কৃষকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর এফবিসিসিআইয়ের

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থনৈতিক প্রতিবেদক

বাংলাদেশের কৃষি খাতে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এখন আমাদের কৃষি পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহই, সংরক্ষণ এবং ল্যাব টেস্টের ক্ষেত্রে যান্ত্রিকীকরণ এবং আধুনিক প্রযুক্তির বিস্তার ঘটাতে হবে। এমতাবস্থায়, কৃষির উৎপাদনশীলতা এবং চাষাবাদের ব্যয় কমিয়ে আনতে কৃষকদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। গতকাল মঙ্গলবার ‘ইন্দো-বাংলাদেশ এগ্রি মেকানাইজেশন সামিট’বিষয়ক এক প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি এমএ মোমেন। তিনি বলেন, ‘কৃষি যন্ত্রাংশ উৎপাদনে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে একটি হলো ভারত। তাদের দক্ষতা, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ বিষয়ে উভয় দেশের অংশীজনদের পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক জোরদার করার সুযোগ তৈরি করে দেবে ইন্দো-বাংলাদেশ এগ্রি মেকানাইজেশন সামিট।’

সভায় অংশ নিয়ে এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ এখন বাংলাদেশে একটি বার্নিং ইস্যু। বর্তমানে পোস্ট হার্ভেস্টিং পর্যায়ে যান্ত্রিকীকরণ আরও বেশি জরুরি হয়ে পড়েছে। সময় মতো মারাই এবং প্রক্রিয়াকরণ করতে না পারায় জমিতেই অনেক শস্য নষ্ট হয়ে যায়। বাংলাদেশে যারা কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি করছে তাদের জন্য ইন্দো-বাংলাদেশ এগ্রি মেকানাইজেশন সামিট নলেজ শেয়ারিংয়ের একটি বড় ক্ষেত্র হবে।’

বাংলাদেশে চাষাবাদের সংস্কৃতিকে বিবেচনায় রেখে কাস্টমাইজড এবং ছোট ছোট কৃষিযন্ত্র বাজারে আনতে বিপণনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানান কৃষি উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি কৃষি যন্ত্রপাতির গুণগত মান আরও উন্নয়নের প্রস্তাব তাদের। এ সময় এফবিসিসিআই’র পরিচালক ড. ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘আমরা শুধু কৃষি যন্ত্রপাতির ক্রেতা হতে চাই না। আমরা চাই উৎপাদনকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক। আমাদের কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি তৈরি করুক। তাদের কাছ থেকে আমরা কীভাবে কারিগরি প্রশিক্ষণ পেতে পারি সে বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা জরুরি।’

সভায় উপস্থিত ছিলেন ট্রাক্টর অ্যান্ড মেকানাইজেশন অ্যাসোসিয়েশনের (টিএমএ) সেক্রেটারি আত্রেয়ী তলাপাত্র। তিনি বলেন, ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণের সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়ে জয়েন্ট ভেঞ্চার উদ্যোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। বীজ বপন থেকে শুরু করে শস্য কর্তন, মারাই, শুকানো, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণসহ কৃষি গবেষণা এবং উদ্ভাবনে এক সঙ্গে কাজ করা যেতে পারে।’ প্রস্তুতি সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক এমজিআর নাসির মজুমদার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, মো. হাফেজ হারুন, মো. নাসের, মাহিন্দ্র অ্যান্ড মাহিন্দ্র লিমিটেডের বাংলাদেশ প্রধান (ফার্ম ইকুয়িপমেন্ট সেক্টর) সৌরভ বিশ্বাসসহ অন্যান্য কৃষি উদ্যোক্তারা।