১৯ দিনে ১ হাজার ১৯৪ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
জয়পুরহাট চিনিকলে চলতি মৌসুমে ২৩ হাজার ২২২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন হয়েছে ১ হাজার ১৯৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। গত শনিবার রাত ১২টায় জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ১৯ দিনের এ কার্যক্রমে চিনি আহরণের হার ছিল ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। চিনিকল সূত্র জানায়, দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদন কেন্দ্র জয়পুরহাট চিনিকলে ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ৩০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ৮৬৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। শেষ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২২২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ১৯৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে।
জয়পুরহাট চিনিকলের এটি ৬০তম আখ মাড়াই মৌসুম। ৮ কোটি টাকার আখ কেনা হলেও এ পর্যন্ত কৃষকদের পাওনা সাড়ে ৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থপানা পরিচালক কৃষিবিদ মো. আখলাছুর রহমান। চিনিকলের আখ মাড়াই সক্ষমতা থাকলেও মূলত আখের অভাবে মাড়াই মৌসুমের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আখের মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার। এবার মিলগেটে আখের মূল্য দেওয়া হয়েছে পার মেট্রিক টন ৪ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বাইরের ক্রয় কেন্দ্রের জন্য ৪ হাজার ৪৪০ টাকা। ২০২২-২০২৩ মাড়াই মৌসুমে ২৫ দিন মিল চালু রাখা ও চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ। আখচাষিদের মোবাইলের মাধ্যমে আখের মূল্য পরিশোধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
চিনিকল সূত্র জানায়, সরকারি সহায়তা হিসেবে আখ রোপণের গত মৌসুমে এক কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল। ঋণ প্রাপ্ত আখ চাষির সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ জন। এর মধ্যে রয়েছে সার ও উন্নত মানের আখ বীজসহ অন্যান্য উপকরণ। আখ মিলে সরবরাহ করার পর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয়। ফলে ঋণ পরিশোধ করার জন্য আখচাষিদের কোন বাড়তি চাপ থাকে না। কৃষিবিদ আখলাছুর রহমান জানান, গত ২০২১-২০২২ মাড়াই মৌসুমে ২১ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১ হাজার ১৬২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল।