৮ দেশের রাষ্ট্রদূতের কারখানা পরিদর্শন

প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে লিড প্লাটিনাম সার্টিফাইড প্রতিষ্ঠান মিথিলা গ্রুপের বিভিন্ন কারখানা পরিদর্শন করেছেন আট দেশের রাষ্ট্রদূতসহ ১৮ দেশের প্রতিনিধি। গত শনিবার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খাঁনপাড়া এলাকায় প্রতিষ্ঠিত মিথিলা টেক্সাইল, ডাইং, খান ফুডসহ মিথিলা গ্রুপের সব কারখানা পরিদর্শন করেন তারা। এসময় জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রোসটার, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি, সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ফাম ভিয়েত চিয়েন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভাণ্ডারিসহ যুক্তরাষ্ট্র, ব্রুনাই, অস্ট্রেলিয়া, সুইজারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডসহ ১৮ দেশের প্রতিনিধির সঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুত হাসান, স্থানীয় সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল খান, পরিচালক মাহবুব খান হিমেল, কায়েস খান ও অভিনেতা জাহিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন। পরিদর্শন শেষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত ওভেন ডাইং কারখানা মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ পরিদর্শন করে সত্যিই অবাক হয়েছি। মিথিলা গ্রুপ সব আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপন ও ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ বান্ধব, জলবায়ু রক্ষা ও সবুজায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।

মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের মধ্যে মিথিলা গ্রুপের ‘মিথিলা টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক অনুমোদিত ‘লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভারয়নমেন্ট ডিজাইন (লিড)’ সনদপ্রাপ্ত একমাত্র প্রতিষ্ঠান।

এ প্রতিষ্ঠানটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে এতে ৬৮ শতাংশ জ্বালানি সাশ্রয় হয়। এমনকি দিনের বেলায় ফ্যাক্টরিতে কোনো বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না। এছাড়া মিথিলা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান খান ফুড অ্যান্ড অটো রাইস মিলের ওয়েস্ট প্রোডাক্ট ধানের তুষ জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করে ২০১৬০ কিউবিক মিটার স্টিম উৎপাদন করা হয়, যা মূল্যবান গ্যাস সম্পদের ব্যবহার সীমিত রাখে। তিনি আরও জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে অত্যাধুনিক জাপানিজ বায়োলজিক্যাল ইটিপি স্থাপন করে ফ্যাক্টরিতে ব্যবহৃত বর্জ্য পানিকে পরিশোধিত করে ৫০ শতাংশ পানি পুনরায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং বাকি ৫০ শতাংশ কৃষি কাজে ও মাছ চাষে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এখানে একটা অত্যাধুনিক কাস্টিক রিকভারি প্ল্যান্ট (সিআরপি) স্থাপন করা হয়েছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকৃত কাস্টিকের ৯০ শতাংশ পুনরায় ব্যবহার করা হয়।