছের যত্নে করণীয়

গাছের যত্নে করণীয়

গাছেরর যত্নের জন্য বাড়িতেই গাছের সার তৈরি করতে পারেন। এক গ্যালন পানিতে ২ টেবলচামচ এপসম সল্ট মিশিয়ে গাছের গোড়ায় দিতে পারেন। মাসে একবার এটা করতে পারেন। এতে গাছের পাতা সতেজ হবে, ফুলের সংখ্যাও বাড়বে। সার তৈরির জন্য ব্যবহার করা চা-পাতা, ডিমের খোলা জমিয়ে রাখুন। ডিমের খোলা গুড়ো করে চা-পাতার সঙ্গে মিশিয়ে এক থেকে দুই সপ্তাহ এই মিশ্রণ রোদে রাখুন। এগুলো গোলাপ ও অন্যান্য ফুল গাছের সার হিসেবে কাজে দিবে।

গাছে পোকামাকড়ের সমস্যা লেগেই থাকে। এক গ্যালন পানিতে অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট গুড়ো করে মিশিয়ে নিন। তারপর স্রে করার বোতলে এই মিশ্রণ ভরে রাখুন। মাঝে-মধ্যে এ মিশ্রণ গাছের পাতায় স্রে করুন। অ্যাসপিরিনের স্যালিসিলিক অ্যাসিড গাছের ইমিউনিটি বাড়াতে সহায়তা করে।

গাছের শুকনো ডাল নির্দিষ্ট সময় অন্তর ছেঁটে ফেলুন। বিশেষ করে গোলাপ গাছের শুকনো ডাল। ছোট গাছের ডাল ও পাতা কাটার জন্য বিশেষ ধরণের কাঁচি পাওয়া যায় বাজারে, সেগুলো ব্যবহার করুন। নতুন চারাগাছ বেড়ে ওঠার জন্য পানির প্রয়োজন হয় বেশি। তাই একসঙ্গে পানি না দিয়ে ক্ষানিক পর পর পানি দিন। তবে বড় গাছের গোড়ায় বেশি পরিমাণ পানি দিতে পারেন। এক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় ময়শ্চার প্রবেশ করটা জরুরি।

টবে লাগানো গাছে কতটা পানি দরকার, এটা বুঝতে অনেক সময় অসুবিধা হয়। বেশি পানি দিলে গোড়া পঁচে যেতে পারে। তাই লম্বা সূচ টবের মাটিতে ঢুকিয়ে দেখুন। ভিজে মাটি সূচের গায়ে গেলে থাকলে বুঝবেন আর পানি দিতে হবে না।

বেশি পানি দিলে যেমন গাছের ক্ষতি হয়, আবার কম পানির জন্যও গাছের সজীবতা নষ্ট হয়। সে ক্ষেত্রে গাছের পাতার সামনের দিকটা প্রথমে হলুদ, পওে শকুনো হয়ে ঝরে যায়। এমন অবস্থায় গাছের টবের অংশটি পানিতে ডুবিয়ে রাখুন এবং কয়েকদিন গাছে ঘন ঘন পানি দিন। মূলত, সকালে বা বিকেলে যখন রোদেও তেজ কম থাকে, তখন গাছে পানি দেয়ার আদর্শ সময়।

বারান্দার টবে বেশ কয়েকটি গাছ রয়েছে। এসব রেখে দুই সপ্তাহের জন্য বেড়াতে যাচ্ছেন কোথাও। সে ক্ষেত্রে যেদিন বের হবেন, সেদিন গাছে পানি দিবেন। তারপর বড় পলিথিন ব্যাগের মধ্যে গাছ রেখে গোড়ার কাছে হালকা করে বেঁধে দিন। সরাসরি রোদ আসে, এমন জায়গায় গাছ রাখবেন না। পলিথিন ব্যাগ গাছের গোড়ায় ময়শ্চার বজায় রাখবে।

গরমে গাছে ফুল বা পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়। সেজন্য ঠান্ডা ও আলো কম পোঁছায় এমন জায়গায় গাছটি রাখুন। যেসব গাছ পানিতে থাকে, সেসব গাছ রাখার জন্য বাড়িতেই কন্টেনার তৈরি করে নিতে পারেন। পুরোনো ট্যালকম পাউডারের টিন, প্লাস্টিক ডিটারজেন্টের কন্টেনার পছন্দমতো রঙ করে সাজিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। পুরোনো টিপট বা সুগার জগের হ্যান্ডেল ভেঙে গেলে তা পরিষ্কার করে উজ্জ্বল রঙ করে নিতে পারেন। বাথরুম বা কিচেন রুমে একটু সবুজের জন্য এসব কন্টেনারে গাছ লাগাতে পারেন।

যে ধররের গাছের গোড়া পানিতে তৈরি হয়, সেসব গাছ কাচের জারে পানিতে রাখুন। গাছের মূল ক্রমেই বাড়তে থাকলে পানি ফেলে ধীরে ধীরে মাটি ভর্তি করুন। অনেক গাছের ডাল বা পাতা থেকে চারা জন্মায়। সেসব গাছের ডাল বা পাতা ছেঁটে ফেলারপর তা একটু ছড়ানো টবে মাটি ভর্তি করে সেখানে পুতে রাখতে পারেন। এখান থেকে নতুন চারা হলে তা অন্য টবে লাগাতে পারেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত