ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কর হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানোর সুপারিশ

কর হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানোর সুপারিশ

সরকারের ব্যয় বাড়াতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন অর্থনীতিবিদরা। তারা বলেছেন, পৃথিবীর গরিব দেশগুলোতেও গড়ে জিডিপির ২৪-২৫ শতাংশ ব্যয় করে সরকার। কাজেই সরকারের ব্যয় বাড়াতে হলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। কর হার না বাড়িয়ে করের পরিধি বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন তারা। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। পিআরআই বলেছে, ২০৩০ সাল নাগাদ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে যাবে বাংলাদেশ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি টার্গেট পূরণ করতে বর্তমান মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) সাথে সরকারকে আরও অতিরিক্ত ৮০০ কোটি থেকে ১ হাজার বিলিয়ন মার্কিন ডলার জোগান দিতে হবে।

গবেষণায় বলা হয়েছে, অষ্টম-পঞ্চম বার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে ২০২২ সালে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৭ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে ২০৩১ সালে প্রবৃদ্ধি বেড়ে দাঁড়াবে ৯ শতাংশে। এই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে সরকারকে প্রতি বছর জিডিপির সঙ্গে আরও অতিরিক্ত ১০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ অর্থের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। কিন্তু এই বিশাল অঙ্কের অর্থ কোন খাত থেকে আসবে, তার কোনো সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নেই সরকারের। ফলে এসডিজি বাস্তবায়ন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা খাতের বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়াতে হবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বড় লোকদের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্বল্প আয়ের মানুষ সঞ্চয়পত্র থেকে খুব একটা সুবিধা পাচ্ছে না। তাছাড়া যত দিন সঞ্চয়পত্রের উচ্চ সুদ হার থাকবে ততদিন দেশের বন্ড মার্কেটের উন্নতি হবে না। এজন্য উচ্চহারে সুদ দিয়ে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সুযোগ রাখা উচিত না বলে অভিমত দিয়েছে এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত