ডিএসইতে এটিবির যাত্রা শুরু

প্রকাশ : ০৫ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রথমবারের মতো বিকল্প লেনদেন ব্যবস্থা বা অলটারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি) চালু করেছে। গতকাল বুধবার লংকাবাংলা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের শেয়ার ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের গ্রিন বন্ডের লেনদেনের মাধ্যমে ডিএসইতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে। রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারের প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম এটিবির উদ্বোধন করেন। ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান মজুমদার। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লংকাবাংলা সিকিউরিটিজের পরিচালক মাহবুবুল আনম ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী।

এরপর ডিএসইর ডিজিএম শফিকুল ইসলাম ভুইয়া ও লংকাবাংলার সিকিউরিটিজের এমডি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, ডিএসইর ডিজিএম সাইয়িদ মাহমুদ জুবায়ের এবং প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। প্রতিষ্ঠান দুটি মাত্র ১০ হাজার টাকা ফ্রি দিয়ে তালিকাভুক্ত হলো। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স এবং এর পরিচালকদের লংকাবাংলার সিকিউরিটিজের মালিকানার ৯২ দশমিক ৪১ শতাংশ রয়েছে। বাকি অংশের মধ্যে লংকাবাংলার সহযোগী প্রতিষ্ঠান লংকাবাংলা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের মালিকানা রয়েছে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে ৩ দশমিক ২৪ শতাংশ শেয়ার।

২০২১ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্রোকারেজ হাউজটির ১০ টাকা শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য ছিল ২০ টাকা ১ পয়সা। এছাড়া আজ প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের গ্রিন বন্ডও এটিবিতে কেনাবেচা শুরু করবে। এ বন্ডটির আকার ২১০ কোটি টাকা। ৭ বছর মেয়াদি অরূপান্তরযোগ্য এ বন্ডটির শতভাগ ২০২১ সালের মে মাসে কিনে নেয় মেটলাইফ বাংলাদেশ।

এর আগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) গত বছরের ২৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত আইন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড) রেগুলেশন, ২০২২ অনুমোদন দেয় এবং তা ২০ সেপ্টেম্বর গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য পাঠায় ডিএসই। এটিবিতে এলে কোম্পানি পরিচালনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি আগের চেয়ে বাড়ে, যা প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণে বড় ভূমিকা রাখে।

কীভাবে তালিকাভুক্তি: এটিবিতে তালিকাভুক্তি অনেকটা সরাসরি বা ডিরেক্ট লিস্টিংয়ের মতো। নতুন শেয়ার না ছেড়ে উদ্যোক্তার হাতে থাকা শেয়ার বিক্রির উদ্দেশে তালিকাভুক্তি নেয়া যাবে। শেয়ারের মূল্যও হবে বাজারভিত্তিক।

বাজারে মূলত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, এমন যে কোনো কোম্পানি তার শেয়ার, বন্ড, ডেট সিকিউরিটিজ, বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ড এবং অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ইউনিট স্বল্প খরচে কেনাবেচা করতে পারবে।