বিএমবিএ ও ডিবিএ নেতারা বলেছেন, দেশের শেয়ারবাজার ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধারণ করে বুঝে শুনে বিনিয়োগ করতে হবে। ভালো কোম্পানি বাছাই করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো উপলক্ষ্যে রাজধানীর পুরানা পল্টনে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান এবং ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, শেয়ারবাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। শেয়ারবাজার এখন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। এই ক্রান্তিকালে ভালো কোম্পানি বাছাই করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তাতে সংকট কেটে গিয়ে যখন বাজার ভালো হবে, তখন বিনিয়োগকারীরা ভালো মুনাফা পাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, আমাদের বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো- তাদের কাছে তথ্য-উপাত্তের ঘাটতি থাকে। অথবা তাদের বোঝাপড়ার ঘাটতি থাকে। অথবা তারা কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিনিয়োগ করে। তখনই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে শেয়ারবাজারে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেয়ারবাজারের নেতিবাচক প্রবণতার ক্ষেত্রে কিছুটা পলিসিগত দিক থেকে সমস্যা আছে বলে আমরা মনে করি। সেই পলিসিগত বিষয়গুলো যতক্ষণ চিহ্নিত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সুশৃঙ্খল বা শক্তিশালী শেয়ারবাজার দেখবো সেই প্রত্যাশা করতে পারি না। এ বিষয়ে পলিসি লেভেলেও কাজ করার আছে। আমার জানা মতে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আন্তরিকভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, বাজার যখন বেশি খারাপ হয়, তখনই ভালো হওয়ার একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়। আপনারা সাক্ষী আছেন ২০২০ সালের প্রথমদিকে বাজারের যে করুন অবস্থা হয়েছিল এবং ফ্লোর প্রাইস দেয়া হয়েছিল, তখন কি কেউ ভাবতে পেরেছিল ২০২০ সালের ক্লোজিং এত ভালো হবে। ২০২০ ও ২০২১ সালে পুঁজিবাজার কিন্তু যথেষ্ঠ ভালো অবস্থানে ছিল। আজকে আমরা যে অবস্থায় আছি, সেটা নিয়ে হতাশ না হয়ে আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে এবং গঠনমূলক চিন্তা করা উচিত।
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও বলেন, শেয়ারবাজারে খুবই ক্রান্তিকাল যাচ্ছে। এ সময়টাতে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। সামনের ভালো একটা দিনের প্রত্যাশায় থাকতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের যে বিনিয়োগ আছে, সে বিষয়ে খুব বেশি পরিমাণে মনোযোগী হতে হবে। যে কোম্পানিগুলো আমরা নির্বাচন করব, সেটি নির্বাচন করতে হবে ভালো কোম্পানি। যদিও এখন বিনিয়োগ আটকে আছে। তারপরও একটু ভালো সময় এলে যাতে আমরা রিকভার করতে পারি। তিনি বলেন, আমাদের শেয়ারবাজারে ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। আপনারা জানেন শেয়ারবাজার খুবই সেনসেটিভ জায়গা। এখানে অনেক কিছু শেখার আছে। এ ধরনের এক্সপোতে বাজারের ভালো-খারাপ, সম্ভাবনা, সামনের দিনগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। ব্রোকারেজ হাউজ থেকে শুরু করে যারা এখানে আসেন, তারা উপকৃত হন।