ঢাকা ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গারোদের ওয়ানগালা নৃত্য কর্মশালা

গারোদের ওয়ানগালা নৃত্য কর্মশালা

গারোদের বৃহৎ উৎসব ওয়ানগালা বা নবান্ন উৎসব। ওয়ানগালা মানে হলো সৃষ্টিকর্তার নামে জুম থেকে উৎপাদিত প্রথম ফসল উৎসর্গ করা। এ ওয়ানগালা উৎসবের মাধ্যমে মূলত গারোরা তাদের প্রধান দেবতা তাতারা- রাবুগা-নস্তু-নপান্তু-মিমি-সালজং এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। প্রকৃতি পূজারি গারোরা বিশ্বাস করে তিনিই সময়মতো রোদ বৃষ্টি, ঋতুচক্র নিয়ন্ত্রণ করে প্রকৃতিকে সমৃদ্ধ রাখেন। এ উৎসব তাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতার উৎসব হিসেবেও পরিচিত। এ ওয়ানগালা উৎসবেই গারোরা সর্বাধিক বিভিন্ন ধরনের নৃত্য পরিবেশন করে থাকে। প্রাচীনকাল থেকেই বর্ণিল নৃত্য ছন্দে ওয়ানগালা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন ভাষাভাষির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চার প্রসারের লক্ষ্যে এ ধরনের নানা অনুষ্ঠান ও কর্মশালা আয়োজনের মাধ্যমে পৃষ্ঠপোষকতা করে থাকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সে লক্ষ্যে শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে প্রশিক্ষণ বিভাগের ব্যবস্থাপনায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায় গারোদের ওয়ানগালা নৃত্য কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২৩ মার্চ চার দিনব্যাপী এ কর্মশালার সমাপনী দিনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে। শুরুতেই গারো সম্প্রদায়ের চারুশিল্পীদের ৫০টি চিত্রকর্ম নিয়ে প্রদর্শিত হয় একটি ভিডিও ডকুমেন্টেশন।

পরে গারো সম্প্রদায়ের দেশাত্মবোধক গান এসো সবাই, নারী পুরুষ নির্বিশেষে যত ভেদাভেদ আর গ্লানি ভুলে আমরা এক হই। মান্দি ভাষার গানের সঙ্গে পরিবেশিত হয় নৃত্য। প্রখ্যাত গারো নৃত্যগুরু মালা মার্থা আরেং, নৃত্য প্রশিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি এবং সহযোগী প্রশিক্ষক প্রভাতী রাংসা, নৃত্যশিল্পী, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি এ নৃত্য পরিবেশন করেন। পরে কর্মশালা নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত গারো নৃত্যগুরু মালা মার্থা আরেং, নৃত্য প্রশিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কালচারাল একাডেমি, বিরিশিরি, একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) খন্দকার রেজাউল হাশেম এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত