আইডিএ থেকে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম

আইডিএ হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের সবচেয়ে সস্তা ঋণ দেয়ার প্ল্যাটফর্ম। ৫ বছরের রেয়াতকালসহ ৪০ বছরে শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদে পরিশোধযোগ্য এ ঋণ স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে দেয়া হয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক আইডিএভুক্ত দেশ বাজেট সহায়তা চায়। শুধু বাংলাদেশ নয়, অন্যান্য দেশের চাহিদাও দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব উদযাপন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অপারেশনস) অ্যাক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এসব কথা বলেন। পদ্মা সেতুতে ঋণ না দেয়ায় বিশ্বব্যাংক কি অনুতপ্ত, এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রটসেনবার্গ বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ৫০ বছরের উন্নয়ন দেখছি। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ৩৬৫টি প্রকল্প চলমান। এর মধ্যে একটি প্রকল্পে ঋণ দেয়া না-দেয়ার সঙ্গে অনুতপ্ত হওয়া না-হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। ৫০ বছরে ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।’ তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রমে আইডিএর আওতায় অনুদান, সুদবিহীন ঋণ এবং নমনীয় ঋণ হিসেবে প্রায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ৫৬টি চলমান প্রকল্পে প্রায় ১৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন করছে। বিশ্বব্যাংকের অঙ্গভুক্ত প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিল থেকে বার্ষিক ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যতম। সাড়ে ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেট সহায়তা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা জানান। ট্রটসেনবার্গ বলেন, করোনা সংকট ও ইউক্রেন-রাশিয়া সংকটে অনেক দেশ বাজেট সহায়তা চায়। তারপরও আমরা সবার চাহিদার মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে অল্প করে বাজেট সহায়তা দেব। কোভিডের কারণে অনেক দেশের অর্থ দরকার। বাংলাদেশ অগ্রগতি অর্জন করেছে উল্লেখ করে বিশ্বব্যাংকের এমডি বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় বিশ্বের অন্যতম দরিদ্রতম দেশ থেকে ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে।