ঢাকা ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিন মোবাইল অপারেটরের ভ্যাট বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা

তিন মোবাইল অপারেটরের ভ্যাট বকেয়া ২৩৩ কোটি টাকা

বিভিন্ন ফি বাবদ তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির বকেয়া রাজস্বের পরিমাণ ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সরকার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) দীর্ঘদিনের ওই দাবির পক্ষে শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশনা মিলেছে। বকেয়া টাকার মধ্যে এনবিআর ভ্যাট বাবদ পাবে ২৩৩ কোটি টাকা। এনবিআরের বৃহৎ করদাতা ইউনিট ও (এলটিইউ) তিন অপারেটরের প্রতিনিধিদের এক বৈঠকেও বিষয়টি প্রায় একমত হয়েছে। যদিও রায়ের পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষণে এর পরিমাণ কম-বেশি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় এখনই ওই টাকা আদায় করতে চাপ প্রয়োগ করছে না এনবিআর। সংস্থাটি ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার ফারজানা আফরোজ গত ২২ জানুয়ারি লিখিতভাবে বিষয়টি এনবিআরকে অবগত করেছে বলে জানা গেছে।

এনবিআর সূত্র জানায়, তিন মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন, বাংলালিংক ও রবির কাছে পাওনা ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। রায়ে গ্রামীণফোনের ১ হাজার ৪০০ কোটি, রবির ৫০০ কোটি ও বাংলালিংকের ৬৫০ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধের আদেশ দেয়া হয়।

এই টাকার মধ্যে অপারেটরদের তরঙ্গ বরাদ্দ, লাইসেন্স ফি এবং অন্যান্য ফি বাবদ টাকা দেখানো হলেও ভ্যাট বাবদ রাজস্ব বোর্ড কত টাকা পাবে সে বিষয়ে আলাদাভাবে কোনো ব্যাখ্যা নেই। তাই এলটিইউর অরিরিক্ত কমিশনার ও বিভাগীয় কর্মকর্তারা বিটিআরসির মহাপরিচালকের (লিগ্যাল) সঙ্গে দেখা করেন।

ওই বৈঠক সূত্রে জানা যায়,বিভিন্ন ফি বাবদ পাওনা ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে ভ্যাটের টাকা আলাদাভাবে গণনা করা হয়নি। গ্রামীনফোন, বাংলালিংক ও রবি- এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের কাছে তরঙ্গ বরাদ্দ, লাইসেন্স ফি এবং অন্যান্য ফিসহ বকেয়া টাকা পাওয়া সাপেক্ষে প্রযোজ্য ভ্যাটের টাকা সরকারি কোষাগারে দেওয়া হবে।

গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংকের জন্য সরকার যে তরঙ্গ বরাদ্দ করে তার ওপর চার্জ করা হয়। এর সঙ্গে ভ্যাট যুক্ত করা হয়। এই ভ্যাটযুক্ত করার কারণে তারা (তিন কোম্পানি) হাইকোর্টে এসে মামলা ফাইল করে। হাইকোর্ট তাদের রিট খারিজ করে দেয়। এর বিরুদ্ধে তারা আপিলে আবেদন করলে আদালত শুনানি নিয়ে তাদের আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। এর ফলে এখন এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এনবিআর এবং বিটিআরসি ভ্যাটসহ তরঙ্গ বরাদ্দ ফি হিসেবে পাওনা আদায় করবে।

গত ১০ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এমন আদেশ দেন। আদালতের আদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন বলেন, আমরা শুনানিতে বলেছি, ভ্যাটের ক্ষেত্রে ২০১১ সালের আইনটা সংশোধন করা হয়েছে। এই সংশোধনের ফলে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আমরা এই ভ্যাট দাবি করতে পারি। বিটিআরসির পক্ষের আইনজীবী খোন্দকার রেজা-ই রাকিব বলেন, তিনটি অপারেটরের কাছে লাইসেন্স নবায়ন ফি এবং রেভিনিউ শেয়ারিং ফিসহ বিভিন্ন ফি বাবাদ ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার মতো পাব। এর সঙ্গে আরও ৩০০ কোটি টাকার মতো পাব। রায়ের সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার পর থেকে আমরা টাকা দাবি করবো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত