ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আমানত কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা

আমানত কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষকে ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিং। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দেশের গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা করতে বড় অবদান রাখছে ব্যাংকের এ খাত। কিন্তু মূল্যস্ফীতি, ঋণ কেলেঙ্কারি, আস্থাহীনতাসহ নানা কারণে দেশের ব্যাংকিং খাতে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে, যার প্রভাব পড়েছে ব্যাংক আমানতেও। সদ্য বিদায়ি ২০২২ সালের নভেম্বর শেষে আমানত কমেছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে। নভেম্বরে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে ২৯ হাজার ৬৫৮ কোটি টাকা আমানত রাখেন গ্রাহকরা, যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ৩০ হাজার ৬২৬ কোটি টাকা। এক মাসের ব্যবধানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৯৬৮ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এজেন্ট ব্যাংকিং প্রান্তিক পর্যায়ে আমানত রাখা, ঋণ বিতরণ ও প্রবাসী আয় আনার পাশাপাশি স্কুল ব্যাংকিং সেবা চালু করেছে ব্যাংকগুলো। সরকারের সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির ভাতাও বিতরণ হচ্ছে এসব শাখাগুলো। এতে সাধারণ মানুষ ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় আসছেন আর ব্যাপকহারে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের অর্থনীতি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, আমানত সংগ্রহে শহরের চেয়ে এগিয়ে গ্রামীণ শাখাগুলো। সদ্য বিদায়ি নভেম্বর শেষে দেখা যায়— প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকরা মোট ২৩ হাজার ৭৪৭ কোটি টাকার আমানত রাখেন, যা আগের মাস অক্টোবরের তুলনায় ৯৭১ কোটি টাকা কম। অক্টোবরে গ্রামের এজেন্ট শাখাগুলো আমানত সংগ্রহ করেছিল ২৪ হাজার ৭১৯ কোটি টাকা। আর নভেম্বর শেষে শহরের এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে ৫ হাজার ৯১১ কোটি টাকার আমানত রাখেন গ্রাহক।

এদিকে, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রেও অক্টোবরের চেয়ে বেশ এগিয়ে ছিল নভেম্বর। নভেম্বর মাসে মোট ঋণ বিতরণ করা হয় ৭৮৭ কোটি টাকা, যা আগের চেয়ে ১১২ কোটি টাকা বেশি। এর মধ্যে শহরে ২৬৯ কোটি এবং গ্রামে ৫১৮ কোটি টাকা বিতরণ করে ব্যাংকগুলো। আগের মাসে ঋণ বিতরণের পরিমাণ ছিল ৬৭৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে, এজেন্ট ব্যাংকের শাখাগুলোতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে। নভেম্বরে খাতটিতে মোট ২৫৬ কোটি টাকা ব্যবহৃত হয়েছে। এর আগের মাসে এজেন্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা হয়েছিল ২২৮ কোটি টাকা। এছাড়া নভেম্বরে এজেন্ট শাখাগুলোতে আগ্রহ বেড়েছে প্রবাসীদের। ফলে প্রবাসী আয় সংগ্রহ বেড়েছে এসব শাখায়। মাসটিতে মোট ২ হাজার ৮২৩ কোটি টাকার রেমিট্যান্স আসে, যা আগের মাসের চেয়ে ২১৬ কোটি টাকা বেশি। অক্টোবরে এজেন্টের মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৬০৬ কোটি টাকার রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত