বাড়িতে ধ্যানের পরিবেশ

প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিত্যজীবন প্রতিবেদক

সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের মধ্যেও সবসময়ই এক ধরনের অনিশ্চয়তা ও সংশয় এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। মানসিক চাপ ও উদ্বেগও এসব কারণে উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং কাজের প্রতি মনোসংযোগ বাড়াতে নিয়মিত ধ্যান করার পরামর্শ দিচ্ছেন মনোবিদরা। ধ্যান করার সময়ে যদি ঠিকমতো মন দিতে না পারেন, তা হলে তো মুশকিল। তাই বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ধ্যান করার উপযুক্ত পরিবেশ।

প্রথমেই ধ্যান করার জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা দরকার। বাড়ির যে জায়গায় সবচেয়ে কম কোলাহল হয় ও বাইরের শব্দ তেমন পৌঁছায় না, সে রকম একটি জায়গা আগে বেছে নিন। এর আশপাশে টিভি বা কাজের জিনিসপত্র না থাকলেই ভালো। জায়গা বেশি হলে এ রকম পুরো একটি ঘরই বাছতে পারেন। না হলে ঘরের এরকম একটি কোণ বেছে নিন।

ধ্যান করার জায়গাটি যদি অপরিচ্ছন্ন কিংবা প্রচুর আসবাবে ঠাঁসা হয়, তা হলে কিন্তু মন বসাতে সমস্যা হবে। নিয়মিত জায়গাটি পরিষ্কার করুন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস ও অতিরিক্ত আসবাব রাখবেন না। একটি সরু ডিভান রাখতে পারেন ঘরের মেঝেতে। আর দেওয়ালের তাকে কিছু ছোট গাছ ও বই রাখা যেতে পারে। জায়গাটি যত বেশি খোলামেলা হবে, তত বেশি মানসিক শান্তি পাবেন।

অনেকেই ঘরে ডিভান বা ওই জাতীয় কিছু রাখেন না। এ রকম হলে মেঝেতে একটি কার্পেট ও কয়েকটি ছোট কুশন রাখতে পারেন। কার্পেটটিতে বসে অনায়াসে শ্বাসের কিছু ব্যায়াম করা যেতে পারে। ব্যায়াম বা ধ্যান হয়ে গেলে কার্পেটটি গুটিয়ে রাখতে চাইলে গুটিয়েও রাখতে পারেন।

ধ্যান করার সময় উপযুক্ত পারিপার্শ্বিকতা তৈরি করাও কিন্তু বড় ব্যাপার। আশপাশে কী দেখছেন বা কী ধরনের শব্দণ্ডগন্ধ আসছে সেটার ওপরও নির্ভর করে ধ্যানের প্রতি মনোসংযোগ কতখানি গভীর হবে। ছোট ছোট টবে গাছ রাখতে পারেন আশপাশে, অনেকে জানালাতে ড্রিমক্যাচারও ঝুলিয়ে রাখেন। এছাড়া পূজার সময়ে যে রকম মোমবাতি ও ধূপ জ্বালান, সে রকমও জ্বালাতে পারেন। সে সঙ্গে হাল্কা কোনো ধ্যান করার উপযুক্ত মিউজিক চালাতে পারেন, এতে মনোযোগ বাড়বে। পরিবেশটিও হয়ে উঠবে ধ্যান করার পক্ষে আদর্শ।

কিছু খাবারে বাড়তি উপকারিতা

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় অবস্থা। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনলে তা প্রতিরোধযোগ্য। ডায়েট ও লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। বিশেষ করে শীতে ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়ম মেনে চলা আবশ্যক। যেহেতু ডায়াবেটিস রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে তাই বিভিন্ন সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। ফলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।

মেথি বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। এতে থাকা বিশেষ এক অ্যামিনো অ্যাসিড ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। এতে অ্যান্টি-ডায়াবেটিক গুণ আছে। মেথিকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত উপকারী বলা হয়। তাই অবশ্যই খাদ্যতালিকায় মেথি রাখুন। মেথি ভেজানো পানি ও মেথি চা নিয়মিত খেতে পারেন। একাধিক পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ গাজর। এতে কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে। একই সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট কম থাকায় রক্তে চিনির নিঃসরণ ধীর করে। গাজর নানাভাবে খাওয়া যায়। আমেরিকান ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশন লেবুসহ সব সাইট্রাস ফলকে ডায়াবেটিস সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করেছে। কম গ্লাইসেমিক সূচক থাকে সাইট্রাস ফলে। তাই নিশ্চিন্তে পরিমাণ অনুযায়ী সব ধরনের সাইট্রাস ফল খেতে পারেন।

পেয়ারা ফাইবারসমৃদ্ধ। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে পেয়ারা। এতেও কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে।

বিটরুটের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রেরাগীদের জন্য বিটরুট উপকারী। বিটরুটে থাকে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের মতো ফাইবার ও খনিজ উপাদান।

দারুচিনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করে, এমনই তথ্য মিলেছে গবেষণায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়) কমায়।

হিলিং ফুডস বই অনুসারে, দারুচিনি হজমে সহায়ক, যা রক্তে গ্লুকোজ ও ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরনের চর্বি) উভয়ের মাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

মিষ্টি আলুতেও কম জিআই থাকে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, লবঙ্গ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে। গবেষণায় জানা যায়, লবঙ্গের নির্যাস ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার সকালের চায়ের কাপে লবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে শরীরও গরম থাকবে আবার ডায়াবেটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।