সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের ৩ নম্বর লটের নির্মাণকাজ যৌথভাবে পেয়েছে চীন ও বাংলাদেশের দুই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান দুটি হলো; চীনে এইচইজিও এবং বাংলাদেশের মীর আক্তার। এতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৫৫ কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৪ টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ভার্চুয়ালি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল ক্রয় কমিটিতে অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের একটি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবনা ছিল। পাঁচটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৯ কোটি ৩৭ লাখ ৩ হাজার ৬৪ টাকা।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সাসেক ঢাকা-সিলেট করিডোর সড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পের ডচ-০২ প্যাকেজের লট নম্বর উঝ-৩ এর নির্মাণকাজ যৌথভাবে চীনের এইচইজিও এবং বাংলাদেশের মীর আক্তারের কাছ থেকে ১ হাজার ৫৫ কোটি ২০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫৪ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। সভায় অনুমোদিত অন্যান্য প্রস্তাবগুলো হলো- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ সদস্যদের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের প্যাকেজ নম্বর-ডউ-৫২ এর আওতায় বৈদ্যুতিক কাজ নূরানী কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের কাছ থেকে ২৩ কোটি ২০ লাখ ১২ হাজার ২৭২ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জেনারেল অ্যাভিয়েশন হ্যাঙ্গার, হ্যাঙ্গার অ্যাপ্রোন এবং ফায়ার স্টেশনের উত্তর দিকে অ্যাপ্রোন নির্মাণ’ প্রকল্পের নির্মাণকাজ যৌথভাবে বিইউসিজি, এনডিই এবং অ্যারোনেস বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ২৬ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ টাকা ব্যয় বাড়ার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
