ঢাকা ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

এসি ব্যবহারে পরিমিতি

এসি ব্যবহারে পরিমিতি

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ গরমে ফ্যানের বাতাসেও প্রশান্তি মিলছে না। তাই বেশিরভাগ মানুষই ঠান্ডা হতে এয়ার কন্ডিশন বা এসি ব্যবহার করছেন। তবে দিনের বেশিরভাগ সময় এসিতে থাকা; কিন্তু শরীরের জন্য ভালো নয়। আর সব সময় এসির মধ্যে থাকলে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা জরুরি। না হলে বড়সড় জটিলতা শরীরে দেখা দিতে পারে। আমাদের শরীরের হিট ম্যাকানিজম বলে একটি প্রক্রিয়া আছে। এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাকৃতিক তাপমাত্রার সঙ্গে শরীর নিজেকে মানিয়ে নেয়।

তবে এসি খুব কম তাপমাত্রায় চালানো থাকলে বাইরের সঙ্গে ঘরের তাপমাত্রার বিরাট পার্থক্য তৈরি হয়। এ কারণে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে।

এ ছাড়া অনেকেই বাইরে থেকে এসে সরাসরি এসিতে প্রবেশ করার ফলে দেহের তাপমাত্রা হুট করেই বদলে যাচ্ছে। এতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। তাই এসির তাপমাত্রা নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার। এসির তাপমাত্রা সঠিক লেভেলে রাখা উচিত। ২২ থেকে ২৮-এর মধ্যে এসির তাপমাত্রা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এ তাপমাত্রার মধ্যে শরীর নিজেকে মানিয়ে নিতে পারে। আবার সর্দি-জ্বর হওয়ার ঝুঁকিও কমে। তাই চেষ্টা করুন এ তাপমাত্রায় যেন এসি থাকে। এ ছাড়া রাতে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে।

অনেকেই এসির তাপমাত্রা রাতের বেলা ১৬ থেকে ১৮ তে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ অভ্যাস কিন্তু বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ ঘুমিয়ে পড়ার পর শরীরের তাপমাত্রা কিন্তু ঠিকমতো নিয়ন্ত্রিত হয় না। তাই ঠান্ডা বেশি হলে সকালে উঠে সমস্যা হতে পারে। রাতেও এসি চালিয়ে রাখার ক্ষেত্রে ২২ থেকে ২৮ এর মধ্যে তাপমাত্রা সেট করুন। সবচেয়ে ভালো হয়, ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে এসি বন্ধ করে দেয়া। আর ঘরে যদি ছোট শিশু থাকে কিংবা সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত কেউ থাকেন, তাহলে এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। যারা একান্তই এসির বাতাস নিতে পারেন না, তারা এর থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। আর অবশ্যই অ্যাজমা ও সিওপিডি রোগীরা সচেতন থাকুন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত