ভালো লাগার খোলা বারান্দা

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিত্যজীবন প্রতিবেদক

অনেকেই নগর জীবনে ছোট্ট একটি ফ্ল্যাট খোঁজেন। সেই ফ্ল্যাটের সঙ্গে বারান্দা থাকুক বা নাই থাকুক তার দিকে অনেকে খেয়ালও করেন না। কেউ কেউ প্রয়োজনও বোধ করেন না। অথচ ছোট্ট একটি বারান্দা জীবনের জন্য কতই না প্রয়োজন। বারান্দা দিয়ে নিয়মিত আলো-বাতাস যাতায়াতের পাশাপাশি অনেক স্বপ্নেরাও উঁকি দেয়, যা বেঁচে থাকার তাগিদ দিতে পারে।

অন্যদিকে সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যখন ঘরে ফিরে একটু মুক্ত বাতাসের খোঁজে বারান্দায় দাঁড়ান বা বসেন, তখন শরীর-মন দুটোই জুড়িয়ে যায়। আবার কখনও কখনও বারান্দায় বসে চা-কফি কিংবা সকাল-বিকেলের হালকা নাশতা খেতে যে আনন্দ পাওয়া যায়, তা বারান্দা ছাড়া ঘরে বা রেস্টুরেন্ট বসে পাওয়া সম্ভব নয়। এছাড়া বারান্দায় বসে চায়ের কাপে চুমক দিয়ে ছেলেবেলার স্মৃতি, ক্যাম্পাসের স্মৃতি কিংবা প্রিয়জনের স্মৃতি খুঁজে ফেরা যায়, তা অন্যত্র বসেও হয়তো হয় না।

সব মিলিয়ে বারান্দা শুধু ঘরেরই একটি বাড়তি অংশ নয়, বরং বারান্দা একটি জীবনেরই অংশ। আর এ বারান্দায় বসেই প্রিয় লেখকের বই পড়া বা প্রিয় শিল্পীর গান শোনার যে আনন্দ, তা-ও তো আর কোথাও যাওয়া যাবে না। আর সে জন্যই বারান্দাকে যেমন- তেমন ফেলে রাখলে চলবে না। যেহেতু বারান্দা জীবনেরই একটি গল্পের অংশ, সুতরাং বারান্দার সাজসজ্জাটাও হোক একটু গোছালো, একটু অন্যরকম।

প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে, বারান্দাকে সাজাতে গিয়ে বারন্দার খোলামেলা পরিবেশটা যেনো নষ্ট না হয়ে যায়। চাইলে একটু চেষ্টা বা একটু খরচ করে নিজের ছোট্ট বারান্দাটাকেও বানাতে পারেন আর্টিফিশিয়াল ঘাসের গালিচা। বারান্দায় বসার জন্য রাখতে পারেন বেতের বা হালকা চেয়ার। সঙ্গে মানানসই টেবিল। বারন্দায় বিভিন্ন ফুলগাছের টব রাখতে পারেন। অর্কিড বা লতাজাতীয় ফুলগাছ বারন্দার গ্রিলে বা দেওয়ালে ঝুলিয়েও রাখতে পারেন। মোটামুটি যতটা পারা যায়, খোলামেলা পরিবেশ বজায় রেখে প্রকৃতির আদলে সাজিতে নিতে পারেন নিজের প্রিয় বারান্দাটিকে, যেখানে বসে আপনি কাটাতে পারবেন জীবনের কিছু প্রিয় মুহূর্ত।