ঢাকা ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কিছু খাবারে বাড়তি উপকারিতা

কিছু খাবারে বাড়তি উপকারিতা

রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে রোগী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হন। এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী ও অপরিবর্তনীয় অবস্থা। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনলে তা প্রতিরোধযোগ্য। ডায়েট ও লাইফস্টাইলে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। বিশেষ করে ফলে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া জরুরি।

পেয়ারা ফাইবারসমৃদ্ধ। যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে। রক্তে শর্করার বৃদ্ধি রোধ করে পেয়ারা। এতেও কম গ্লাইসেমিক সূচক আছে। বিটরুটের স্বাস্থ্য উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, টাইপ-২ ডায়াবেটিস রেরাগীদের জন্য বিটরুট উপকারী। বিটরুটে থাকে ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন ও ম্যাঙ্গানিজের মতো ফাইবার ও খনিজ উপাদান।

দারুচিনি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে দুর্দান্ত কাজ করে, এমনই তথ্য মিলেছে গবেষণায়। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের অক্সিডেটিভ স্ট্রেস (যা ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়) কমায়।

হিলিং ফুডস বই অনুসারে, দারুচিনি হজমে সহায়ক, যা রক্তে গ্লুকোজ ও ট্রাইগ্লিসারাইড (এক ধরনের চর্বি) উভয়ের মাত্রা স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। ফলে ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। মিষ্টি আলুতেও কম জিআই থাকে। এতে প্রচুর ফাইবার থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণা অনুসারে, লবঙ্গ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও ইনসুলিন উৎপাদনে সহায়তা করে। গবেষণায় জানা যায়, লবঙ্গের নির্যাস ইনসুলিনের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। আপনার সকালের চায়ের কাপে লবঙ্গ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এতে শরীরও গরম থাকবে আবার ডায়াবেটিসও থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত